গ্ৰামের ছোট ভাইদের কে নিয়ে একদিন পুকুরের মধ্যে চ্যালেঞ্জিং সাঁতার এবং গোসল
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বুধবার, ১৮ ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং
আসলে গোসল করার মজাই আলাদা রকম। যারা একবার হলেও পুকুরের মধ্যে গোসল করেছিলেন তাঁরা হয়তো এই বিষয়ে অবগত আছেন। যারা গ্ৰাম এলাকার মধ্যে বসবাস করে থাকেন তারা হয়তো প্রত্যেকেই একবার হলেও পুকুরের মধ্যে গোসল করেছেন।আর পুকুরের মধ্যে গোসল করার সময় অন্যরকম আনন্দ কাজ করে মনের মধ্যে।আর সাথে যদি বেশ কয়েকজন ছেলে থাকে, তাহলে তো আরো অনেক বেশি ভালো লাগে।গ্ৰামের এমন কিছু ছেলে রয়েছে, যাদের পুকুরের মধ্যে গোসল করা একটা নেশায় পরিনত হয়েছে।আর যারা পুকুরের পানিতে গোসল করেছিল, তারা অবশ্যই অনেক আনন্দ উপভোগ করতে পারছে।আর যারা এখন পর্যন্ত এই পুকুরের মধ্যে গোসল করতে পারেননি তারা হয়তো এখন পর্যন্ত পুকুরের মধ্যে গোসল করার আনন্দ উপভোগ করতে পারেননি। আমার ছোট বেলা থেকেই পুকুরের মধ্যে গোসল করার একটা আলাদা রকম শখ রয়েছে। আমি প্রতি বছর একবার হলেও পুকুরের মধ্যে গোসল করার চেষ্টা করি।
বেশ কিছু দিন ধরে ভাবছিলাম কোন এক পুকুরের মধ্যে গোসল করতে যাবো। কিন্তু আমাদের এলাকার মধ্যে তেমন একটা গোসল করার মতো পুকুর নেই।তাই আমি আমাদের এলাকার ছেলেদের কে বললাম গোসল করার মতো কোন পুকুর আছে কি না। তারা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে একটি পুকুরের খোঁজ করে দিলো। এরপর সেই পুকুরের মধ্যে গোসল করার জন্য বেশ কয়েকজন ছেলে প্রস্তুতি নিয়ে নিলাম। আসলে পুকুর টি আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে।প্রায় দুই থেকে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। একটু দূরের রাস্তা, এতো দূর হেঁটে যাওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়।তাই আমরা সাইকেলের মাধ্যমে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। এরপর আমরা সকলেই নিজ নিজ বাসা থেকে একটি করে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
এরপর আমরা সকলেই এক সাথে সাইকেল চালিয়ে পুকুরের নিকট যাইতে শুরু করলাম। বেশ কিছু সময়ের মধ্যে আমরা পুকুরের মধ্যে চলে আসলাম। আমাদের এই পুকুরের মধ্যে চলে আসতে প্রায় দশ থেকে পনেরো মিনিট সময় লেগেছিল।আর আমরা খুবই স্লো গতিতে সাইকেল চালিয়ে ছিলাম। পুকুরের মধ্যে এসে দেখতে পারলাম, বেশ কিছু মানুষ পুকুরের মধ্যে গোসল করছে। বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে তাদের গোসল করা দেখছিলাম। তাদের গোসল করা দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিলো। এরপর আমি ও গোসল করার জন্য দুর থেকে দৌড় দিয়ে এসে পুকুরের মধ্যে লাফ দিয়া দিলাম। পুকুরের মধ্যে লাফ দেয়ার সময় একটু ভয় কাজ করছিল।
