ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার প্রথম যখন প্রধান সড়কে বাইক চালাই......
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। আজ শুক্রবার ছিলো। আর ভার্সিটি ফাঁকি দিতে পারায় একটু চিলে আছি আরকি। আরো বেশি ভালো লেগেছিলো আজ বন্ধুর সাথে বাইক নিয়ে বের হয়েছিলাম। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পর এই প্রথম আমি মেইন রোডে বাইক চালিয়েছি। সাথে পুলিশ আটকেছিলো কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখিয়েছি আর ছেড়ে দিয়েছে। এসব নিয়েই কথা বলবো আজ। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের।
সকাল ১০ টার দিকে বন্ধুর ফোন। বললো একটু মার্কেটে যাবে আমাকেও যেতে হবে সাথে। আমিও তাই করলাম। সকালের খাওয়া শেষ করেই চলে গেলাম। আমাদের এইদিকে রাজুক মার্কেটে গেলাম। সেখানে ও ওর ফোন দিলো এক দোকানদার কে। সাথে ওর ফোনের জন্য ব্যাক পলি লাগালো দারুণ একটা। যেটা আমারো অনেক পছন্দ হয়েছে। আমিও সুযোগে একটা ক্যামেরা প্রটেক্টর লাগিয়ে নিলাম। এরপর বাসায় আসার সময় আমার বন্ধু শুভ বললো চল বিকেলে দিয়াবাড়ি যাই। আমিও বললাম ঠিক আছে যাওয়া যায়। তারপর ও বললো তাইলে আমি যেনো আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে বেড় হই। ও ওর গাড়ির কাগজ পত্র নিয়ে আসবে। আমি একটু বললাম যে স্মার্ট কার্ড লাগবেনা। আমার কাছে ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে। যেটা ফোনে দেখালেই হবে। তবুও বললো নিয়ে আসতে। আমিও বললাম ঠিক আছে নিয়ে আসবো। এরপর বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে জুম্মার নামাজ পড়তে গেলাম এরপর এসে খাওয়া দাওয়া করে একটু খেলা দেখলাম বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ওয়ার্ম আপ ক্রিকেট ম্যাচ। এরপর একটু ঘুম দিলাম।
ঘুম ভাঙ্গলো ৩টা ৪০ এর দিকে। আমি তখন ফেসবুক এ শুভ কে নক দিলাম। জিজ্ঞেস করলাম কখন বের হবে। ও বললো ৪ টার দিকে রেডি থাকতে। আমিও সবার প্রথমে আমার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সটা আমার ওয়ালেট এ নিয়ে নিলাম। যদিও ই ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে সাথে। তবে সাবধানের মার নেই। দেখা গেলো সার্জেন্ট এটা নিয়ে সমস্যা তৈরি করলো। যাক এরপর আমি প্রস্তুত হয়ে শুভ কে কল দিলাম। ও বললো ওর বাসার নিচে চলে আসতে। আমিও চলে গেলাম। এরপর হেলমেট সহ দুজন বের হলাম। এলাকাতে শুভ চালালো। তবে দুজনই আমরা পরিপূর্ণ ছিলাম। দুজনেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে। আর গাড়ির কাগজ ও আছে শুভর। যাক তেল ভরতে চলে গেলাম কুড়িল। কিন্তু সেখানের পেট্রোল পাম্প এ অকটেন ছিলোনা। তখন আমরা গাড়ি ঘুড়িয়ে চলে আসলাম। খিলক্ষেত থেকে তেল ভরে রউনা দিলাম। একটু সামনে যেয়ে শুভ আমাকে চালাতে বললো। আমার জীবনের প্রথম মেইন রোডে বাইক চালানো। বড় বড় গাড়ির পাশ দিয়ে। ভয়ে ছিলাম। তবে শুভ পিছন থেকে বলে বলে দিচ্ছিলো। আমি বার বার ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে দেখতেছিলাম গাড়ি আছে কিনা। তখন শুভ বললো লুকিং গ্লাস দেখতে।
এমনিতে এলাকাতে অনেক বাইক চালিয়েছি। তবে মেইন রাস্তায় এটাই প্রথম। এটা ছিলো খিলক্ষেত এয়ারপোর্ট এর রাস্তা। খুবই ব্যস্ত সড়ক। তবে সাবধানে চালাচ্ছিলাম। ভালো লাগছিলো খুব। স্মুথ ভাবেই গিয়ার শিফটিং করছিলাম। যেহেতু অভিজ্ঞতা ছিলো। এভাবে আমরা উত্তরা পার করে চলে গেলাম হাউজবিল্ডিং। সেখানে ভেতরে ঢুকতেই ট্রাফিক পুলিশ আটকালো আমাদের। আমি ওয়ালেট বার করতে যাবো আর বন্ধু বললো আগে ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে। তাই ফোন থেকে ই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখালাম। উনি দেখেই বললেন এবার গাড়ির কাগজ দেখাতে। যেহেতু গাড়ি আমার বন্ধুর। তাই সে কাগজ দেখালো। তারপর তিনি বললেন ঠিক আছে। এবার শুভ ড্রাইভ করতে বসলো। কারণ সামনে জ্যাম আছে। আর প্র্যাকটিস না থাকায় জ্যাম এর মধ্যে স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। কিক স্টার্ট দিয়ে স্টার্ট করাও ঝামেলা। যাক এরপর আমরা দিয়াবাড়ি চলে গেলাম। সেখানে ঘুরে তারপর বাসায় চলে আসলাম।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সুন্দর একটা অনুভূতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান, তাই বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট। যেখানে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অনুভূতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অবশ্য প্র্যাকটিস না থাকলে যানজটের মধ্যে নিজে বাইক না চালানো উচিত। যারা বেশি অভিজ্ঞ তাদের দিয়ে চালানোটাই বেটার, তাই আপনি ভালো কাজই করেছেন শুভকে দিয়ে বাইক চালিয়ে। আরেকটি বিষয় অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষার পর কোন কিছু হাতে পাওয়ার মধ্যে থাকে অন্যরকম আনন্দ ভালোলাগা ঠিক সেই অনুভূতিটাই আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ।
হুম ভাই। এ জন্যই তখন বন্ধু চালিয়েছে। তবে আমি বাইক কিনলে চালাইতে চালাইতে তখন আমারো অভ্যাস হয়ে যাবে।
প্রথমেই অভিনন্দন জানাই প্রথম এভাবে গাড়ি চালানোর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
সত্যিই আপনার দারুন অনুভুতিটা একটু হলেও আঁচ করতে পারছি।
উত্তরার দিকটায় গাড়ির বেশ চাপ থাকে, তার মধ্য দিয়ে ভালোই এক্সপিরিমেন্ট করেছেন। আবার সবথেকে দিয়াবাড়ি ঘুরে এলেন। দারুন ব্যাপার ছিল 👌
হ্যা ভাই ওই রোড টা সব সময় ব্যস্ত থাকে। আর বড় কথা হচ্ছে দিনটা ছিলো শুক্রবার।
ছেলেদের সব থেকে প্রিয় একটি জিনিস হল বাইক। আর এখন তো ড্রাইভিং লাইসেন্স বাদে বাইক চালানো অনেক রিস্কি হয়ে গিয়েছে। পুলিশ মামা ধরলে করবে মামলা। আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে বাইক চালানোর অনুভূতির বেশ ভালো লাগলো। সাবধানে বাইক চালাবেন ভাইয়া
জ্বি ভাইয়া। ড্রাইভিং লাইসেন্স করে ফেলেছি। ইন শা আল্লাহ বাইক ও কিনবো একদিন।