উত্তর বঙ্গের হাড় কাঁপানো শীতে অতিষ্ঠ জনজীবন
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বুধবার, ০১ ই জানুয়ারি ২০২৪ ইং
সবাই কে নতুন বছরের শুভেচ্ছা,
শীতকাল মানেই আনন্দ, আবার শীতকাল মানেই অতিষ্ঠ জনজীবন। শীতকাল কারো কাছে খুবই সুন্দর একটি সময়, আবার এই শীতকাল কারো কাছে একটি কষ্টকর সময়। যাদের একটু খানি সামর্থ্য রয়েছে, তারা শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের কাপড় চোপড় পরিধান করে শীত কাটাচ্ছেন। আবার যাদের শীতকালীন কাপড় পরিধান করার মতো সামর্থ্য নেই, তারা এই শীতের সময়ে খুবই কষ্টের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করছেন। এরফলে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এমনকি প্রতিনিয়ত শীতজনিত রোগের কারণে প্রচুর পরিমাণে মানুষ মারা যাচ্ছে। বিশেষ করে গ্ৰাম এলাকার খেটে খাওয়া মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
বিশেষ করে বাংলাদেশের (উত্তর বঙ্গ) রংপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড় জেলার মানুষ একটু বেশি সমস্যার মধ্যে ভুগছেন। যারা উত্তর বঙ্গের মধ্যে বসবাস করে থাকেন, তারা হয়তো এই বিষয়ে অবগত আছেন। বেশ কিছু দিন আগে আমাদের উত্তর বঙ্গের মানুষ বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন, কিন্তু বেশ তিন দিন ধরে আমাদের উত্তর বঙ্গের মানুষের কষ্ট অনেক টা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিন দিন ধরে আমাদের উত্তর বঙ্গের মধ্যে কোন ধরনের রোদের দেখা নেই। সারাদিন জুড়ে শীতল বাতাস এবং শীত পড়ছে।আর এই শীতল বাতাসের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
বিশেষ করে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার মানুষেরা একটু বেশি বিপাকের মধ্যে পড়েছেন। কেননা, মিঠাপুকুর উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ মাঠের মধ্যে চাষাবাদ এবং শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।গত তিন দিন ধরে ঘরের বাইরে বের হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই বললেই চলে। বাহিরে প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা।আর এই ঠান্ডার মধ্যে বাহিরে বের হলেই বিভিন্ন ধরনের রোগের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে শ্রমজীবী মানুষেরা। তারা চাইলে আর আগের মতো মাঠের মধ্যে গিয়ে কাজ করতে পারছেন না। তাদের কে ঘরের মধ্যে বসে সময় পার করতে হচ্ছে। এটা আসলেই খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক একটি ব্যাপার।
গ্ৰামের খেটে খাওয়া মানুষেরা চাইলে তারা শীতের কাপড় কিনতে পারেননা।আর বর্তমান সময়ে প্রতিটি খেটে খাওয়া মানুষের কাজ একদম বন্ধ রয়েছে। এই সময় টি প্রতিটি খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খুবই খারাপ একটি সময়। আমাদের বাড়ির আশেপাশের বেশ কয়েকজন খেটে খাওয়া মানুষ বিভিন্ন ধরনের বিপাকের মধ্যে পড়েছেন। এরকম হাজারো খেটে খাওয়া মানুষ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে ভুগছেন এই সময়ে। আমরা যারা সামর্থ্যবান মানুষ আছি, তারা অবশ্যই এই সব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো। আমাদের সামান্য টুকু সাহায্য তাদের অনেক বেশি উপকারে আসবে।
আর প্রতি বছর আমাদের উত্তর বঙ্গের মধ্যে একটু বেশি শীত পড়ে।আর শীতের মধ্যে উত্তর বঙ্গের বেশিরভাগ মানুষ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে ভুগছেন।আরো কতদিন এরকম শীত পড়বে, তা আসলে বলা যাচ্ছে না। তবে, আমি আশা করছি খুবই তাড়াতাড়ি আবার রোদ উদিত হবে। আমরা সকলেই আমাদের কাজের মধ্যে ফিরে যেতে পারবো। বিশেষ করে আমাদের দেশের কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষেরা তাদের কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবে।
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এখন খুবই অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়ছে। শীতের কারণে সময় শ্রমজীবী এবং দারিদ্র মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে। শীতে অতিষ্ঠ জনজীবন। আমাদের উচিত শীতে মানুষদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। তাদেরকে গরম জামা কাপড় দিয়ে সাহায্য করা। এই শীতে সাধারণ দিনমজুর এবং মধ্যবিত্ত পরিবার মানুষদের বেশ কষ্টে হচ্ছে।
আপনাদের উত্তর বঙ্গ হিমালয়ের পাশে হওয়ার কারনে প্রতিবছর শীত বেশি পড়ে। উত্তরবঙ্গের শীতের খবর নিউজপেপারে আসে। যায় হোক আশা করি শীত কমে আসবে।ধন্যবাদ