এমনিতে তো বলে না !

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

সব সময় আমার মা ঘর থেকে বের হওয়ার সময়ে একটা কথা বলবেই বলবে যে, " তাড়াতাড়ি চলে আসিস "। ব্যাপারটা যদি এমনও হয় যে, আমার বাসা থেকে ২ মিনিট হাঁটার রাস্তার পথে আমার কোনো বান্ধবীর বাসা এবং আমি সেখানে গিয়েছি,তাও আমার মা আমাকে এই লাইনটা বলবেই বলবে। আসলে এই লাইনটি শুনতে শুনতে ছোটবেলা থেকে যখন একটু বড় হয়েছি তখন বিরক্ত লাগা শুরু করেছে। কারণ এখন আসলে যেটা মনে হওয়া শুরু হয়েছে। সেটা হচ্ছে, এখন তো আমি বড় হয়েছি। আমি নিজের নিরাপত্তা নিজে নিশ্চিত করতে পারবো। তবে এখন ও কিসের ভয়? কেনো এতো রেস্ট্রিকশন?

কিন্তু দুদিন পরপর আমাদের দেশের যে ঘটনাগুলো সম্মুখীন আমরা হই। সেই ঘটনাগুলোকে দেখলে আসলে মনে হয় যে, সত্যিই আমাদের বাবা-মায়েরদের চিন্তাটা একেবারে লজিক্যাল। কারণ আমি একজন মেয়ে হিসেবে এটা স্বীকার করতে বাধ্য যে, আমাদের মতোন দেশে এখনো মেয়েদের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। শুধু তাই নয়, যারা শাসন এর মাথা হয়ে বসে রয়েছে। তারাই এসব অপকর্মের সাথে একেবারে সরাসরি ভাবে জড়িত।

এই বিংশ শতাব্দীতে এসেও একটা মেয়ে এখনো নিশ্চিন্তে দিনের বেলাতে একা একা শহরে ঘুরে বেড়ানোতে সক্ষম নয়। সক্ষম নয় বলতে তার কোনো শারীরিক অসুস্থতা কিংবা পঙ্গুত্ব রয়েছে এমন কিছু নয়। আসলে হায়নাদের দলদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ কারণেই অক্ষম। তাই আসলে এখন মনে হয় যে আমাদের বাবা মায়েরা এই যে সাবধান থাকার কথা, জলদি বাড়ি ফেরার কথা এমনিতে তো বলে না। এই চিন্তাগুলোর পিছনে, এই বাধা দেওয়ার গুলোর পিছনে যে এই বড় বড় কারণগুলো রয়েছে এগুলো হয়তো আমাদের এখনো বিরক্ত লাগবে। কিন্তু এগুলার প্রয়োজন আমরা তখনই বুঝতে পারি যখন আমরা নিজেরা ওই বিপদে পরি।