সফল প্রেমের গল্প (তৃতীয় পর্ব)

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


জহির তখন তার ভ্যানের পাশে রাখা একটি টুলে আরাম করে বসে বলে আমাকে এক গ্লাস আখের রস দিন। আখের রস খেতে খেতে আপনার গল্প শুনি। আজকে আমার কোন তাড়া নেই। বাড়িতে দেরি করে ফিরলেও সমস্যা হবে না। অবশ্য যদি আপনার বলতে কোন সমস্যা না থাকে তাহলে বলতে পারেন। তখন ছেলেটা বলে স্যার আমার মত হকারের কথা শোনার মতো সময় কি আপনার হবে? আপনি আমার কথা শুনতে চেয়েছেন আমি এতেই অনেক খুশি। আজকাল সবাই যার যার জীবন নিয়ে অনেক ব্যস্ত। অন্য কারো দিকে তাকানোর তাদের কাছে সময় নেই।


workout_20240506_223246_0000.png

ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

তারপর ছেলেটি তার জীবনের গল্প বলতে শুরু করে। ছেলেটি জানায় তার নাম সাব্বির। সে একটি বনেদি পরিবারের সন্তান। পাশের জেলাতেই তাদের বাড়ি। তাদের বাড়ির লোকজনকে পুরো জেলার লোকজন এক নামেই চেনে। কলেজে পড়াকালীন তার সাথে তাদেরই এলাকার একটি মেয়ের পরিচয় হয়। তবে সেই মেয়েদের পরিবার ছিল একেবারেই গরীব। কিন্তু ভালোবাসা তো ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য মানে না। তাই দুজনের ভেতরের পরিচয় আস্তে আস্তে ভালোবাসায় রূপ নেয়।


কলেজের দুটি বছরে তারা দুজন চুটিয়ে প্রেম করে। কিন্তু একদিন ছেলেটির পরিবার সবকিছু জানতে পারে। সেদিনই সাব্বিরের বাবা তাকে বেশ মারধর করে। দরিদ্র দিনহীন পরিবারের মেয়েকে ভালোবাসা যে এতো বড়ো অপরাধ ছিলো সাব্বির সেটা বুঝতে পারেনি। তার বাবা শুধু তাকে শাসন করেই খ্যান্ত হয়নি। লোক পাঠিয়ে মেয়েটার বাড়িঘর ভাঙচুর করে তাদের পুরো পরিবারকে মারধর করায়। ঘটনা এতদূর গড়াবে সাব্বির সেটা কখনোই বুঝতে পারেনি। (চলবে)


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Sort:  
 yesterday 

তার মানে আখের রস বিক্রেতার নাম হচ্ছে সাব্বির। যাইহোক সাব্বির মনে হয় তার প্রেমিকাকে বিয়ে করে ফেলেছে এবং তারা সংসার করছে। কিন্তু গরীব মেয়েকে বিয়ে করার কারণে, সাব্বিরের বাবা তাদেরকে বাসায় থাকতে দেয়নি। আসলে ভালোবাসা ধনী গরীব দেখে হয় না। গল্পটি তো দেখছি বেশ ইন্টারেস্টিং। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।