চোর এবং বুদ্ধিমান কৃষকের গল্প
সেই গ্রামে একজন বুদ্ধিমান কৃষক ছিলো। যার নাম ছিলো রামু। রামু কৃষিকাজ করে বেশ ভালোই আয় করতো। আর তার বাড়িতে প্রচুর ফসল ও শস্য মজুদ থাকতো। ফসল ও শস্য ছাড়াও রামুর বাড়িতে নগদ টাকা এবং কিছু স্বর্ণালঙ্কারও ছিলো। এদিকে চোরের নজর পড়লো রামুর বাড়ির ওপর। কারণ সে জানতে পেরেছিলো যে রামুর বাড়িতে মূল্যবান জিনিসপত্র আছে।
রামুও বুঝতে পারছিলো যে চোর তার বাড়িতে যে কোনো সময় চুরি করতে আসতে পারে। তাই সে একটি পরিকল্পনা করলো। সে তার বড় মাটির ঘড়ার মধ্যে কয়েকটি বিষাক্ত বিচ্ছু রেখে দিলো এবং ঘড়ার ওপরে কিছু চাল ও গম ছড়িয়ে দিলো, যেন দেখে মনে হয় সেগুলো খুব মূল্যবান জিনিস। এরপর সে ঘরের বাইরে একটু সজাগ হয়ে শুয়ে রইলো। এভাবে রামু বেশ কয়েকদিন ধরে চোরের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো।
শেষ পর্যন্ত একদিন রাতের গভীরে চোরটি এলো। সে খুব সাবধানে রামুর ঘরে ঢুকলো। ঘরে ঢুকে চটি বিভিন্ন জায়গায় মূল্যবান জিনিসপত্র খুঁজতে লাগলো তবে কোথাও তেমন কিছু না পেয়ে সে মাটির ঘড়াটি দেখতে পেলো। সে ভেবেছিলো যে তার মধ্যে টাকা কিংবা সোনা আছে। সে দ্রুত ঢাকনা খুলে ঘড়ার ভেতর হাত দিতেই তার হাতে বিষাক্ত বিচ্ছুর কাটা ফুটে গেলো ! চোর ভয়ে আতঙ্কে চিৎকার করে উঠলো, আর দৌড়াতে শুরু করলো। তার চিৎকার শুনে গ্রামের অন্য লোকজনও জেগে উঠলো এবং তারা সবাই বুঝতে পারলো, চোর পালাচ্ছে।
পরের দিন, চোর গ্রামে প্রচুর গুজব ছড়িয়ে দিলো যে রামুর বাড়িতে ভয়ংকর কিছু রাখা আছে, এবং সে বাড়িতে চুরি করা একেবারেই অসম্ভব। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই চোরেরা আর কোনো দিন রামুর বাড়ির দিকে পা বাড়ানোর সাহস করলো না। এভাবে বুদ্ধিমত্তা দিয়ে রামু তার বাড়ি রক্ষা করলো। গ্রামের অন্য লোকেরাও এই কাহিনী শুনে নিজেদের জিনিসপত্র সুরক্ষিত রাখার নানা পন্থা অবলম্বন করলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।