বন্ধুর গায়ে হলুদ
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন।ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজও আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।আশা করি আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
মেয়ের পরীক্ষা শেষে ছেলে মেয়ে অসুস্থ থাকার জন্য গাইবান্ধায় চলে আসি।আশা ছিল গাইবান্ধায় গিয়ে আমি বেশ কিছুদিন থাকব। শীতের সময় গাইবান্ধায় আসলে তো নানান ধরনের প্ল্যান থাকে। যেমন ছোটখাটো পিকনিক করা কোথাও ঘুরতে যাওয়া পিঠা খাওয়া নানু বাড়িতে যাওয়া জানিনা কতটুকু পূরণ হবে। তবে এর মধ্যে নতুন একটা খবর পাই সেটা হচ্ছে আমার ছোটবেলার এক বন্ধুর বাসা আমাদের পাড়াতেই। ও জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি থেকে অনার্স কমপ্লিট করেছে। এরপর জবের জন্য অনেক চেষ্টা করছে। তবে ওর ইচ্ছা ছিল বাইরে যাওয়ার হঠাৎ করেই শুনিয়ে ওর বিয়ে ঠিক হয়েছে এবং যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে সেও দুজন মিলে বাইরে চলে যাবে। এম্বাসিতে ওদের নিকাহনামা চেয়েছে। এজন্য ওদের বিয়েটা হঠাৎ করে করতে হচ্ছে। ওদের খুব কাছের আত্মীয়-স্বজন মিলে ওদের বিয়েটা আপাতত দিচ্ছে। ওদের অনুষ্ঠান বড় করে হবে পরে। এজন্য তেমন কোন যার জন্য অনুষ্ঠান হচ্ছে না। গায়ে হলুদ ছোট করে আয়োজন করা হয়েছে আর সেখানে আমাদের সবাইকে যেতে বলেছে।কিন্তু আমার আম্মু যায়নি আমি আমার ছেলে মেয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম।
আমার বন্ধুব হলে ও ওদের ফ্যামিলির প্রায় সব খালামনি মামি ভাই বোন সবার সাথে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক। ছোট ছোট কিছু ভাই বোন আছে গায়ে হলুদের গিয়ে ওদের সবার সাথে দেখা হয়েছে তার সাথে সাথে আমি কিছু ছবি তুলে নিয়েছি। আর আমার বন্ধুর সাথে এটাই মনে হয় আমার প্রথম ছবি ওর সাথে আমি এত ছোটবেলা থেকে মিশেছি কিন্তু তেমন কোন ছবি নেই ফ্যামিলির অনেকের সাথে অনেক ছবি তুলেছে সে ছবিগুলো পরে শেয়ার করব।
ওদের ফ্যামিলিতে একতা কথা আছে এজন্য খুবই ভালো লাগে ওর সব কাজিন বোনরা এক রকম শাড়ি পড়েছে মা খালারা সব এক রকম শাড়ি পড়েছে ওর মামা সব একরকম পাঞ্জাবি তে ভালোই করেছে। দেখে খুবই ভালো লাগছিল আমি কিন্তু আমি তো হঠাৎ করে গিয়েছি আমি তেমন শাড়ি পরে যাইনি।
এরপর হলুদ দেওয়া শেষে সবাই তাড়াহুড়া করছিল যেহেতু সন্ধ্যার মধ্যে বউ আনতে যাবে। এজন্য সবাই একটু নাচানাচি করে নিচ্ছিল আর আমি ওদের ছবি তুলে নিয়েছিলাম। ছোট করে অনুষ্ঠান হঠাৎ করে হলেও বেশ মজা হয়েছে। আমরা আমার তো আমার মেয়ে তো খুবই মজা পেয়েছে। সবাই বাসায় চলে এসেছি আমি তো অনুষ্ঠানে শেষের দিকে একটি ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছিলাম। আমার ছোটবেলার বন্ধুর বিয়ে। বন্ধুত্বটা আমার একেবার ছোটবেলা থেকে এজন্য কেন যেন হঠাৎ করে খুবই খারাপ লাগছিল।তাই আমি তাড়াতাড়ি করে বাসায় চলে আসি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে আপনার বন্ধুর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার বন্ধুর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে আপনার ছেলে মেয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন সেখানে বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন সকলে মিলে। আসলে এইরকম অনুষ্ঠানে যদি সকলে একত্রিত হওয়া চাই বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ফ্রেন্ডের গায়ে হলুদের দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপু। হলুদ শাড়িতে সবাইকে চমৎকার লাগছে দেখতে। খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন সবাই। ফ্যামিলির সবাই মিলে একরকম ড্রেস পড়েছে এই ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে। ফ্যামিলির প্রোগ্রামে আসলে একরকম ড্রেসগুলো দারুন লাগে। যাইহোক ধন্যবাদ আপু আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
যে কোন অনুষ্ঠানে গেলে ছোট বাচ্চারা অনেক খুশি হয়। তবে আপনার বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে আপনারা ভালই সময় কাটিয়েছেন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝাচ্ছে। এবং ছোটকালের বন্ধুর বিয়ে হলে আসলে অন্যরকম স্মৃতি মনে আসে। এবং বিয়ে অনুষ্ঠানে পরিচিত অনেক লোকের সাথে দেখা হয়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে।
বিয়ের পর দুজনে বাইরে যাবে এটা জেনে ভালো লাগলো। আসলে তাড়াহুড়ো করে বিয়ে হলেও বেশ ভালোই আয়োজন হয়েছে দেখছি। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
বন্ধুর বিয়ে উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হওয়া গায়ে হলুদের দারুন সুন্দর করে কিছু ছবি গ্রহণ করেছেন আপনার ক্যামেরায়। আপনার বন্ধুর জন্য অনেক শুভকামনা রইল। তবে গায়ে হলুদের ঘটনাটি আপনি দারুণ সুন্দর করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। প্রত্যেকটি ছবি দেখে বিয়ে বাড়ির আনন্দে শামিল হলাম। আপনি সকলের সঙ্গে বেশ সুন্দর আনন্দ করে কিছুটা সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।