আমাদের সিরাজগঞ্জ শহর থেকে পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রীনবাংলা পার্ক আর এই পার্কের ভিতরে অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে। আসলে পার্কটি আগে অনেক ছোট ছিল।আর এখুন অনেক জায়গা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর পার্ক ছিল শিশু পার্ক, কিন্তু এই পার্কের ভিতরে এখন রিসোর্ট তৈরি করা হয়েছে, নতুন একটি দোতলা বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে, ও সুইমিং পুলসহ আর অরেক রাইডার রয়েছে আর বিল্ডিংটি এত সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে, যার মধ্যে অসাধারণভাবে দৃশ্য যেন ফুটিয়ে তুলেছে। এই রিসোর্ট এর ভিতরে ঢুকলে মনে হয় খুবি উন্নতি জায়গাতে আছি। সিরাজগঞ্জে এই প্রথম রিসোর্ট তৈরি করা হয়েছে এবং এখানে রেস্টুরেন্ট রয়েছে। পরিবেশ অনেক ভালো। তাই আমি ভ্রমনে গিয়েছিলাম। আর এই ভ্রমণের মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করতে আসলাম।

সিরাজগঞ্জে এই পার্কের ভিতরে অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো পরিবেশ। বিশেষ করে সবুজ প্রকৃতি যেন এই পার্কের ভিতরে বেশি রয়েছে। আমি কিছুদিন আগেও এই পার্কে ভ্রমণ করেছি।গতকাল আবারও বন্ধু সাথে ভ্রমণে এসেছিলাম। আরও নতুন নতুন কিছু দৃশ্য দেখতে পেলাম। তবে এর আগে আমি রিসোর্টের ভিতরে ঢুকিনি, এবার আমি আমার বন্ধুর সাথে এসেছিলাম যার কারণে এই রিসোর্টের এর ভিতর ছিলাম। আর ভিতরে পরিবেশটা ছিল অসাধারণ।

এই পার্কের ভিতরে চারপাশের পরিবেশ অসাধারণ ছিল। সবুজ প্রকৃতির গাছপালায় ভরপুর ছিল। ফুলে ফুলে সমাহার ছিল, আর এত সুন্দর পরিবেশ যার কারণে এই পার্কের ভিতরে আমি হেঁটে হেঁটে ভ্রমণ করতেছিলাম। আর চারপাশের দৃশ্য দেখতেছিলাম। আসলে হঁটে যাওয়ার মধ্যে অসাধারণ লেগেছে আমার। কারণ সবুজ প্রকৃতির দৃশ্যের মাঝে ফুলের সমাহার ছিল বেশি।

এই পার্কের দৃশ্যগুলো সত্যিই অসাধারণ। আমি এর আগে অনেকবার ভ্রমণ করেছি। যার কারণে সকল কিছু আমার চেনা। বন্ধু এবার ঢাকা থেকে প্রথম এসেছে। যার কারণে ওকে নিয়ে আমি ভ্রমণ করতেছিলাম।আর দৃশ্যগুলো দেখিয়ে দিচ্ছিলাম, ও যেন অনেক বেশি আনন্দিত হয়েছে। এই সবুজ প্রকৃতির দৃশ্য এবং এই সৌন্দর্যময় রিসোর্ট এর মাঝে ভ্রমণ করতে পেরে খুবি আনন্দিত ছিলো।

তারপরে হেঁটে হেঁটে আমরা রিসোর্ট এর একদম শেষের মাথায় আসলাম। সেখানে খুবই সুন্দর একটি টাওয়ার তৈরি করা হয়েছেম রাতের বেলা এখানে বিভিন্ন রকমের লাইটিংয়ের আলো জ্বলতে থাকে। আর এই দৃশ্যগুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আসলে যারা আবাসিক হোটেলে থাকে তারা রাতের বেলা এই সৌন্দর্যময় লাইটের আলোর দৃশ্য গুলো দেখতে পায়।

তারপরে সেখান থেকে আমরা পুকুর পাড়ে আসলাম। খুবই সুন্দর একটি পুকুর রয়েছে। আর এই পুকুরের উপরে রয়েছে সুইমিং পুল। আসলে পুকুর পাড়ে বসে থাকার জন্য খুবই সুন্দর একটা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে গাছের পাতা পড়ে এলাকা যেন একদম অপরিষ্কার হয়েছিল। যার কারণে আমরা সেখানে বসলাম না, তবে পুকুরের দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।

আসলে এই রিসোর্ট এর ভিতরে ঢুকলেই টিকিটের মূল্য দেড়শ টাকা, তবে ১৫০ টাকার সাথে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। যার কারণে আমরা কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি এবং ভ্রমণের পরে খাবার জন্য রেস্টুরেন্টে আসলাম। সেখানে আমাদের খাবার যে মেনু রয়েছে, সেখান থেকে আমি পাস্তা অর্ডার দিলাম।আসলে এই পাস্তা খেতে খুবই মজা লাগে আমার কাছে। আর বন্ধুতো ফটোগ্রাফি করা নিয়ে ব্যস্ত ছিলো।