নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভাল!
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ। কেমন আছেন আপনারা সবাই ? গরমের দিন প্রায় ফুরিয়ে এলো। সামনে আসতে চলেছে শীত। আর এই শীতের সময় আমার সব চেয়ে পছন্দের। আমি শীতের সময় প্রচুর প্রচুর ব্লগ আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো মুহূর্তগুলো, আমার চিন্তা ভাবনা, আমার অনুভূতিগুলো নিয়ে। শীতের সময় টা আমি সবচেয়ে বেশি এনজয় করি। কিন্তু আজ শীতকালীন কোন বিষয় নিয়ে আমি পোস্ট লিখেছি না।আজকের ওয়েদার টা আমার কাছে তুলনামূলক ঠান্ডা লাগছিল। এজন্য শিরোনামেই শীত বিষয়ক কিছু আলোচনা চলে আসলো। যাই হোক আমরা প্রধান টপিকস নিয়ে আলোচনা শুরু করি।
আচ্ছা আপনি কি কখনো সমালোচিত হয়েছেন? কেউ কি আপনার কোন কাজ নিয়ে সমালোচনা করেছে ? এমন মানুষ দুনিয়াতে খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন যারা ভালো কিছু করছে কিন্তু সমালোচনার শিকার হয় নাই। সমালোচনার মতন এই বিষয়টি কারো জীবনের সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় আবার কারো জীবনে এনার্জির মত কাজ করে। মানুষ তখনই সমালোচনা করে যখন অন্যের সফলতা তার নিজের সহ্য হয়না বা সে নিজে সেটা করতে পারে না। বর্তমানে দুনিয়াতে মানুষ কত ব্যস্ত। কারোর কি সময় আছে অন্যের বিষয়ে ভাবার? তার পরেও যারা সমালোচনা করে তাদের দেখুন, যাকে নিয়ে সমালোচনা করে তার বিষয় নিয়ে সে কিন্তু ভাবে। ধরুন আপনার নিয়ে কেউ একজন সমালোচনা করছে। আপনি একটা ভাল কাজ করতেছেন, আপনি কোন একটা নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন, জীবনে সফলতা পাওয়ার জন্য আপনি সেই পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে কেউ এসে আপনার সমালোচনা করছেন। রীতিমতো আপনার নামে নিন্দা করে বেড়াচ্ছে। তাহলে ভাবুন সে কিন্তু আপনার নিয়ে চিন্তা করছে। আপনার জন্য সময় ব্যয় করছে। আপনি কিন্তু তার মধ্যে একটা জায়গা দখল করে নিয়েছেন। আপনি যদি সঠিক পথে না হাঁটতেন তাহলে কিন্তু ওই সমালোচনাকারী আপনাকে নিয়ে কখনোই ভাবতো না । কারণ সে তো আপনার ভাল চায় না। সে চায় আপনি যাতে উপরে উঠতে না পারেন।
এজন্য সমালোচনাকে আপনি আপনার জন্য বাঁধা মনে করবেন না, বা সমালোচনার জন্য আপনার ইচ্ছাশক্তিকে দমিয়ে রাখবেন না। ওটাকে আপনার শক্তিতে রূপান্তরিত করুন। যেমন আমি আপনাদের একটা উদাহরণ দিই।ধরুন, আপনি একটা ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করলেন। এরপর আপনি সেই পরিকল্পনা সম্পর্কে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করলেন। সবকিছু শেয়ার করার পর আপনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন এ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা টা কেমন? আপনার বন্ধু যদি বলে এই ব্যবসার পরিকল্পনাটি আমার একদমই পছন্দ হয় নাই বা পরিকল্পনাটি একদমই ভাল ছিলনা। তাহলে আপনি তাকে প্রশ্ন করুন যে এই পরিকল্পনায় কি কি সমস্যা ছিল, এই পরিকল্পনাটি কিভাবে সাজানো যেতে পারে। আপনার বন্ধুর কাছে যে কারণে আপনার পরিকল্পনাটি ভালো বলে মনে হচ্ছেনা না, সেই কারণগুলো শুধুমাত্র তার কাছ থেকে জানার চেষ্টা করুন। যেহেতু আপনার বন্ধুর কাছে ওই পরিকল্পনাটি পছন্দ হয় নাই অর্থাৎ সে কোন ভুল ত্রুটি উপলব্ধি করতে পেরেছে । সে নিশ্চয় জানে ভুলগুলো কোথায় এবং সেটা কিভাবে সমাধান করতে হবে ।কারণ ,যে ভুল আইডেন্টিফাই করতে পারে সে সমাধান ও দিতে পারে। এজন্য আপনার বন্ধুর কাছে যখন আপনি জিজ্ঞাসা করবেন তখন যদি সে সঠিক ভাবে আপনার কাছে আপনার পরিকল্পনাটির ত্রুটি গুলো ধরিয়ে দেয় তাহলে সবকিছু ঠিক আছে। অর্থাৎ আপনার বন্ধুটি আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী । কিন্তু যদি সে কোন কিছু উত্তর না দিতে পারে অর্থাৎ কোন সমাধান না দিতে পারে তাহলে আপনি ধরে নিবেন আপনার বন্ধুটি শুধুমাত্র আপনার সফলতা কে পছন্দ করছে না বিধায় আপনার পরিকল্পনায় ভেটো দিচ্ছে।
