ভ্রমণ: রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক ভ্রমন (পঞ্চম পর্ব)

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক ভ্রমন করার অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

আমি ইতিমধ্যেই আপনাদের মাঝে রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক ভ্রমনের চারটি পর্ব শেয়ার করেছি। আপনারা সকলেই আমার শেয়ার করা প্রতিটি প্রতিটি ব্লগ পড়েছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক ভ্রমনের আরেকটি নতুন পর্ব শেয়ার করবো।আর এই পর্বের মধ্যে আমি, রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্কের বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর জায়গা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আপনারা হয়তো ইতোমধ্যে সকলেই অবগত আছেন, বাংলাদেশের মধ্যে যে কয়টি সব থেকে বড় নাগরদোলা রয়েছে।তার মধ্যে আমাদের রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্কের মধ্যে একটি। এটা আমাদের রংপুর বিভাগের মানুষের একটি গর্বের বিষয়। আপনারা যারা ইতোমধ্যে রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্কের মধ্যে ঘুরতে এসেছিলেন, তারা হয়তো এটি ভালো ভাবে দেখতে পারছেন। আসলে সামনাসামনি যে কোন ধরনের জিনিস দেখার মতো শান্তি মনে হয় আর কোথাও নেই।আর ক্যামেরা তো শুধু মাত্র একটি ছবি ধারণ করতে পারে।

এই বিশাল নাগরদোলার নিচে রয়েছে এক বিশাল রেস্টুরেন্ট।আর এই রেস্টুরেন্টের মধ্যে প্রায় সব ধরনের জিনিস পত্র পাওয়া যায়। বিশেষ করে ফুচকা থেকে শুরু করে পানীয় জাতীয় জিনিস পর্যন্ত পাওয়া যায়। অনেকেই শুধু মাত্র এই নাগরদোলা টি দেখার জন্য এই পার্কের মধ্যে ঘুরতে আসেন। আসলে আমাদের উত্তরবঙ্গের মধ্যে আর কোথাও এতো বড় নাগরদোলা নেই।আর এই নাগরদোলা টি শহরের বিভিন্ন বাসা কিংবা অফিস আদালতের ছাদ থেকে দেখা যায়।আর দূর থেকে দেখতে বেশ ভালোই লাগে আমার কাছে। বিশেষ করে রাতের বেলা এই নাগরদোলার সৌন্দর্য অনেক টা বৃদ্ধি পায়। কেননা, রাতের বেলা পুরো নাগরদোলা টি মরিচ বাতি জ্বলে ওঠে।আর তখন নাগরদোলা টি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে।

আমরা যেদিন গিয়েছিলাম, সেদিন প্রচন্ড পরিমানে গরম পড়েছিল।আর রোদের তাপমাত্রা ছিল সেদিন অনেক বেশি। আমরা পুরো পার্ক টি ঘোরাঘুরি শেষ করে যখন নাগরদোলার কাছে চলে গেলাম, সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম বিশাল এক রেস্টুরেন্ট।আর এই রেস্টুরেন্টের মধ্যে প্রায় সব ধরনের পানীয় জাতীয় জিনিস পাওয়া যায়। এরপর আমরা দুজন রেস্টুরেন্টের মধ্যে প্রবেশ করে একটি ফান্টা এবং একটি স্প্রাইট অর্ডার দিয়ে দিলাম। আমাদের কে অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আমাদের কে আমাদের অর্ডারকৃত জিনিস দিয়ে দেয়। খাওয়া শেষ করে বেশ কিছুক্ষণ সময় রেস্টুরেন্টের মধ্যে রেস্ট নিলাম। রেস্ট করার পর অনেক বেশি ভালো লাগছিলো।

পুরো পার্ক টি সবুজ শ্যামল প্রকৃতি দিয়ে সাজানো হয়েছে ।আর এই পার্একদম পশ্চিম পার্শ্বে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের দালান কোঠা।আর এই জায়গার মধ্যে পার্কের প্রশাসনিক লোকজন বসবাস করে থাকে। তবে, অন্য সকল পার্কের তুলনায় এই পার্ক টি আধুনিক।তারা প্রতিনিয়ত এই পার্ক টি প্রসার করার চেষ্টা করছে । যাতে করে বিশেষ বিশেষ দিন গুলোর মধ্যে মানুষের ভীড় না জমে। পার্কের মধ্যে চলাচল করার যে রাস্তা গুলো রয়েছে, এর ডিজাইন গুলো আমাকে আকৃষ্ট করে তুলেছিলো। আশা করছি ভবিষ্যতে এই রাস্তা গুলোর সৌন্দর্য আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। তবে, আশা রাখতে পারি ভবিষ্যতে এই পার্ক টি আমাদের উত্তরবঙ্গের মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ পার্কে পরিণত হবে

আর এই পার্কের প্রতিটি জায়গায় যে কোন একটি করে ছবি তোলার জোন রয়েছে। বিশেষ করে যারা রংপুর শহরের বাইরে থেকে এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে আসেন, তারা প্রায় সকল জায়গার মধ্যে নিজের ফটোশুট করেন এবং সেই ছবি গুলো বিভিন্ন ধরনের সোসাল মিডিয়ার মধ্যে পোস্ট করে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের সোসাল মিডিয়া বলতে- ফেসবুক, টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার এবং ইমো ইত্যাদি। আবার অনেক ক্রিয়েটর রয়েছেন, যারা এই রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্কের মেইন মেইন পয়েন্টের ভিডিও ক্লিপ ধারণ করে সোসাল মিডিয়ার মধ্যে আপলোড করেন।সব মিলিয়ে পার্কের প্রতিটি স্থান আমার মনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।