আসসালামু আলাইকুম/🌺
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনে এমন কিছু ঘটনা রয়েছে। যে ঘটনাগুলো আমরা সারা জীবন মনে করি। আসলে সেই ঘটনাগুলো ভুলে যেতে চাইলেও আমরা ভুলতে পারিনা। তাই রাতের বেলা ভয়ানক কিছু ঘটনা জীবনে চলতি পথে হয়ে থাকে। বিশেষ করে আমরা যখন রাতের অন্ধকারে গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে হেঁটে যায় তখন যেন এই ভয়ানক দৃশ্য গুলো আমাদের চোখে সামনে অনেকবারই পরে। আমি যেহেতু গ্রামে বসবাস করেছি, যার কারণে আমারও চোখে সামনে এবং রাতের বেলা অনেক মুহূর্ত আমি উপভোগ করেছি। যে মুহূর্তগুলো খুবই কষ্টদায়ক ছিল। তাই স্মৃতির পাতা থেকে একটি ভয়ানক রাতের গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে ছিলাম।আজকে সেই গল্পের ২য় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম।
source
তোর রাতের বেলা আমি আর মামাতো ভাই মোটরসাইকেল নিয়ে কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি কালো বিড়াল দেখে অনেক ভয় পেয়েছিলাম। আসলে সেই বিড়ালটি এত ভয়ানক ছিল যা দেখে আমিও চিৎকার করেছি। আর মামাতো চিৎকার করে উঠেছিল। তারপরে আমি মামাতো ভাইকে শান্তনা দিলাম আরে ভয় পাস না ওরা তো কালো বিড়াল। তারপরে তাকিয়ে দেখতে পেলাম কালো বিড়াল কোথায় গেল আমি যেন আর খুঁজেই পাচ্ছিলাম না। মনের ভিতরে আরো ভয় হচ্ছিলো। তারপরও আমি সেখান থেকে মোটরসাইকেল তাড়াতাড়ি নিয়ে চলে আসলাম এবং রাতের বেলা খুবই ভয় হচ্ছিল কোথাও কোন গাড়ি নেই। আসলে গ্রামের এরকম রাস্তার মধ্যে দিয়ে দুই ভাই মিলে রাতের বেলা হেঁটে যাওয়ার অনেক কষ্টদায়ক ছিল।
তারপরে আমরা অনেক দূর এগিয়ে আসলাম। সেখানে একটা ভ্যানকে দেখতে পেলাম।সেই লোক রাতের বেলা ভ্যান চালিয়ে যাচ্ছে। সেই লোকে আমরা বললাম ভাই আশেপাশে কি কোন দোকানপাট রয়েছে পেট্রোল নেওয়ার জন্য। সে বলল যে আশেপাশে তো কোন দোকান নেই। তবে আমি যদি সামনে কোন পেট্রোলের দোকান পাই কিংবা মোটরসাইকেল কাউকে পাই তাহলে তোমাদের কাছে আসতে বলবো।আমরা বললাম ঠিক আছে ভাই, আমরা ছোট মানুষ রাস্তায় খুবই ঝামেলায় পড়ে গেছি। যদি কেউ সাহায্য করতে অনেক ভালো হতো।
source
তারপরে হেঁটে হেঁটে আমরা চাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথেই একটি দোকান খোলা দেখতে পেলাম। আমরা ভেবেছিলাম সেই দোকানে হয়তোবা পেট্রোল পাব। তবে সেই দোকানে গিয়ে আমরা কোন পেট্রোল পেলাম না। সে দোকানটা ছিল অন্য দোকান। যার কারণে তাকে বললাম যে ভাই আমাদের কি কোন সাহায্য করা যাবে। আমরা তো কোন পেট্রোল পাচ্ছি না। যেতেও পারছি না। তখন সে বলল যে আমাদের এখানে তো পেট্রোল নেই এবং আশেপাশে কোন দোকান খোলা নেই। