সময় এক অভিমানী সৃষ্টি
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে আপনাদের মাঝে কোন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি বুঝতে পেরে গিয়েছেন নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।সময় এক অভিমানী সৃষ্টি।আমরা পৃথিবীতে অনেক কিছুর পুনরাবৃত্তি পেলেও সময়ের পুনরাবৃত্তি কখনোই পাই না ।যেই সময়টা আমাদের জীবন থেকে একবার চলে যায় হাজার চেষ্টা করলেও এর ওই সময়টা পাওয়া সম্ভব না।মানুষের জীবনে ভালো সময় যেমনি স্মৃতি নিয়ে আসে খারাপ সময় ও ঠিক তেমনি স্মৃতি নিয়ে আসে।আমরা আমদের জায়গা থেকে দুইটি বিষয় খুব ভালো করেই উপলব্ধি করতে পারি।অনেক সময় খারাপ সময়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বর্তমান ভালো সময়টাকে নষ্ট করে ফেলি।তারপর আবার একইভাবে এই সময়টি যখন অতীত হয়ে দাঁড়ায় তখন আবার এই সময়টাকে মিস করি।অর্থাৎ এই প্রোসেস টা আমাদের জীবনে পর্যায়ক্রমে চক্রাকারে চলতে থাকে।
পৃথিবীতে শুধুমাত্র সফল ব্যক্তিরাই সময়ের সদ্ব্যবহার করে থাকেন।তারা এক জিনিসে কোনোভাবেই আটকে থাকেন না।সফল আর ব্যর্থ ব্যাক্তির পার্থক্য একটাই মুভ অন করতে না পারা।যারা জীবনে যত বেশি মুভ অন করতে পেরেছেন তারাই সময়ের সদ্ব্যবহার করতে পেরেছেন।জীবনের স্পৃহা খুঁজে পেয়েছেন সর্বোপরি।আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কোনো না কোনো লক্ষ্য রয়েছে।যেমন একজন অনার্স এ অধ্যয়নরত স্টুডেন্ট এর কথা যদি চিন্তা করি তার একমাত্র চিন্তা গ্র্যাজুয়েশন টা কমপ্লিট করা।তারপর কোনো কর্মের দিকে পা বাড়ানো স্টেপ বাই স্টেপ নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলা।তবে এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম লক্ষ্যটি তার অনার্স টা কমপ্লিট করা।কেননা যদি সে কোনো কারণে অনার্স ডিগ্রি সম্পন্ন না করতে পারেন তখন তার জীবনের বাকি পদক্ষেপ গুলো তিনি সহজেই নিতে পারবেন না।যেকোনো কিছু গড়তে হলে তার জন্য আগে একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো গঠন করতে হয়।
আপনি যদি একজন কুমোরের কথা চিন্তা করেন।তাহলে দেখতে পাবেন তিনি তার মাটির তৈরি তৈজসপত্র গুলো তৈরির জন্য একটি ছাঁচ এর সাহায্য নিচ্ছেন।যাতে কিনা সুনির্দিষ্ট গঠন তৈরি করতে পারেন।আমরা আমাদের জীবনের জন্য লক্ষ্য কয়েকটি ধাপে নির্বাচন করতে পারি।আর সেগুলো সময়ের সাথে সাথে সেট করে নিতে পারি।যেমন আপনার বর্তমান সময়টা কোন কাজটির জন্য সবচেয়ে বেশি প্রায়োজনীয় সেটা আগে নির্বাচন করতে হবে আপনার নিজেকে। কুমোর যেমনি আগে ছাঁচ এর কথা চিন্তা করে তারপর তার তৈজসপত্রের রূপ দেওয়ার জন্য বাকি কাজ গুলো সম্পন্ন করে ।অর্থাৎ মাটির পাত্র শুকিয়ে নেওয়া তারপর রং করা ইত্যাদি।এজন্য আমাদের সময়ের সাথে সাথে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন এবং প্রপার একশন নিতে হবে।কারণ আপনি যদি কোনো কাজ শুরু না করেন সেই কাজের জন্য সফলতা পাওয়ার স্বপ্ন দেখাটা অনেকটাই বিলাসিতা বলা যায়।যেহেতু স্রষ্টার সবগুলো জিনিসের মধ্যে সবচেয়ে অভিমানী সৃষ্টি হচ্ছে সময়।
আপনার জীবনে অনেক কিছুর পুনরাবৃত্তি পাবেন হয়তো ভিন্ন ভিন্নভাবে,ভিন্নরূপে আরও বেটার অপশন হিসেবে।অর্থাৎ সবকিছুই অভিমান করলেও ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে শুধুমাত্র সময় ছাড়া।তাই আপনি আপনার সময়কে বেশি সুযোগ দিবেন না আপনার উপর অভিমান করার। কেননা এই অভিমানী সৃষ্টি আপনার কাছে কখনোই আর ফিরে আসবেনা।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date -2nd October,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
https://x.com/Disha1023548501/status/1841359998124998927?t=y441lJCr8Zv6IIi_mesgOA&s=19