শৈশবের একটি ঘটনা

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে শৈশবের একটি ঘটনা সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক


আসলে আমাদের প্রত্যেকের শৈশব জীবনে বিভিন্ন ধরনের মজার ঘটনা রয়েছে। তেমনি আমার জীবনে একটা মজার ঘটনা রয়েছে। আর শৈশব কালটা হল মানুষের জীবনে এমন একটা সময় যে সময়টাতে মানুষের এই পৃথিবীর ভালো-মন্দ কোন জ্ঞান থাকে না। আসলে বাচ্চারা যেসব জিনিস ভালো বোঝে সেসব জিনিসই করে। তো ঘটনাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আসলে শৈশবকালে এই বর্ষার সময়ে আমরা বর্ষার জলে ভিজে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করতাম। আসলে শৈশব কালের বিভিন্ন খেলাধুলা বর্তমান সময়ে বিলুপ্তির পথে। কারন আমরা যেসব খেলাধুলা সেসব করতাম সেসব খেলাধুলা বর্তমান সময়ে শিশুরা আর করে না। আসলে বর্তমান সময়ের শিশুদের বাইরে তেমন খেলতে যেতে দেয় না অভিভাবকরা। যাইহোক গল্পটা হল একদিন আমি এবং আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে বর্ষার দিনে মাঠে খেলতে গিয়েছিলাম।


আসলে তখনকার সময়ে আমরা সবাই মিলে ফুটবল খেলতাম। আর ফুটবল খেলার মাঠ হলো বিভিন্ন ফসলের জমি। অর্থাৎ যেসব জমিতে ফসল কাটা হয়ে যেত সেসব জমিতে বর্ষার জল প্রায় এক বিঘাত হয়ে যেত। আমরা সবাই মিলে ঐ জলের ভিতর দিয়ে লাফালাফি করতাম এবং ফুটবল খেলাধুলা করতাম। তো যেহেতু আমাদের ফুটবল ছিল না তাই আমরা সবাই মিলে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে একটা ফুটবল কিনেছিলাম। আসলে বর্তমান সময়ে একজনার একটা ফুটবল কেনার ক্ষমতা থাকলেও সেই বন্ধুরা আর থাকেনা। কিন্তু আমাদের সময় একটা ফুটবল খেলার ক্ষমতা কোন বন্ধুদের ছিল না। তাই আমরা সবাই মিলে একটা ফুটবল কিনতাম প্রায় প্রতিবছর।



যাই হোক প্রথমে দুই বন্ধু গেল ফুটবল কিনতে বাজারে। আসলে বাজারে ভালো ফুটবলের অনেক দাম। কিন্তু তত টাকা আমাদের কাছে ছিল না। যাইহোক আমরা কম দামের ভিতরে একটা ফুটবল কিনতে সক্ষম হলাম। আসলে ফুটবল যখন বন্ধুরা মাঠে নিয়ে এলো তখন আমাদের আনন্দের কোন সীমা ছিল না। যাই হোক আমরা অন্য একটা বাড়িতে গিয়ে ফুটবলে হাওয়া দিয়ে নিলাম। কারণ নতুন ফুটবলে হাওয়া থাকে না। যাইহোক ফুটবলটি যখন মাঠে নিয়ে এলো তখন সবাই মিলে প্রথমে ফুটবলটাকে নিয়ে একটু ছোড়াছুড়ি করতে শুরু করলাম। যেহেতু নতুন ফুটবলে হাওয়া ভর্তি থাকে সেহেতু সে ফুটবলে পা দিয়ে জোরে আঘাত করলে ফুটবলটি অনেক দূরে চলে যায়।


কিন্তু একসময় ফুটবলটি হাতে নিয়ে আমি জোরে আকাশের দিকে পা দিয়ে আঘাত করলাম। দেখলাম যে বলটি আকাশের অনেক দূর অব্দি উঠে গেছে। কিন্তু ব্যাপারটা হল পাশে একটি খেজুর গাছ ছিল। আসলে বলটি উড়ে গিয়ে একদম সরাসরি খেজুর গাছের উপরে পড়ল। তখন জোরে একটা আওয়াজ হল। যাইহোক সবাই কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেলাম। কারণ আমাদের সেই নতুন বলটি খেজুরের কাঁটায় ফেটে গেছে। আসলে আমাদের এতটাই কষ্ট হচ্ছিল যে এই কষ্টের মাঝে কয়েকজন হাসতে হাসতে জলের ভিতরে শুয়ে পড়ছিল। যাইহোক একদিক থেকে আমার কষ্ট হচ্ছিল কারণ বলটি আমরা কয়েকদিন খেলতে পারলাম না তার আগেই বলটি ফেটে গেল। যাইহোক সেদিনের মত আর খেলা হলো না। সবাই মন খারাপ করে পুনরায় আবার বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Sort:  
 5 days ago 

শৈশবের দারুন একটি স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ছোটবেলা আমরাও সকল বন্ধুরা টাকা তুলে একটি বল কিনতাম। সে সময়ের খেলাটা অনেক মজাদার ছিল। বর্তমানে একজনই একটা বল কিনতে পারে কিন্তু খেলার মত বন্ধু পাওয়া যায় না। মজাদার বিষয় হচ্ছে আপনি ফুটবলটি উপরের দিকে মারলেন আর খেজুর গাছের উপরে পড়ে বলটি বিস্ফোরণ হল।🥰 তারপরও শত কষ্টের মাঝে হাসলেন। অসাধারণ একটি অনুভূতির কথা শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে।

 4 days ago 

শৈশবের খুব সুন্দর একটি ঘটনা আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই শৈশবের স্মৃতি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো, আসলে আগেকার ঘটনা গুলি ছিল একটু অন্যরকম সবাই মিলে টাকা তুলে জিনিস কিনার মজাই আলাদা ছিল, এখন কার বাচ্চাদের অনেক বল থাকলেও খেলার তেমন সময় তারা পায় না সব সময় বিভিন্ন নিয়ম কানুন এর মধ্যে আটকা থাকে। যাইহোক আপনার সুন্দর স্মৃতিচারণমূলক গুলো পড়ে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

 21 hours ago 

শৈশবের কিছু কিছু স্মৃতি আসলেই ভুলা যায় না। বর্ষাকালে মাঠে ফুটবল খেলতে আসলেই খুব ভালো লাগতো। আমরাও প্রায়ই বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ফুটবল খেলতাম। যাইহোক ফুটবল খেলার সময় নতুন বল যদি খেজুরের কাঁটায় লেগে ফেটে যায়, তাহলে তো মন খারাপ হবেই। তবে কয়েকদিন খেলার পর যদি এমন হতো,তাহলে তেমন কোনো আফসোস থাকতো না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।