বিলাসিতা (১ম পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগ22 days ago

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh

২৫ ই আষাঢ় ১৪৩১বঙ্গাব্দ । ৯ জুলাই ২০২৪খ্রিস্টাব্দ ।

এখন ষড়ঋতুর গ্রীষ্মকাল ।

portrait-3285307_1280.jpg

source

অনেক দিন যাবত একটি গল্প লিখি না,,আসলে আমি তেমন লেখালেখি পারি না,সবাই দেখাদেখি একটু আকটু চেষ্টা করি।প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি আজকে একটি গল্প লিখবো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

তাই একদিন সিদ্ধান্ত নিলো এই বাসায় আর থাকবে না, বাসা পরিবর্তন করবে।বাসা পরিবর্তন করে বাসা নিলো তার সাথে চলেই আরেক বিলাসিতার মানুষ।তাদের দুইজনের অনেক মিল।তাই বাসা নিয়ে নিলো।দুইজনের অনেক মিল। একজন আরেকজনকে টক্কর দিয়ে চলে।কে কতটুকু দামি দামি শপিং করবে কে কোথায় ঘুরতে যাবে।সাইলা তো তখন কেবল নাইনে পড়ে,সে বুঝে কিন্তু তার কথা কে শুনে।তারও বন্ধত্ব বেশ ভালো ভালো মেয়েদের সাথে তারাও বেশ বড়লোক।


হঠাৎ একদিন তার মা সিদ্ধান্ত নেয় তারা কক্সবাজার ঘুরতে যাবে।তার স্বামীকে বলে টাকা পাঠাতে।তার স্বামী বললো আমি দেশে নেই যেহেতু আমি দেশে আসলে নিয়ে যাবো।আমারও বিদেশে অবস্থা তেমন ভালো না।আগে ভালো ছিলো কিন্তু কে শুনে কার কথা,সাইলার মা ও বলে দিয়েছে টাকা না দিলে আত্মহত্যা করবে কি আর করার কষ্ট করে হলেও টাকা পাঠাতে হবে।


যাই হোক এমন করতে করতে সাইলার মায়ের দিন দিন বিলাসিতা বাড়ছে।এই দিকে সাইলাও এস এস সি পাশ করে ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে। মাঝে মাঝে অনেক ঘটক বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে কিন্তু সাইলার মায়ের চাহিদা অনেক বেশি। ছেলে এমন হতে হবে তেমন হতে হবে।ঘটক যেই ছেলে আনে সেই ছেলেকেই পছন্দ না।


ছেলে সুন্দর, স্মাট,পড়ালেখা ভালো সরকারি চাকরিজীবী ইত্যাদি আরো নানান কিছু। অনেক সাইলার তুলনায় ভালো ছেলে আসলেও তার মায়ের পছন্দ হতো না।এভাবে চলতে চলতে একটা সময় সে ঋণ করে চলতে লাগলো।ঋণ পরিমান বাড়তে লাগলো।তারপরও তার বিলাসিতা কমে না।এই দিকে সাইলার বাবার তেমন একটা কাজ নেই। সেও যে বেশ কর্মঠ তাও না।


বেশ কয়েকদিন যাবত সাইলার বাবার খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছে না।বেশ টেনশনে সবাই। কি হলো কেন কোন খোঁজ খবর পাওয়া যায় না।যে মানুষ প্রতিদিন প্রতিক্ষনে খোঁজ খবর নেয় সেই মানুষ তার কোন খবর নেই। কয়েক সপ্তাহ পর দেখে সাইলার বাবা দেশে এসে হাজির।কিন্তু তখন সায়লার মা বাসায় ছিলো না সে গিয়েছিলো তার কোন রিলেটিভের বাসায় অনেক দূরে।পরে তাকে খবর দেওয়া হয় সে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসে।

এতে করে সাইলার বাবার বেশ খারাপ লাগে।সে কষ্ট করে বিদেশ থাকে সে কিনা ভালো করেই বিলাসিতায় দিন কাটায়।সে যে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে একবারে দেশে চলে এসেছে।কারন মালিক বেশ কষ্ট দেয়,যার জন্য সে অন্য জায়গাতে যেতে চায় তখন পুলিশ তাকে ধরে জেলে পাঠিয়ে দেয় সেখানে এক সপ্তাহ থাকার পর দেশে চলে এসেছে একেবারে শূন্য হাতে।


আপনাদের আমার গল্পের প্রথম পর্ব কেমন লেগেছে জানাবেন,ভালো লাগলে দ্বিতীয় পর্ব লিখবো।আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।

এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ

device Galaxy A13
LocationDhaka

আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht

20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  
 22 days ago 

আপনার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু বিলাসিতা একবার করলে সে টাকা না থাকলে ধার করেও চলে।সাইলার মা নিজে তো ইনকাম করে না তাই তার শুধু বিলাসিতা।বিলাসিতা করতে করতে এখন যে একেবারে ঋণ হয়ে গেল তবু তার বিলাসিতা কমছে না। সত্যি আমাদের কারো সাথে বিলাসিতা নিয়ে তুলনা করা ঠিক নয়।অনেক সুন্দর লিখেছেন।

 20 days ago 

আসলেই লোভ মানুষকে অনেক খারাপ দিকে নিয়ে যায়।ধন্যবাদ

 22 days ago 

অনেক বেশি বিলাসিতা করা আমাদের কারোই একেবারে উচিত না। কারণ বিলাসিতা ধ্বংস হয়ে যেতে সময় লাগে না। সাইলার মায়ের এরকম বিলাসিতার কথা শুনে তো আমি বেশ অবাক হলাম। কারণ একটা মানুষের ভিতর এত বেশি বিলাসিতা কিভাবে থাকতে পারে। সাইলার বাবার জন্য অনেক বেশি খারাপ লাগতেছে। তিনি কত কষ্ট করে বিদেশে রোজগার করতেন। আর সেই টাকা দিয়ে উনার স্ত্রী বিলাসিতায় দিন কাটাতো। আবার দেখছি অনেক টাকা ঋণ করে হলেও তিনি নিজের বিলাসিতা টাকে ধরে রেখেছিলেন। নিজের মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য দেখছি অনেক উঁচু লেভেলের ছেলেই খুজতেছে। দেখা যাক এখন পরবর্তী পর্বে কি হবে।

 20 days ago 

যারা বিলাসিতায় অভ্যাস হয়ে যায় তারা এটা আর ছাড়তে পারে না।ধন্যবাদ

 22 days ago 

যারা প্রতিনিয়ত বিলাসিতার মধ্য দিয়ে জীবন কাটাতে চায়, তাদের এই বিলাসিতা বেশি দিন থাকে না। কারণ বেশি বিলাসিতার কারণে মানুষ একেবারে অন্যরকম হয়ে যায়। ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য তাদের কোনো পরিকল্পনাই থাকে না। সাইলার মা দেখছি বেশ বিলাসবহুল জীবন কাটাচ্ছে। বিলাসবহুল জীবন কাটানোর জন্য অনেক টাকাও নিয়েছে। কিন্তু নিজের হাজবেন্ডের পরিস্থিতি বুঝতেছে না। এরই মধ্যে দেখছি ওনার হাজবেন্ড বিদেশ থেকে চলে এসেছে। উনার হাজবেন্ডের তো কষ্ট পাওয়ারই কথা। এখন দেখা যাক পরে কি হয়।

 20 days ago 

যারা বিলাসিতা করে তারা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে না।আপনাকে ধন্যবাদ