আপনি স্বৈরাচার নন তো?
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
একটি ব্যাপার আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা আমি জানিনা। কিন্তু আমাদেরকে যদি ছেড়ে দেওয়া হয়। তাহলে আমরা সকলেই এক একজন স্বৈরাচার। বর্তমানে এই শব্দটি বহুল ব্যবহৃত। তাই ভাবলাম যে প্রথমে একটু এই শব্দটির অর্থটি কি সেটাই একটু সহজ ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করি। আসলে এই ব্যাপারটির অর্থ অনেকটা বলা যায়, একজন ব্যক্তির শাসন। অর্থাৎ যে ব্যক্তি সবসময় নিজে শাসন করতে পছন্দ করে। সেই সাথে যে ব্যক্তি সব সময় নিজের ক্ষমতা দিয়ে সবকিছু চালাতে পছন্দ করে অন্য আর দশজন মানুষের কথা ছাড়াই। অর্থাৎ সে এভাবে সবকিছু চালায় যেনো তার কথাই শেষ কথা হয়।
এখন আমরা অনেক সময় আমাদের নেতা কিংবা আমাদের সরকার যা-ই বলি না কেনো। আমরা তাদেরকে স্বৈরাচার বলে আখ্যায়িত করি। কিন্তু আমরা এটা মানবো না, তবে এটাই সত্যিই যে আমরা সব সময় ভেতরে ভেতরে একজন স্বৈরাচারী। কারণ ধরুন আপনার বিপক্ষে কেউ কোনো কথা বললো। এর পরে কিন্তু আপনি আর সেই কথাটি কিংবা সেই ব্যক্তিটিকে পছন্দ করবেন না।
শুধু তাই নয়, আপনার কথার বিরুদ্ধে গিয়ে যদি কেউ কথা বলে। কিংবা আমি নিজের কথাই যদি বলি। আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে, আমার মতের বিরুদ্ধে যদি অন্য কেউ কথা বলে। তখন স্বাভাবিকভাবেই সেই মুহূর্ত থেকেই আমি আপনি ওই ব্যক্তিটিকে ঘৃণা করা শুরু করবেন এবং কোনো না কোনো ভাবে তাকে অপদস্ত করার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনারাই বলুন যে, আমি আপনি কি তবে স্বৈরাচার নয়? অবশ্যই আমরাও স্বৈরাচার। আমরা শুধুমাত্র সুযোগ পাইনা বলেই আমাদের এই খারাপ দিকটি আমরা সকলের সামনে তুলে ধরতে পারি না। যদি আমরাও সুযোগ পাই তাহলে আমরাও ঠিক এমনটাই করনো যেমনটা কোনো স্বৈরাচার করে। তাই আমরা যখন নিজেরাই জানি যে আমাদের ভেতরেও একজন খারাপ মানুষ রয়েছে। তাই আমাদের তা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।