বাংলাদেশের মাটিতে চোখ জুড়ানো এক অবাক করা উদ্যোগ নাশিক প্লান্ট এন্ড পট
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
মঙ্গলবার, ০৩ ই ডিসেম্বর ২০২৪ ইং
নাশিক প্লান্ট এন্ড পট বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার রাণী পুকুর ইউনিয়নের একটি জনপ্রিয় নার্সারি।এটি একটি বিজ্ঞানসম্মত নার্সারি। বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় বিজ্ঞানসম্মত নার্সারি রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নাশিক প্লান্ট এন্ড পট নার্সারি। বিশেষ করে আমাদের রংপুর জেলার মধ্যে নাশিক প্লান্ট এন্ড নার্সারির বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলার মধ্যে নাশিক প্লান্ট এন্ড পট নার্সারির বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ব্রাঞ্চ রয়েছে। যারা নাশিক প্লান্ট এন্ড পট নার্সারির নাম শুনেছেন কিংবা নাশিক প্লান্ট এন্ড পট থেকে যে কোন ধরনের চারা কিংবা বীজ সংগ্রহ করেছেন, তারা হয়তো প্রত্যেকেই এই বিষয়ে অবগত আছেন।আর যারা এখন পর্যন্ত কোন দিন কোন ধরনের চারা কিংবা বীজ সংগ্রহ করতে পারেননি তারা অবশ্যই সংগ্রহ করার চেষ্টা করবেন।
নাশিক প্লান্ট এন্ড পট বর্তমান সময়ে শুধু মাত্র নার্সারির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি আমাদের দেশের হাজারো কৃষকদের বিশ্বস্ততার স্থান। কৃষি প্রধান দেশের মধ্যে এরকম একটি সুন্দর এবং বিশ্বস্ততা প্রতিষ্ঠান থাকা মানেই কৃষকদের জন্য খুবই উপকারী।বলা হয়ে থাকে, সবুজের দিকে তাকিয়ে থাকলে নাকি চোখের জুতি বাড়ে, আর এই সবুজ সমারোহের কারিগর হচ্ছে নাশিক প্লান্ট এন্ড পট।নাশিক প্লান্ট এন্ড পট নার্সারির মধ্যে প্রতিটি বীজ বিভিন্ন ধরনের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বীজ বপন করা হয়।আর যখন আবার বীজ গুলো বিক্রি করার মতো হয়, তখন আবার নতুন করে বীজ গুলো পরীক্ষা করে দেখা হয় সব কিছু ঠিক ঠাক আছে কি না। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে বীজ গুলো বিক্রি শুরু করা হয়।
গতকাল কোন এক কাজের জন্য আমি এবং আমার বন্ধু সহ রাণী পুকুর বাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমাদের কাজ গুলো সম্পন্ন করে বাসায় চলে আসার সময় নাশিক প্লান্ট এন্ড পট নার্সারির কথা মনে পড়ে যায়। এরপর ভাবলাম নাশিক প্লান্ট এন্ড পট নার্সারি থেকে ঘুরে আসা যাক। নার্সারি টি রাণী পুকুর বাজার থেকে পাঁচশত মিটার পূর্বে অবস্থিত। আমরা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে নাশিক প্লান্ট এন্ড পট নার্সারির মধ্যে চলে আসি এবং কতৃপক্ষের নিকট থেকে পারমিশন নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম। আসলে এই নার্সারি টি সকলের জন্য উন্মুক্ত নয়। সকলেই চাইলে এই নার্সারির মধ্যে প্রবেশ করতে পারবে না। তাদের কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে।
ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পারলাম শীতকালের বেশ কিছু সবজির চারা উৎপন্ন হয়েছে। অনেক কৃষক তাদের জমিতে চারা রোপণ করার জন্য নাশিক প্লান্ট এন্ড পট থেকে চারা সংগ্রহ করছে। আবার অনেকেই দেখছি নার্সারির ভিতরে বিভিন্ন ধরনের কাজ করছেন। দেখে বেশ ভালোই লাগছিলো আমার কাছে।পুরো নার্সারি টি পলিথিন দিয়ে বেষ্টিত।যেন কোন ধরনের পোকা মাকড় বীজ গুলো নষ্ট করে দিতে না পারে, তাই এমনটা করা হয়েছে। নার্সারি টি প্রায় ১৫-২০ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে। নার্সারি টি দেখতে বেশ সুন্দর লাগে আমার কাছে। নার্সারির ভিতরে প্রতিটি আলাদা আলাদা বীজের জন্য আলাদা আলাদা প্লট করা হয়েছে। নির্দিষ্ট প্লটের মধ্যে নির্দিষ্ট বীজ উৎপন্ন করা হয়ে থাকে।
আমরা পুরো নার্সারির মধ্যে ঘোরাঘুরি করে দেখছিলাম। নার্সারির মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালোই লাগছিলো আমার কাছে। চারদিকে সবুজ শ্যামল প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম।আর সবুজ শ্যামল প্রকৃতির কারিগর হচ্ছে নাশিক প্লান্ট এন্ড পট নার্সারি। আপনারা ও চাইলে এই নার্সারির মধ্যে ঘুরতে আসতে পারেন। বর্তমান সময়ে নার্সারির মধ্যে শীতকালীন সবজি এবং শীতকালীন ফলের চারা উৎপন্ন হচ্ছে। ইতিমধ্যে শীতকালীন সবজির চারা উৎপন্ন শেষ হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও এই নার্সারির মধ্যে যে কোন ধরনের ফল, ফুল এবং যে কোন ধরনের গাছ পাওয়া যায়। নাশিক প্লান্ট এন্ড পট নার্সারির প্রতিটি বীজ একদম বিজ্ঞানসম্মত।তাই বীজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X promotion
এরকম সাজানো গোছানো নার্সারি গুলোতে ঘুরতে গেলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। বর্তমানে কৃষি ক্ষেত্রে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। অনেকেই এরকম প্রজেক্ট করছে। আপনার শেয়ার করা এই পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
নার্সারিটি কত সুন্দর তার ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনি এই নার্সারিতে গিয়ে অনেক সময় কাটিয়ে এসেছেন সেটি বেশ আনন্দের বিষয় ভাই। আসলে এত সুন্দর সাজানো নার্সারিতে হাঁটাহাঁটি করতে বেশ ভালো লাগে। এখানে ছোট ছোট সবজির চাষ হয়েছে দেখে বেশ ভালো লাগছে। আমি কখনো এত বড় নার্সারিতে যাইনি।
আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ। নার্সারিটা এত সুন্দর দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। চার দিকটা সবুজ আর সবুজ চোখ ফেরানো যাচ্ছে না।কৃষি ক্ষেত্রে বর্তমানে অনেক এগিয়ে গেছে এবং উন্নতি হয়েছে। ছোট ছোট চারাগুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
এমন বিজ্ঞানসম্মত নার্সারির যত বেশি প্রসার হবে, আমাদের জন্য ততই মঙ্গল। প্রতিটি সবজির জন্য আলাদা আলাদা প্লট এর সিস্টেম, পলিথিন দিয়ে আলাদা পরিবেশ তৈরি করা, পরীক্ষা করার বিষয় গুলো প্রশংসার যোগ্য। ভীষণ ভালো লাগলো আপনার পোষ্ট টি।
অসাধারণ একটা প্রজেক্ট গড়ে উঠেছে ওখানে। আপনার এই রিভিউ টা পড়ে মনে হচ্ছে বেশ সাজানো গোছানো এবং আন্তরিকতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে এটা। এরকম আরো প্রজেক্ট প্রয়োজন আমাদের দেশে।
অনেক ধন্যবাদ এরকম একটা তথ্যবহুল পোস্ট শেয়ার করার জন্যে। ভাল থাকুন।