বছরের প্রথম - খেজুর রস খাওয়ার অভিযান।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। প্রতিবছর আমরা সবাই একসাথে দল বেঁধে যাই খেজুরের রস খেতে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রত্যেক বছর অনেক দূরে যাওয়া হয়। সেই ভোরে বেরিয়ে পড়ি আমরা সবাই একসাথে।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও সবাই একসাথে বসে আলোচনা করছিলাম কবে যাওয়া যায়। আমাদের মধ্যে কয়েকজন ছুটিতে বাড়ি আসছে, খুব দ্রুতই প্ল্যান প্রোগ্রাম ফাইনাল করতে হবে। অবশেষে গতকালকে সকালে যাব বলে প্ল্যান করলাম। তবে এবার কিছুটা ব্যতিক্রম সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এবার আর দূরে যাব না। আমার পাশের এলাকাতেই এক জায়গা অনেকগুলো খেজুরের গাছ আছে। যিনি গাছি তিনিও মোটামুটি পরিচিত। আমরা তার সাথে কথা বলে আগে থেকেই ফাইনাল করে রাখলাম।
আমরা মোট ১২ লিটার রস নিব বলে রাখছিলাম। খাওয়ার জন্য যে রসগুলো রাখবে সেগুলো গাছের ভাড় আলাদাভাবে ঢেকে রাখতে হয়। সবকিছু ঠিকঠাক রেখে আমরা গতকাল সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বেরিয়েছিলাম রস খাওয়ার উদ্দেশ্যে।
আমরা মোট ১১ জন গিয়েছিলাম। গাছির বাড়িতে গিয়ে সবাই দেখতে পেলাম রস জ্বালাচ্ছে, আর আমাদের জন্য আলাদা করে রেখে দিয়েছে। বছরের প্রথম খেজুর রসের ক্লাসে চুমুক দিলাম। এক বছর পর খেজুরের রসের মিষ্টি স্বাদ আর অনবদ্য ফ্লেভার দারুন উপভোগ করলাম। সবাই যে যার মত বাড়ীর জন্যও কিছু রস নিয়ে নিল।
এবার সবাই মিলে চলে গেলাম নদীর ধারে। সবেমাত্র সূর্য উঠতেছে। দারুন একটা পরিবেশ। পরিবেশটা খুবই সুন্দর লাগছিল তখন। এরকম একটা সকাল কার না ভালো লাগবে!! কি মিষ্টি রোদ, পানির মধ্যে সূর্যের আলোর রিফ্লেকশন। ঠান্ডা খেজুরের রস খেয়ে গায়ে যে কাঁপুনি উঠে গিয়েছিল তা এই মিষ্টি রোদে কিছুটা কমলো।
আধা ঘন্টা মতো নদীর পাড়ে সময় কাটিয়ে সবাই একসাথে চলে গেলাম বাজারে। বাজারে গিয়ে একটি হোটেল থেকে সবাই খিচুড়ি, মরিচ ভর্তা, আলু ভর্তা আর ডিম ভাজি নিলাম। খিচুড়িটা খুব মজা ছিল। খুব মজা করে খেলাম সবাই ।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এরপর আবার বাড়ির দিকে ফিরে আসলাম সবাই। পরের দিনের জন্য আরো কিছু রস রেখে দিতে বলে আসছিলাম আমরা। কয়েকজন বাড়ির জন্য আরও রস নিবে তাই। আসলে এরকম খাঁটি রস এখন পাওয়াই দুষ্কর। যেখানেই যাওয়া যায় সেখানেই পানি মিশানো। যাই হোক সবমিলিয়ে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বাহ্! পোস্টটি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। আসলেই এখন খাঁটি রস পাওয়াটা মুশকিল। এই বছর খেজুরের রস খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি এখনো। খাঁটি রস পেলে অবশ্যই খাবো। ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। সকাল সকাল খেজুরের রস খেয়ে, নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরি করে,তারপর মজার খিচুড়ি খেয়ে, এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন আপনারা। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
0.00 SBD,
0.03 STEEM,
0.03 SP
খেজুর রস খাওয়ার উদ্দেশ্যে দারুণ অভিযান চালিয়েছেন তো সবাই মিলে। শীতের এই সময় টাটকা খেজুর রস খাওয়ার মজাই আলাদা।
মরিচ ভর্তা হয় আগে জানতাম না প্রথমবার শুনলাম। এভাবেই সবাই মিলে আনন্দে থাকুন।
0.00 SBD,
0.03 STEEM,
0.03 SP
শিতের এই সময় টাটকা খেজুরের রস খাওয়ার মজাই আলাদা।মরিচ ভর্তা দেখেই তো লোভ লেগে গেল। খিচুড়ির সঙ্গে মরিচ ভর্তা স্বাদে অতুলনীয়।যাই হোক খাঁটি খেজুরের রস পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো আর বাজারের কেনা রসগুলো তো পানি মিক্স করা থাকে।ফটোগ্রাফি গুলো এক কথায় অসাধারণ ছিল। অনেক ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
0.00 SBD,
0.03 STEEM,
0.03 SP
সকালে খেজুরের রস খাবার মধ্যে মজাটাই যেন অন্য রকমের। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে ও শীতের সকালে খেজুরের রস খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনারা দেখছি ১১ জন একত্রিত হয়ে এত দূরে খেজুরের রস খেতে গিয়েছিলেন।
0.00 SBD,
0.03 STEEM,
0.03 SP
দাদা আপনাদের এই বিষয়টি আমার কাছে জাস্ট অসাধারণ লাগে যে,আপনারা সবাই একত্রে বেরিয়ে পড়েন ভ্রমন কিংবা কোনো কিছু খাওয়ার উদ্দেশ্যে।বর্তমানে এমনটা খুবই কম দেখা যায় গ্রামেও,আসলে এই বছরের প্রথম রস খাওয়ার অনুভূতি পড়ে বেশ লাগলো।যদিও রস আমরাও খেতে পারলে আরো বেশ হতো,হি হি।যাইহোক খিচুড়ি আমারও খুবই প্রিয়,ধন্যবাদ আপনাকে।
ভোরবেলা সকলে মিলে দারুন সুন্দর আনন্দ করে কাটিয়েছেন। সকাল সকাল খেজুর রস খেতে সত্যি দুর্দান্ত লাগে। আমি দুবার খেজুর রস খেয়েছি। খেজুর রসের ছবিগুলি দেখে এখনই যেন লোভ আসছে। তারপরে সূর্যোদয় দেখে খিচুড়ি খেয়ে ও সময়টা খুব সুন্দর অতিবাহিত করলেন। মাঝে মাঝে এমন সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে।