পিঠার সমাহার
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। আজ আবারও আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি
।আশা করি আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
নানার এর প্রতি কার কার দুর্বলতা কার নেই তা জানতে ইচ্ছে করে। নানুর বাড়ির প্রতি আমাদের সকলের একটা আলাদা কাজ করে প্রতিটা মানুষের এই নিজের আলাদা একটা আকর্ষণ আছে বলে আমার কাছে মনে হয়।
ছোট বেলায় নানুর বাড়ি যাওয়ার কথা শুনলে এমন মনে হতো আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছি। কেউ বকা দেওয়ার নেই নিজের ইচ্ছামত যেখানে খুশি দৌড়ে বেড়াবো ছোটাছোটি করব। আমার কাছে মনে হয় সময়ের সাথে আকর্ষণ বা দুর্বলতাটা প্রকাশ না করলেও ভিতরে ভিতরে
সে অনুভূতির এখনো কমতি হয় না বলে আমার কাছে মনে হয়। আমার নানু বাড়ি যাওয়ার কথা শুনলেই মনে হয় ছুটে চলে যাই কিন্তু নিজের সংসার ছেলে-মেয়ে সব কিছু ম্যানেজ করে যাওয়াটা কঠিন হয়ে যায়। তারপরও আমি চেষ্টা করি যে কোন প্রোগ্রামে বাড়িতে যাওয়ার। আর আমি এই আনন্দ গুলো আমার নানুর বাড়ি আনন্দ গুলো আমি আমার ছেলে মেয়ের মধ্যে দিতে চাই।আমার মেয়ে তো অনেকটা বুঝতে শিখেছে সেও আমার নানুর বাড়ির প্রতি অনেক বেশি দুর্বল। গাইবান্ধা গেলে আমার নানুর বাড়িতে যেতে চায়।আমার নানা বেঁচে নেই শুধু নানি বেঁচে আছে আর আমার দুই মামা বাসায় যেতে হয়।
সব সময় তো নানী আমাদেরকে পিঠা বানায় খাওয়ায়।আবার পিঠার দাওয়াত ছিল দুই জায়গায় মানে আমার নানিও পিঠা খাওয়া হবে আবার আমার বড় মামিও খাওয়াবে। আমি গাইবান্ধা থেকে আমার আমার শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলাম দুদিনের জন্য। আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে আমার নানুর বাড়ি যেতেও খুব বেশি সময় লাগে না। সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছিলাম আমার দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে থেকে নানুর বাড়িতে গিয়ে দেখি মামী অনেক রকম পিঠা বানিয়েছে। নিজের বাসায় তো সব সময় পিঠা বানানো হয় না আর শীতের পিঠাগুলো বানিয়ে খেতেও ভালো লাগে না। সবার সঙ্গে একসাথে বানিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। আমার মিষ্টি পিঠা চেয়ে ঝাল পিঠার প্রতি আকর্ষণ একটু বেশি থাকে। তাই আমি গিয়ে প্রথমে আগে ঝাল পিঠাটা খেয়েছিলাম। এই ঝাল পিঠাটা মামি মসুর ডাল দিয়ে বানিয়েছিল খেতে অসাধারণ হয়েছে সবাই বলেছে।
ঝাল পিঠা খাওয়ার পরে একে একে মিষ্টিপিটা খাবার পালা শুরু। দুধ পিঠা ট্রাই করেছিলাম অনেক বেশি ভালো হয়েছে। আসলে মামীর রান্না খুবই চমৎকার এককথায় সবাই খেতে খুবই পছন্দ করে। পিছার নাম গুলো কিন্তু বেশ চমৎকার জামাইসোহাগী পিঠা টার অনেক রকম নাম আমি অনেক জায়গায় শুনেছি। তবে আমাদের এলাকায় বলে সাজপিঠা আবার অনেকে বলে জামাইসোহাগী পিঠা সবসময় খুব ভালো লাগে। আর আমার খেতে বেশি ভালো লাগে সেটা হচ্ছে তেল পিঠা।তেল পিঠা অনেকটা নরম হয় এটা চিনি অথবা গুড় যেকোনো কিছু দিয়ে বানাতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