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। তখন আমরা সেই দোকানে কিছুক্ষণ বসে একটু খাওয়া দাওয়া করলাম। কারন মোটরসাইকেল নিয়ে হেঁটে হেঁটে আসতে আমাদের ক্ষিদা লেগে গিয়েছিল। হালকা কিছু খাবার খেয়ে আবার আমরা সেখান থেকে আরো একটু সামনের দিকে হাঁটা শুরু করে দিলাম।
তার কিছুক্ষণ পরে একটি মোটরসাইকেল আসলো আর সেই মোটরসাইকেলে আমরা হাত দিয়ে থামালাম। বললাম যে আমরা খুবই বিপদে পড়ে রয়েছি এবং সেই মোটরসাইকেলে ছিল আমাদের স্কুলের স্যার। দেখেই তো আমি অবাক হয়ে গেলাম। স্যার বলল কিরে রায়হান তুই এখন এত রাতে এখানে কি করিস। বললাম স্যার আমার মোটরসাইকেল নিয়ে আপুর বাসায় যাচ্ছিলাম। রাস্তার ভিতরে আমাদের তেল শেষ হয়ে গেছে। যার কারণে আমরা দুই ভাই মিলে এখন হেঁটে হেঁটে যাচ্ছি। তখন বলল এত রাতে এখান দিয়ে তোদের তো অনেক বিপদ হয়ে যাবে। কিভাবে তোরা হেঁটে যাবি এতদূর আশেপাশে তো কোন পেট্রোলের দোকানে এখন খোলা নেই। আচ্ছা দাঁড়া আমি কোন ব্যবস্থা করতে পারি কিনা। তো বন্ধুরা আজকের পর্ব এখানেই শেষ করছি। পরবর্তী পর্বে স্যার আমাদের কিভাবে সাহায্য করেছিল সেই অংশটুকু আপনাদের মাঝে শেয়ার করবেন ইনশাআল্লাহ।
🙏🤲🙏
গল্পটি চলমান,,,,,,।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।
👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
প্রতিদিনের কাজের প্রমাণ👇
https://x.com/rayhan111s/status/1858488101594939529?t=q8n5HRbcBDKmKPab4xWmsg&s=19
আপনার গল্পের আগের পর্ব পড়া হয়নি তবে এই পর্ব পড়ে ভালো লাগলো। রাতের বেলা গ্ৰামের মেঠো পথ মানেই গা ছমছম করা ঘটনা। যদিও আমি রাতের বেলা কোথাও যায়নি আর কিছু চোখেও পড়েনি। যদি কখনও এমন কিছু দেখি তাহলে হয়তো হার্ট অ্যাটাক করবো। সন্ধ্যা হলেই গ্ৰামগঞ্জ একদম নিরিবিলি হয়ে যায় আর সেই সময় চলাচল করতে খুব ভয় লাগে। আপনারা দু'জন এই রাতের বেলা মোটরসাইকেল নিয়ে ভালোই বিপদে পড়েছেন। দেখা যাক আপনার স্যার কিভাবে আপনাদের সাহায্য করলো।
আপনার গল্পের আগের পর্ব পড়া হয়নি তবে এই পর্ব পড়ে ভালো লাগলো। রাতের বেলা গ্ৰামের মেঠো পথ মানেই গা ছমছম করা ঘটনা। যদিও আমি রাতের বেলা কোথাও যায়নি আর কিছু চোখেও পড়েনি। যদি কখনও এমন কিছু দেখি তাহলে হয়তো হার্ট অ্যাটাক করবো। সন্ধ্যা হলেই গ্ৰামগঞ্জ একদম নিরিবিলি হয়ে যায় আর সেই সময় চলাচল করতে খুব ভয় লাগে। আপনারা দু'জন এই রাতের বেলা মোটরসাইকেল নিয়ে ভালোই বিপদে পড়েছেন। দেখা যাক আপনার স্যার কিভাবে আপনাদের সাহায্য করলো।