বাবার সাথে প্রথম পাহাড়পুর ( সোমপুর মহাবিহার ) ভ্রমণ করার স্মৃতিময় গল্প// পর্ব- ২
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
বাবার সাথে ভ্রমণের মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ। আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনে বাবার সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। বিশেষ করে ছোটবেলা আমরা বাবার সাথেই আমরা ভ্রমণ করতাম আসলে বাবার সাথে ভ্রমণ করতে পেরেও যেন শান্তি লাগে, নিরাপদ ভাবে আমরা ভ্রমন করতে পারি। তাই বাবার সাথে আমরা অনেক ভ্রমণ করেছি। বিশেষ করে আমি আমার বাবার সাথে অনেক জায়গায় ভ্রমণ করেছি। আর এই ভ্রমণের মুহূর্তগুলো অনেক বেশি আনন্দদায়ক ছিল এখন আর বাবার সাথে ওইভাবে কোথাও ভ্রমণ করা হয় না। বন্ধুদের সাথেই বেশি ভ্রমণ করে থাকি। তবে কোথাও ভ্রমন করলে ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো যেন চোখের সামনে ভাসতে থাকে। তাইতো আপনাদের মাঝে বাবার সাথে সোমপুর বিহার ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম সেই গল্পটি শেয়ার করতেছিলাম। আজকে এই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম।
তারপরে আমি যখন বাবার সাথে পাহারপুরে আসলাম, পাহাড়পুরে প্রবেশ করার পরে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আসলে বগুড়া মহাস্থানঘরে করে অবস্থিত এই সম্পূর্ণ পাহাড়পুর, এখানে এসে যেন অনেক বেশি ভালো লাগলো। আমি যেন এই সবুজ প্রকৃতির পাহাড়ের মধ্যে হারিয়ে গেলাম। আসলে অনেক ইচ্ছা ছিল পাহাড়পুরে আসবো। এই ঘটনাগুলো বইয়ে পড়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছিলাম। যার কারণে চোখের সামনে দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। আসলে বেহুলা লক্ষীনের বাসর ঘরছিল এই পাহাড়পুরে, যার কারণে অনেক কৌতূহল নিয়ে এটা দেখতে আমি এসেছিলাম।
প্রাচীনকালের অনেক ঐতিহ্যময় স্মৃতি যেন এই সোমপুর বিহারের অবস্থিত, কারণ এটি প্রাচীন ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেয়। আসলে বাংলাদেশ জন্ম এবং প্রাচীন ইতিহাস জানা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাইতো পুরনো প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জায়গায় ভ্রমণ করা উচিত, কারণ এই সকল জায়গায় যদি আমরা ভ্রমণ করি। তাহলে অনেক কিছুই আমরা জানতে পারি, শুধু বইয়ে গল্প পড়েই আমরা অনেক কিছু জানতে পারবো না। যখন আমরা সেই জায়গাটি ভ্রমণ করব তখন সেই জায়গার সম্পর্কে আমরা যে ধারণা অর্জন করব। এই ধারণা আমাদের স্মৃতির পাতায় থেকে যাবে সারাটি বছর। আমি বইয়ের যতই পড়ি না কেন, সেই ঘটনা বা সেই ইতিহাস আমি বেশি দিন স্মরণ রাখতে পারবো না। কিন্তু আমি যদি বাস্তবে গিয়ে সেই জায়গায় ভ্রমণ করে থাকি, তাহলে সেই গল্পটি বা সেই ইতিহাস আমি কখনোই ভুলতে পারবো না।
তাইতো এই মহাস্থান ঘরে এসে আমার অনেক ভালো লাগলো। পুরনো ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছুই আমি জানতে পারলাম। আরো কৌতুহল নিয়ে আমি অনেক কিছু জিজ্ঞেস করলাম। তারপরে আমরা এই অবস্থান ঘরের উপরে উঠতে লাগলাম। আসলে উপরে ওঠার জন্য সিঁড়ি রয়েছে, তবে উপরে উঠে কোথায় দিয়ে নামবো অনেকগুলোই রাস্তা রয়েছে। আমি যেন বুঝতেই পারলাম না, আসলে এত সুন্দর এবং এত যত্ন সহকারে এটি তৈরি করা হয়েছিল, সেটা ভাবতে অবাক লাগে। মাটির নিচে হাজার বছর ধরে ছিল এই মহাস্থানঘর,মাটির নিচ থেকে খননের মাধ্যমে এটি আমাদের মাঝে এসেছে। আসলে প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে জানতে গেলে পুরনো ইতিহাস জানতে গেলে মনের মধ্যেই অনেক যেন কৌতুহল কাজ করে।
আসলে আমরা সেই পাহাড়পুরে এসেছি, এই পাহাড়পুরের অনেক ইতিহাস রয়েছে। সেই ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা দিতে সেখানকার কিছু মানুষ রয়েছে। তারা এসে আমাদের প্রাচীন ইতিহাস কোথায় কোথায় ঐতিহ্যবাহী ঘটনা ঘটেছিল, সেই সকল বলতে ছিলো।আসলে আমরা সকল কিছু বইয়ের মাধ্যমে জানতে পারি, কিন্তু কোন জায়গায় কি হয়েছিল সেই জায়গাগুলোর দিক নির্দেশনা সেখানকার পরিচিত মানুষরাই দিয়ে থাকে। এরা খুবই সুন্দরভাবে আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছিলো, প্রাচীন ইতিহাস কোথায় কোথায় ঐতিহ্যবাহী ঘটনা গুলো ঘটেছিলো।সেগুলো জানতে পেরে মনের ভিতর থেকেই যেন অন্যরকম একটা অনুভূতি আমার কাজ করতেছিলো।
https://x.com/rayhan111s/status/1876261459963048154?t=6MiMNj1AIypEkvJVg6LJ-w&s=19
পরিভ্রমণের মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ। আপনি আপনার বাবার সাথে পাহাড়পুরে গিয়েছিলেন এবং অনেক কিছু ভ্রমণ করে দেখলে, আসলে পাহাড়পরে ভ্রমণের মজাটাই অন্যরকম দেখা যাক আগামী পর্বে কি হয়। আর বেহুলা ও লক্ষীদের বাসর ঘর দেখার ইচ্ছা আমারও অনেক রয়েছে।