প্রতারণা শিকার হয়ে প্রবাসীর জীবন অবসান (শেষ পর্ব)
শাওনের বড় ভাই জানায় যে মেয়ের সাথে শাওনের বিয়ে হয়েছিলো সেই মেয়ে শাওন সৌদি আরব যাওয়ার পরই তার পুরাতন প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে। এই কথা শুনে শাওন বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। বিয়েতে শাওন বহু টাকা খরচ করেছিলো। দেন মোহরের ২০ লক্ষ টাকা সে নগদ পরিশোধ করেছিলো। সেই সাথে প্রায় আরো ২০-৩০ লাখ টাকার স্বর্ণ দিয়েছিলো। মেয়ে শাওনের দেয়া সমস্ত টাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে অন্য ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়েছে।
শাওন চিন্তা করতে থাকে একটা মানুষ এতোটা বেইমান হয় কিভাবে? বিয়ের পরের কয়েকদিনে শাওন মেয়েটাকে ভালোবেসে ফেলেছিলো। তাই মেয়েটার শোকে শাওন রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়ে। সৌদি আরব থেকে শাওনের এক বন্ধু তার বড়ো ভাইকে ফোন দিয়ে জানায় শাওন খুবই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শুনে শাওনের বড় ভাই খুবই টেনশনে পড়ে যায়। তারপরের কয়েকদিন তার শাওনের সাথে কোনো যোগাযোগ হয় না। তার কয়েকদিন পরে সে শাওনের এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারে তার ছোট ভাই সৌদি আরবে মারা গিয়েছে।
রাতের বেলায় হঠাৎ করে তার হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট এটাক হওয়ার অল্প কিছুক্ষণের ভেতরেই তার মৃত্যু হয়ে যায়। শাওনের মৃত্যুর পরে তার বড় ভাই শাওনের লাশ দেশে নেয়ার চেষ্টা করে। তখন শাওনের বন্ধুরা জানায় শাওন মৃত্যুর আগে তাদের কাছে বলে গিয়েছে যে তার লাশ যেনো দেশে না নেয়া হয়। এই কথা শুনতে পেয়ে শাওনের ভাই তার ছোট ভাইয়ের লাস্ট দেশে ফিরিয়ে নেয়ার চিন্তা বাদ দেয়। এভাবেই একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রতারণের শিকার হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। (সমাপ্ত)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
শাওনের শেষ পরিণতি আসলেই খুব খারাপ হয়েছে। বেশ খারাপ লাগলো শাওনের জন্য। অনেক প্রবাসী এমন প্রতারণার শিকার হয়ে থাকে। শেষ পর্যন্ত শাওনের লাশটাও সৌদি আরবে দাফন করতে হলো। যাইহোক গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।