সকল ধরনের নিন্দা বা সমালোচনাকে আপনি আপনার নিজের শক্তি ভাবতে চেষ্টা করুন। কারণ আপনি যদি সঠিক পথে না থাকতেন তাহলে কেউই আপনার নিয়ে সমালোচনা করত না। যখনই আপনার নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে তখন বুঝে নিবেন আপনি সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। আপনি জীবনে যত বেশি সাকসেসফুল আপনার নিয়ে সমালোচনা ও ততো বেশি। এজন্যই তো কবি বলেছেন "নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভাল" এই উক্তিটি করার কারণ হলো, আপনার প্রকৃত অবস্থান তারাই বুঝিয়ে দেয় যারা আপনার নিয়ে সমালোচনা করে। এ জন্য সমালোচিত হলে আপনি নিশ্চিত থাকবেন যে আপনি ঠিক পথেই এগোচ্ছেন।
তবে সাবধান, আমরা যেন সমালোচনাকারী না হই।
সমালোচনা আসলে বিভিন্ন রকমের হতে পারে ।সমালোচনার মধ্যে আমরা নারী-পুরুষ উভয়েই জড়িত ।কখনো না কখনো ভুলবশত কমবেশি আমরা সবাই সমালোচনা করে ফেলি । কিন্তু আসলে এটি অত্যান্ত খারাপ একটা জিনিস ।যারা ভালো কিছু করছে ,আমাদের উচিত তাদেরকে প্রতিনিয়ত উৎসাহ দেওয়া এবং যারা খারাপ কিছু বা ভুল কিছু করছে তাদেরকে সেটি ধরিয়ে দেওয়া। যাতে সে নিজেকে শুধরে নিতে পারে । এমন যদি আমরা সকলেই করতে পারি তাহলে আমাদের পৃথিবীটা সত্যিই অনেক সুন্দর হয়ে যাবে । আমরা সবাই অনেক ভাল ভাবে টিকে থাকতে পারবো আমাদের জীবন যুদ্ধে।তাই আসুন আমরা সবাই নিজেদেরকে পরিবর্তন করি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
একটি উৎকৃষ্ট মানের মনস্তাত্ত্বিকও যুক্তিযুক্ত পূর্ণ আর্টিকেল লিখেছেন আপনি।আমাদের অত্যন্ত সতর্কতার সাথে কোনটা গঠনমূলক সমালোচনা আর কোনটা শুধুই নিছক নিন্দা সেটা identify করতে হবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
জি দাদা,, গঠনমূলক সমালোচনা আমাদের জন্য খুবই ভালো। আর গঠনমূলক সমালোচনা করলে মানুষের ভুল ত্রুটিগুলো সহজেই আইডেন্টিফাই করা যায়।
আসলেই ভাইয়া। আমার আশেপাশেও এমন অনেক মানুষের অস্তিত্ব ই টের পাই যারা অনেক বেশি ভুল ধরতে পারে। কিন্তু ভুলগুলো শুধরে দেওয়ার ইচ্ছা তাদের মধ্যে বিন্দু পরিমাণ ও নেই।। আপনার লেখা মানেই সবসময় ভালো কিছু।
আসলে তারা নিজেরাই তো জানেনা যে ভুলটা কি। শুধুমাত্র ছোট করতে হবে এজন্য ভুল ধরার চেষ্টা করে।
হ্যা ভাইয়া, ছোট খুব ভালো করতে পারে।
সমালোচনা আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন জানি একে অন্যের সমালোচনা নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকে সবাই। আমার পিছনে কে কি বলল সেটা আমার দেখার বিষয় না। আমি জীবনে কি হতে পেরেছি এবং কতটা সফলতা অর্জন করতে পেরেছি সেটাই দেখার বিষয়। কেন জানি আপনার লেখা পড়লে সব সময় আমার নিজের কথাগুলো মনে পড়ে যায়। আপনার লেখাগুলোর মাঝে আমার নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পাই। মনে হয় যেন নিজের মনের কথাগুলোকে উপস্থাপন করে দিয়েছেন।আমরা যদি আমাদের সমালোচনাগুলো কে কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাই এবং আমাদের মধ্যে নতুন ইচ্ছাশক্তি তৈরি হয় তাহলে সফলতা অর্জন করতে পারবো। আগে অন্যের মুখে নিজের সমালোচনা শুনলে খারাপ লাগতো। এখন কেন জানি খারাপ লাগাগুলো হারিয়ে গেছে। তাদের এই সমালোচনার তিরস্কার মুলক কথাবার্তা গুলো আমাকে ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগায়। পৃথিবীর প্রত্যেকটি ব্যক্তিকেই খারাপ কিছু থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে নতুন পথে এগিয়ে যাওয়া উচিত। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া এত সুন্দর ভাবে প্রতিটি বিষয় উপস্থাপন করার জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন। পিছনে কে কি বলল সেটা নিয়ে বসে থাকলে কখনোই সামনের দিকে আগানো যায় না। সমালোচনাকে বাধা হিসেবে না দেখে সমালোচনাকে মই হিসেবে বেছে নিতে হবে।