পুকুরের চারদিক দিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আম গাছ।আর এই গাছ গুলোর জন্য পুকুর টি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। পুকুরের ডান পাশে বিশাল বড় একটা আম গাছ রয়েছে। এই আম গাছের মধ্যে উঠে সকলেই পুকুরের মধ্যে লাফ দিচ্ছিল। সকলের আম গাছ থেকে লাফ দেয়ার দৃশ্য দেখে আমার ও ইচ্ছে করছিল যে, আমি ও একবার আম গাছ থেকে লাফ দিবো পুকুরের মধ্যে। এরপর আমি আম গাছের মধ্যে উঠে পড়লাম।আম গাছের মধ্যে উঠার পর একটু ভয় লাগছিল। নিচের দিকে তাকালে অনেক দূর উপরে মনে হচ্ছে।তাই আমি একবার বন্ধ করে পুকুরের মধ্যে লাফ দিয়ে দিলাম।লাফ দেয়ার সময় অনেক বেশি ভয় লাগছিল। এরপর আমি সাঁতার কেটে উপরে উঠে পড়লাম। এরপর আবার গাছের মধ্যে উঠে পড়লাম। এরপর আবার লাফ দিলাম। তবে, এবার তেমন একটা ভয় কাজ করেনি।
এরপর আমরা সকলে মিলে সাঁতার কাটার একটি চ্যালেঞ্জ করলাম। চ্যালেঞ্জ টি হচ্ছে পুকুরের এক মাথা থেকে অন্য মাথা পর্যন্ত সাঁতার কেটে যাওয়া এবং কে আগে যেতে পারে। আমরা এই চ্যালেঞ্জের মধ্যে প্রায় পাঁচ জন ছেলে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এরপর আমরা সকলেই এক সাথে সাঁতার কাটতে শুরু করলাম। পুকুরটি বেশ দীর্ঘ।আমি পুকুরের মাঝখানে গিয়ে একটু হাঁফিয়ে গিয়েছিলাম। এরপর আমি খুবই আস্তে আস্তে সাঁতার কাটছিলাম। আমার আগে দুজন পুকুরের মাথায় চলে যায়। এরপর আমি চলে যায়।আমি এই সাঁতার প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলাম। এরপর আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় গোসল করার পর বাসায় চলে আসি।সব মিলিয়ে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছিলাম।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 12+12 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ! তাহলে তো আপনি চমৎকার একটি সময় কাটিয়েছেন গ্রামের ছোট ভাইদের কে নিয়ে। যেহেতু পুকুরে সাঁতার কেটেছেন চ্যালেঞ্জিন একটি বিষয়। আবার সেখানে বেশ ভালোভাবে গোসল করলেন সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি বিস্তারিত শেয়ার করলেন। অনেক ধন্যবাদ পড়ে ভালো লাগলো।
পুকুরের মধ্যে গোসল করতে গিয়ে যদি কোন চ্যালেঞ্জিং এ না থাকে , তাহলে গোসল করতে যাওয়া একদম বৃথা।
আসলে এই পুকুরে নেমে স্নান করার অভিজ্ঞতাটা আমার পূর্বে ছিল কিন্তু বর্তমানে এখন আর এই ধরনের পুকুর কোথাও খুঁজে পাই না। আসলে সবাই মিলে যখন দুপুর শেষে এইসব পুকুরে স্নান করতে যেতাম তখন ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে আসতাম। বিশেষ করে গরমকাল হলে তো আর কোন কথা নেই। আর আপনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এত সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।
আসলে ছোট বেলায় আমি ও এরকম দীর্ঘ সময় ধরে পুকুরের মধ্যে গোসল করেছিলাম। কিন্তু বর্তমান সময়ে আর এই সুযোগ হয়না।
ছোটবেলায় পুকুরে খুব গোসল করেছি পুকুরে নামলে দুই ঘন্টা তিন ঘন্টা মধ্যে পুকুর থেকে উঠতাম না। কলার মার দিয়ে খেলাধুলা। সোজা ছাতার উল্টা ছাতার নলনীতল শাহ কত রকম খেলায় ব্যস্ত থাকতাম। তবে এখন পুকুর রয়ে গেছে আর সেই ছোটবেলা নেই। বেশি ভালো লাগলো এ সমস্ত অনুভূতি জাগ্রত করতে পেরে আজকের এই পোস্ট দেখার মধ্য দিয়ে।
ছোটবেলা থেকে সাঁতার শেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। না হলে যেকোন সময় বিপদে পড়লে জীবনের ঝুঁকি হয়ে যেতে পারে। আপনি আপনার ছোট ভাইদেরকে নিয়ে গোসল করেছেন এবং সাঁতার শিখানোর চেষ্টা করেছেন জেনে ভালো লাগলো।