সমালোচনা মানতে হবে
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা সবকিছু মানতে পারলেও সমালোচনা কেনো যেনো মানতে পারি না। অর্থাৎ ধরুন, আমি অনেক ভালো মানুষ। অর্থাৎ অন্তর থেকেই একজন পবিত্র মনের মানুষ বলা চলে। তো আমি আসলে সব সময় ভালো মানুষের পাশে থাকি, বিভিন্ন ভালো কাজ করি। অর্থাৎ সবকিছুই ঠিক আছে। কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে দেখা যায় যে, আমি আসলে আমার বিপরীতে কেউ কথা বললে সেটা সহ্য করতে পারছি না।এটা শুধুমাত্র আমি আমার উদাহরণ দিয়ে বললাম। কিন্তু সত্যিকার অর্থে পুরো পৃথিবীর অবস্থা মোটামুটি এটাই বলা চলে। শুধুমাত্র গুটি কয়েক মানুষের অবস্থা এমন নয়।
মূল বিষয় হলো, মানুষ সব ভালো কাজ করবে, সব ভালো রকম সবকিছুই করবে। কিন্তু একটা কাজ আমরা মানুষেরা একেবারে সহ্য করতে পারি না। সেটা হচ্ছে আমাদের সমালোচনা যদি কেউ করে তখন। কারণ আমাদের সমালোচনার মাধ্যমেই কিন্তু আমাদের বিভিন্ন দোষ, বিভিন্ন ত্রুটি, বিভিন্ন সমস্যা বেরিয়ে আসে। আর আমরা মানুষ হিসেবে কখনোই সমালোচনা ব্যাপারটিকে পজেটিভ ভাবে নিতেই পারি না।
আমরা সব সময় এটাই ভাবি যে, সমালোচনা মানেই হলো অন্যের ক্ষতি করা। কিন্তু সমালোচনা যদি দুনিয়াতে নাই থাকে। তাহলে কিন্তু আমি, আপনি খুব দ্রুত নিজেদের ভুলগুলো ধরতে পারবো না। আর আমরা যদি আমাদের নিজেদের ভুল ধরা মানুষগুলোকে সব সময় কর্নার করতে থাকি। তাহলে দেখা যাবে যে, ওই মানুষগুলো আর ভুলেও আমার আপনার দোষ ধরে দিচ্ছে না। ঠিক যেমনটা বর্তমান পরিস্থিতির কথাই বলা যাক। অর্থাৎ আমাদের যে সরকার ব্যবস্থা। আমরা কিন্তু চাইলেই মুখ খুলতে পারিনা। অর্থাৎ তাদের সুনাম করলে ঠিক আছে। কিন্তু আমরা যদি তাদেরকে নিয়ে সমালোচনা করি। তাহলে দেখবেন বিশাল একদল লোক এসে আমাকে, আপনাকে একেবারে ধুয়ে ফেলবে। অর্থাৎ অপমানে অপমানে জর্জরিত করে দেবে এবং আপনি সেই ভয় এ কোনো কথাই বলতে পারবেন না। এমনটা করলে আসলে সমালোচনা করা কখনোই সম্ভব হয় না। আর সমালোচনার দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়া মানেই, উন্নতির দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়া।