কাশফুলের মেলা থেকে একটুখানি ঘুরে আসি।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। গতকালের সুন্দর একটা মোমেন্ট এর গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, সাথে কিছু ফটোগ্রাফি। যদিও ফটোগ্রাফির কোন প্রস্তুতি ছিল না ক্যামেরাও নিয়েছিলাম না কিন্তু পরে আফসোস করে ছিলাম যাই হোক চলুন শুরু করি।

কালকের দিনটা গেছে আমার খুব ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে কম্পিউটারে বসে কাজ করছিলাম। হঠাৎ নানু দের বাসায় যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। তখনই গিয়েছিলাম কাজ ফেলে রেখে। যখন দেখলাম ফিরতে অনেক লেট হতে পারে তখন আমি আবার বাসায় চলে আসছিলাম। ফেলে রাখা কাজগুলো সেরে তারপর আবার গিয়েছিলাম। ফিরতে ফিরতে বিকেল চারটা বেজে গিয়েছিলো।

আমরা তো সুযোগ পেলেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াই। কিন্তু পরিবারের সবাইকে নিয়ে তেমন কোথাও যাওয়া হয় না। এখন তো আমাদের বাসায় আমার আপু, দুলাভাই, ভাগ্নে, আমার শালিকা, ওয়াইফ, শাশুড়ি আম্মা সবাই রয়েছে। আমার আম্মুও নৌকায় ঘুরতে চায় মাঝে মধ্যে৷ আর এখন যেহেতু সবাই বাড়িতে আছে তাই এখন মোক্ষম সময়। এজন্য আমি যখন নানুদের বাসায় ছিলাম তখন ছোট ভাইকে একটা নৌকো ভাড়া করতে বলেছিলাম। আমি ফিরতে ফিরতে একটু দেরি করে ফেলেছিলাম এইজন্য আর বাড়িতে ঢুকতে পারিনি। ওইভাবেই বাজারে একটি জায়গায় বাইকটি রেখে সবার সাথে নৌকা ভ্রমণে গিয়েছিলাম। সারাদিন বাইরে বাইরে থাকায় একটু মাথা ব্যাথা করছিলো। তার পরেও পরিবারের সবার সাথে ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালই লাগছিল।

1665312705015-01.jpeg

1665312740202-01.jpeg

1665312764139-01.jpeg

1665312782445-01.jpeg

1665312800112-01.jpeg

নৌকাটা ছিল অনেক বড়৷ আমাদের এখানে আশেপাশের ঘাটের সবচেয়ে বড় নৌকা এটি। এই নৌকা নিয়েই একবার আমরা পিকনিকে করেছিলাম। এবার দেখলাম নদীর পানি অনেকটাই কমে গেছে । যাইহোক আমার কাছে তো সব কিছু কমন লাগতেছিলো। সবাই বেশ আনন্দ পাচ্ছিল। নদীর মাঝ দিয়ে যখন যাওয়া যায় দৃশ্য গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। সবুজ ঘাস আর সেই ঘাসের উপর গরু চরাচ্ছে রাখাল। দৃশ্যগুলো দারুন লাগে। আসলে চোখে যেমন লাগছিল এভাবে ক্যামেরাতে ফুটিয়ে তোলা তো কখনো সম্ভব না। ওবুও আমি আফসোস করতেছিলাম যে ক্যামেরাটা আনিনাই। আসলে আমিতো বাসাতেই যেতে পারিনি গেলে না হয় ক্যামেরা নিয়ে আসার কথা ছিল।