পিঠা খেয়ে এবার মামীর হাতের পোলার মাংস খাওয়ার পালা। পিঠা খেয়ে আসলে খাওয়ার রুচি একদমই চলে গিয়েছিল। তারপরও মামি জোর করে খাইছে।কিছু খাওয়ার পর আমার মনে ছিল দামটা যেন বের হয়ে যাবে। আমি দুপুরে খাওয়ার জন্য মামী পোলাও মাংস ডিম সালাদ অনেক কিছু রান্না করেছে।আমার নানা ভাইয়ের আবার মৃত্যুবার্ষিকী ছিল এজন্য কয়েকজনকে মুরুব্বিকে ডেকে দোয়া করে নেয়া হয়েছে। আমার তাদেরকে খাওয়ানো হয়েছে।সবকিছু মিলিয়ে বেশ লোকজন হয়েছিল। আমরা সব খালাম মামাতো ভাই-বোন একসাথে হয়েছে লোকজন বেশ হয়েছিল। একে একে সবার খাওয়া শেষ করে বেড়াতে যাওায়র পালা।
নানুর বাড়ির নিয়ে আরও অনেক পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকের টাস্ক প্রুফ
টুইটার লিংক
নতুন আরো একটি টাস্ক যোগ করা হয়েছে Super Walk এর, সেটাও সম্পন্ন করার অনুরোধ করা হলো।
নানু বাড়ির প্রতি সবার অন্য রকম একটা আর্কষণ থাকে। আসলে একবার সংসার হলে আর আগের মতো যাওয়া হয় না।আর অনেক দিন পরে সবাই এক সাথে হওয়ার মজাই আলাদা। বেশ ভালো লাগলো আপনারা সবাই একসাথে সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে অনেকগুলো পিঠা ক্যামেরাবন্দি করে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা পিঠাগুলো দেখে সত্যি আমার জিভে জল চলে আসলো। আসলে শীতের সময় লোভনীয় খাবারগুলো দেখলে পারে বেশ খেতে ইচ্ছে করে। এত সুন্দর ভাবে ক্যামেরাবন্দী করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জামাইসোহাগী পিঠা এই পিঠার নাম আজকেই প্রথম শুনলাম। তবে নাম শুনেই মনে হচ্ছে জামাই এর জন্য সবথেকে পারফেক্ট পিঠা হা হা হা। তেল পিঠা আমারও বেশ পছন্দের একটি পিঠা। দুধ পিঠা সহ বেশ কয়েকটি পিঠা খেয়েছেন দেখতেছি। আসলে নানুবাড়ি এবং মামার বাসা দুটোই যেন ভজন বিলাসের জায়গা। আপনার নানু এবং মামীর হাতে বানানো পিঠা খাওয়ার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শীতকাল মানেই পিঠা পুলি খাওয়ার মজা। আপু আপনি পিঠা খাওয়ার দুইটা দাওয়াত পেয়ে গেছেন এই শীতের মধ্যে আমার তো শুনে ভালো লাগছে। নানীর হাতের পিঠা আর মামীর হাতের পিঠা পিঠা গুলো দেখেই তোমার খেতে ইচ্ছে করছে। নিশ্চয়ই খুবই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
শীতকালে আসলেই যেন মিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। শীতকালে ভাপা পিঠা খাইতে বেশ দারুন লাগে। আপনার পিঠার ফটোগ্ৰাফি দেখে তো আমার জিভে জল চলে এল। আসলে নানুর বাড়ীর প্রতি সবার একটা আলাদা টান থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে
বিভিন্ন রকম পিঠা দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। শীতকাল হচ্ছে পিঠাপুলির সিজন। নানুর বাড়ির আনন্দ গুলো আসলে অন্যরকম। যদিও সেটা একটু একটু করে জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে। ধন্যবাদ আপু।
নানাবাড়ি যাওয়া হয় বেশ কয়েক বছর। উনারা বেঁচে নেই। এইজন্যই আর কী যাওয়া আর হয় না। চমৎকার লাগল আপনার পোস্ট টা। এতোরকম পিঠা সত্যি অন্যরকম ব্যাপার টা। সবমিলিয়ে বেশ দারুণ ছিল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।