অমুক,তমুকের মত হও
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে খুবই গুরুত্বপুর্ণ একটি টপিক নিয়ে লিখতে চলেছি বন্ধুরা।এতক্ষণে কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পেরে গিয়েছেন নিশ্চয়ই বন্ধুরা, আমার পোস্টের টপিক।আমাদের সবারই একটি কথা শুনতে হয়েছে ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত অমুকের মত হও,তমুকের মত হও।ওই ছেলেটা রাত দুইটা পর্যন্ত পড়ে।ওই মেয়েটা গোল্ড মেডেল পেয়েছে।অমুক ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছে ইত্যাদি।তোমাকেও তাই করতে হবে তোমার সক্ষমতা না থাকলেও ওই একই জিনিস তোমাকে করতে হবে।
আজকে আপনাদের সাথে অমুকের মত হওয়া বিষয়টি নিয়ে লিখতে চলে এলাম।২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে একটি মেয়ে ভাইরাল হয়েছিল তার মেধার জন্য।একইসাথে বুয়েট,মেডিকেল ,ঢাকা ভার্সিটি তে চান্স হয়েছিল মেয়েটির।আপনারা বুঝতেই পারছেন মেয়েটি প্রচুর মেধাবী এজন্যই তার এত সফলতা।অধ্যাবসায় এর সাথে মেয়েটি তার জীবনের সফলতার চূড়া আহরণ করতে পেরেছিল।কিন্তু এখন ২০২৪ সাল মেয়েটি আর আমাদের মধ্যে নেই।তার ভার্সিটির হলে সে আত্মহত্যা করেছে।আপনারা বলতে পারেন তার জীবনে কিসের কমতি ছিল যে সে আত্মহত্যা করলো।
আমরা পৃথিবীতে অনেক মানুষ দেখি যাদের সাকসেস রেট টা খুবই বেশি।কিন্তু তার জীবনের গল্প গুলো আমরা কেউ জানিনা।আমাদের আত্মীয় স্বজনদের থেকে শুরু করে সবার কাছ থেকেই শুনি অমুকের মত হও।তাছাড়া আমাদের বাবা - মা আমাদের একই কথা বলে বড় করে।আজকে তো এরকমই বলতে হচ্ছে ওই মেয়েটির মত হলে তার ভালো সুখের গুণের সাথে দুঃখের গুণ গুলোও তো আমরা পেতে পারতাম।আর সেই সাথে এই বয়সে আত্মহত্যা করতে হতো।এমনটি ভালো, কারো মত না হয়ে নিজের মত হওয়া।নিজের সাধ্যমতো সক্ষমতা অনুযায়ী চলা।
একজনের বেড়ে ওঠার সাথে অন্যজনের বেড়ে ওঠা কখনোই এক হবেনা।দুই জন মানুষ আলাদা গুণের অধিকারী হবে।যেহেতু তাদের বেড়ে ওঠার পরিবেশ ছিল আলাদা।আমাদের কাউকে কপি না করে নিজেকে নিজের অনুসরণ করা উচিত।বর্তমান সময়ে খুব মেজর একটি সমস্যা ডিপ্রেশন।এটি অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে তাদের জীবন নাশ করছে।আমার মতে,ডিপ্রেশন ,যেকোনো সমস্যা এই বিষয়গুলো থেকে যদি একজন মানুষ না বেরিয়ে আসতে চায় নিজে, তাকে ডিপ্রেশন নামক ভাইরাস একদিন গ্রাস করবেই।তাই সবাইকে ভাইরাস টি থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজতে হবে।পৃথিবীতে একমাত্র ব্যক্তি আপনি ,যে কিনা পারেন নিজের সকল সমস্যাগুলোর সমাধান করতে। জয়া কুণ্ডু মেয়েটির কাউন্সিলিং চলছিল কিন্তু চিকিৎসার ধাপগুলো শেষ হওয়া পর্যন্ত সময় তিনি দেন নি।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date -26th November,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
X-Promotion
বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিকস নিয়ে আলোচনা করেছেন আজকে আপনি। বর্তমান সময়ে মেজর যে বিষয়গুলি তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডিপ্রেশন এবং পরিবার থেকে চাপ যে এর মত হও ওর মত হও। এই দুটো জিনিসের কারণেই অনেক স্টুডেন্ট অকালেই ঝরে পড়ে যায়। যেমন একটি মেয়ের উপমা দিয়েছেন আপনার পোস্টে। আমিও আপনার সাথে সহমত পোষণ করে এটাই বলব যে আমাদের উচিত অন্য কাউকে অনুসরণ না করে নিজের মতো করে নিজেকে তৈরি করা। গতানুগতিক একটি পোস্ট লেখার জন্য ধন্যবাদ আপু।
জি ধন্যবাদ ভাই।
ছোট থেকেই এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক বিরক্তিকর লাগে। সমাজের একশ্রেণীর মানুষ আছে যারা সব সময় এ ধরনের উদাহরণ দিয়ে অনেককে ছোট করে। বলে অমুক এটা করেছে সেটা করেছে কিন্তু তুমি কিছু করতে পারলে না। সবাই নিজের অবস্থান থেকে যে চেষ্টা করে আর নিজের মত সফলতা অর্জন করে এটা যার যার স্বাধীনতা আমি মনে করি।
আমারও অনেক বিরক্তির লাগে ,ধন্যবাদ ।
সত্যি কথা বলতে কি মানুষের যেমন উদাহরণ দিয়ে বলে হাতের পাঁচটা আঙ্গুল এক সমান নয় যেমন মানুষের বেড়ে ওঠা এবং বুদ্ধি বিবেক ছলচল একরকম কখনোই হয় না। তবে চেষ্টা করতে হবে যেটা বেটার যেটা প্রকৃতপক্ষে ঠিক সেই ভাবে নিজেকে তৈরি করা।
ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন আপনি।
পৃথিবীর দুজন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি চলাফেরা কখনোই এক হতে পারে না। এটার মধ্যে সবসময় অমিল থাকবে। আমার ছোটবেলা এই কথা অনেক শোনা লাগছে আমার। আমি বলতে চাই অমুক তমুকের মতো না নিজের মতো হতে হবে। নিজেই নিজের রোলমডেল হিসেবে স্থাপন করতে হবে। সুন্দর লিখেছেন আপু।
জি একদম,ধন্যবাদ।
ছোট থেকেই আমাদের এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয়। অমকের মত হও তমুকের মত হও। মানুষের উদাহরণ দিয়ে আমাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় আমরা কেন তার মত হতে পারি না। আসলে আমাদের সবার নিজের মতো হওয়া উচিত। যে যেই জিনিসটাকে ভালোবাসি সেটা করা উচিত। খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি।লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
জি সবাইকেই এটি ফেইস করতে হয়েছে।