1665312826499-01.jpeg

1665312838971-01.jpeg

1665312877169-01.jpeg

1665312893033-01.jpeg

1665312912157-01.jpeg

1665312944292-01.jpeg

সবচেয়ে ভালো লাগার ব্যাপার হচ্ছে এই সময়টাতে কাশফুল ফোটে। তবে সব জায়গাতে দেখতে পাইনি, কিছু নির্দিষ্ট জায়গা আছে ঐখানে প্রচুর পরিমাণে। আমরা অনেক দূর যাওয়ার পর একটা পারফেক্ট লোকেশন পেলাম যেখানে নৌকা রেখে আরামছে নামা যাবে আর ওইদিকে কাদাও নেই । আমি নিজেও ওইখানে আগে কখনো যাইনি। আমি এত ঘোরাফেরা করি অনেক জায়গায় যাওয়া আছে আমার কিন্তু ঐ জায়গাটাতে কখনো যাওয়া ছিল না। জায়গাটা দেখে তো আমি পুরাই অবাক। আকাশে মেঘের ভেলা, জমিনের কাশফুলের মেলা। সত্যিই হারিয়ে গিয়েছিলাম।

1665312959220-01.jpeg

1665312981699-01.jpeg

1665312999638-01.jpeg

1665313018426-01.jpeg

1665313041336-01.jpeg

1665313083697-01.jpeg

1665313103764-01.jpeg

1665313119010-01.jpeg

1665313133035-01.jpeg

1665313166508-01.jpeg

1665313194860-01.jpeg

1665313206464-01.jpeg

1665313235925-01.jpeg

1665313250006-01.jpeg

1665313266539-01.jpeg

আমার ভাগ্নে তো ওখানে গিয়ে বিশাল খুশি। ওর এক্সাইটমেন্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। সবাই খুব মজা করছিল। বেশ কিছুক্ষণ ছিলাম আমরা। তারপর যখন সূর্যটা নেমে গেল তখন আবার নৌকা তে উঠে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমরা যখন ফিরছিলাম তখন পশ্চিমের আকাশ ছিল রক্তিম আর পুবের আকাশে ছিল ঝলমলে আলো ছড়ানো একটি পূর্ণ মিষ্টি চাঁদ।

1665313278442-01.jpeg

সন্ধ্যা রাত্রের এই দৃশ্যটা আসলেই মনমুগ্ধকর। এছাড়াও জেলেরা এই টাইমে মাছ ধরতে নামে নদীতে। জাল ফেলানোর দৃশ্যগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে । অনেকক্ষণ যদি অপেক্ষা করা যায় তাহলে বিষয়টা অনেক উপভোগ্য হয়। বিশেষ করে মাছ উঠানোর মুহুর্ত । যাই হোক আমরা এসব দেখতে দেখতে পাড়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম । এটাই ছিল কালকের ভালো একটা মোমেন্ট। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে ইনশাহ্ আল্লাহ। আল্লাহ্ হাফেজ।

ছবিগুলোর লোকেশন:- পদ্মা নদী ।
ডিভাইস :- Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

ভাই অসাধারণ মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। এত সুন্দর মুহূর্ত সত্যি আমার খুবই ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারন ছিল। আজকে আপনার ভাগ্নে অনেক আনন্দিত হয়েছে তারা ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছি। আসলে আকাশে মেঘের ভেলা আর নিচে কাশ ফুলের মেলা সত্যিই অসাধারণ মুহূর্ত ভাই। আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনার পোষ্টটি পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। কাশফুলগুলো যেন আমার মন ছুঁয়ে গেছে।

Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

 2 years ago 

সন্ধ্যার আগে গোধুলি বেলায় পরিবেশটা এত সুন্দর হয় চারদিক দেখতে সূর্যটা লাল হয়ে যায়। আমার কাছে তো দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনি দেখেছি সেই সময়টাতে নৌকা দিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন।মাঝে মাঝে পরিবারের সকলের সাথে ঘুরতে বেশ ভালো লাগে।কাশফুল গুলো দেখতে সুন্দর লাগছে ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মূহুর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

 2 years ago 

একেবারে ঠিক বলেছেন ভাই আমরা বন্ধুদের নিয়ে অনেক ঘুরাঘুরি করলেও পরিবার নিয়ে সেরকম ঘোরাঘুরি করি না। আপনার মতো ভ্রমণপিপাসুর নজরে পড়েনি জায়গাটা এটা সত্যি বেশ অবাক করা ব‍্যাপার। দারুণ ছিল সবগুলো ফটোগ্রাফি। আর কাশফুল দেখে তো যে কারো মন উৎফুল্ল হয়ে যাবে।।