নিন্দা কারিকে আমি ও খুব পছন্দ করি, কারণ সে আমাদের অন্তরের সব কাল ধুয়ে মুছে দেয়।
আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে যারা কিনা অন্নের নিন্দা করতে খুব পছন্দ করে। কিন্তু আমি একটা কথা সবসময় মানি সেটা হচ্ছে, মানুষ আমাকে নিয়ে হিংসা করছে আমাকে নিয়ে সমালোচনা আলোচনা কতো কি। কিন্তু তারা এটা করার কারন হচ্ছে আমার মধ্যে এমন কিছু গুন আছে যেটা তাদের কাছে নেই। আর তাই তারা আমকে নিয়ে এতো হিংসা করে।
তাই কার কথায় কখনো কান দেইনি আর দিব ও না। মানুষের কথাই কান দিলেই অনেক পিছিয়ে যাব।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর একটা টপিক নিয়ে কথা বলেছেন।
নিন্দুকেরা এক হিসেবে উপকার ই করে যায়। কারণ বোঝাই যায় আমার ভাল কাজ তার সহ্য হচ্ছে না। নিজের অবস্থান পরিষ্কার হয়ে যায়।
জ্বী ভাই এটা কঠিন সত্য, যদিও আমরা সবাই সমালোচনাকারীদের একদমই সহ্য করতে পারি না, আমরা তাদের আমাদের শত্রু হিসেবে বিবেচনা করি। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তারাই আমাদের আসল বন্ধু এবং আমাদের সঠিক বিষয়টি দেখিয়ে দেয়। খুব সুন্দর উপস্থাপনার ছিলো, দারুণ লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ
ভাই আমার এই ধরণের লেখার অনুপ্রেরণা আপনি। ভালো লিখেছি শুনে ভালো লাগলো।
সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তবে এই বিষয়টি বইয়ে পড়েছিলাম। তবে আপনার এই লেখার মাঝে পাছে লোকে কিছু বলে এই প্রবাদ বাক্য আর একটা মিল খুঁজে পেয়েছি। ভাই আমিও বহুবার সমালোচনার পাত্র হয়েছিলাম অনেক উদ্যোগ নিয়েছিলাম মানুষদের জন্য কিছু করব এবং তাদের জন্য করেছিলাম কিন্তু শেষ দিকে এগিয়ে সমালোচনার পাত্র হতে হয়েছিল। তার পরেও আমি আমার কাজের মাঝে সার্থকতা খুঁজে পেয়েছেন। আমাকে নিয়ে মানুষ তখনই সমালোচনা করবে যখন আমার মাঝে কোন একটি ভাল গুণ থাকবে। কারণ খারাপ মানুষ এর চেয়ে ভালো মানুষদের নিয়ে সমালোচনা টা বেশি হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনি সঠিক বলেছেন। আপনি যখন সমালোচিত হবেন তখন বুঝতে পারবেন আপনি সঠিক পথেই আছেন।
তারওপর তো ভালো কাজের জন্য সমালোচকের কোনদিনই অভাব হয়না। ভালো একটি কাজে ভুলত্রুটি তাদের কোনো না কোনোভাবে ধরতেই হবেই।আপনি সব সময় এত ভালো ভালো বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেন যা অনেক বেশি চমৎকার লাগে আমার কাছে। অনেক ধন্যবাদ ভাই পড়ে খুব ভালো লাগলো একটা মনোবল পাইলাম।
একশ্রেণীর মানুষ আছে ওদের কর্মই ওইটা।
ভাইয়া, আমি মনে করি গঠনমূলক সমালোচনা একজন মানুষের উন্নতির পথ উন্মোচন করে নেয়। আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমি অনেক কিছু সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারলাম। আর আপনার উপস্থাপনাটি হয়েছে অসাধারণ এবং অতুলনীয়। ভাইয়া, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমার মনে হয় একধরনের লোক সারাদিন এই সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এদের আর কোনো কাজ নেই। গ্রামের মহিলাদের মধ্যে এর প্রবনতা বেশি দেখা যায়।
সমালোচনাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করতে হবে।। খুব ভালো লিখেছেন এই অংশটুকু। সম্পূর্ণ পোস্ট টা শিক্ষা মূলক ছিল।
আমি সমালোচক না সমালোচিত হতে চাই। তবেই বুঝব আমি সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।