 2 years ago 

আসলে জায়গাটা দেখেছে আগে কিন্তু কাশফুল হওয়ার পর আর দেখা হয়নি।

 2 years ago (edited)

ভাইয়া আপনার নৌকা ভ্রমণের গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো । একদিন আগে আমিও এরকম নৌকা ভ্রমণ করেছিলাম । তবে কাশবন দেখতে পারিনি সন্ধ্যে হয়ে গিয়েছিল । নদীর মাঝখানে এরকম কাশবন ছিল অন্ধকারে দেখেছিলাম ।আপনি আপনার পরিবারের সবাই মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন পড়ে বুঝতে পারলাম ।আসলে পরিবারের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে সবারই বেশ ভালো লাগে । আর নৌকায় করে ঘুরতে পারলে তো খুবই মজা হয় । আন্টি নৌকায় ঘুরতে যেহেতু পছন্দ করেন সেহেতু সবাই মিলে ঘুরেছেন বেশ ভালোই লেগেছে মনে হয় ।কাশবনের ছবিগুলো সুন্দর ছিল । লাল আকাশটাও চমৎকার লাগছিল । এক কথায় অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছে ।ধন্যবাদ ।

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দই অন্যরকম। আজকাল সবাই এতো ব্যস্ত একসাথে ঘুরতে যাওয়াই হয়না, তাই যখনই সময় হয় তাকে কাজে লাগানোই উচিত। আপনার নৌকাভ্রমনের অভিজ্ঞতা ও ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আমি যেন আপনার এই পোষ্টের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিলাম ভাইয়া। এত সুন্দর কাশবনে আপনি এর আগে কোন সময় যাননি সেটা শুনেই তো আমি অবাক হয়ে গেলাম। আর নদীর সৌন্দর্যটা এতটাই মনোমুগ্ধকর ছিল তা বলে বোঝানো সম্ভব না। এই ধরনের পরিবেশে পরিবারের সাথে সময় কাটানো সত্যি আনন্দের একটা বিষয়।

 2 years ago 

মন্তব্যটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ভাইয়া আমরা সবাই হয়তো ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটাই। কিন্তু মাঝে মাঝে যদি পরিবারের সবাইকে নিয়ে এভাবে নৌকা ভ্রমণে যাওয়া হয় তাহলে কিন্তু সত্যিই অনেক ভালো লাগে। যেহেতু এখন বাসায় সবাই আছে তাই এই সময় সবাইকে নিয়ে নৌকা ভ্রমনে গিয়েছেন জেনে সত্যি খুবই ভালো লাগলো। এছাড়া আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। ক্যামেরা নিয়ে যাননি তাতে কি হয়েছে যেই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন সেগুলো কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে। কাশফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মন চাচ্ছে সেখানে যেতে। আপনার ভাগ্নের আনন্দ মাখা মুখ দেখে বোঝাই যাচ্ছে সে অনেক খুশি হয়েছে।

 2 years ago 

ভাইয়া অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ৷ আসলে পরিবার নিয়ে ঘুরাঘুরি একটু কমি হয় ৷ আপনি পরিবার নিয়ে নৌকা ভ্রমণ বেশ ভালোই করেছেন ৷ বিকাল বেলা নৌকায় করে এমন সুন্দর মুহূর্তে ঘুরতে আমার ও বেশ ভালো লাগে ৷ আপনি ঘুরাঘুরি পাশাপাশি সুন্দর দৃশ্যেগুলোর অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য ৷

 2 years ago 

ভাই আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভাল লাগল আকাশে মেঘের ভেলা আর জমিনে কাশফুলের মেলা সত্যিই অসাধারণ মুহূর্ত আপনি উপোভোগ করেছেন। কাশফুলের এত সুন্দর জায়গা এবং আকাশের দৃশ্য ছিল অসাধারণ। এই জায়গাটি দেখে যেন প্রেমে পড়ে গেলাম। সত্যি খুবই ভালো লাগতো ফটোগ্রাফি গুলো।