ফোটোগ্রাফি পোস্ট : "বাংলাদেশের পুজো -০৫"steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগlast year

_437b9c6a-f27c-453c-ad7d-397d4a9a61c8.jpeg


কিস্কিন্ধ্যার বানররাজ বালী ও তাঁর ভাই সুগ্রীবের মধ্যে মরণপণ লড়াই হয় যখন, তখন পেছন থেকে রাম তীর নিক্ষেপ বালীকে হত্যা করেন । এই অন্যায় যুদ্ধে বালীকে হত্যা করার কারণে বালীর স্ত্রী রামকে অভিশাপ দেন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ০০ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


রাম ও লক্ষণের গুরুগৃহে বিদ্যালাভ শেষ করে অযোধ্যায় ফিরলে একদিন মহামুনি বাল্মীকি রাজসভাতে এসে রাম ও লক্ষণকে কিছুদিনের জন্য তাঁর সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভিক্ষা প্রার্থণা করেন । মুনি জানান যে হোম-যজ্ঞের সময় রাক্ষসদের উপদ্রব খুব বেড়ে গিয়েছে ইদানিং । কিছু দুষ্ট রাক্ষসের জন্য প্রতিনিয়ত যাগ-যজ্ঞ পন্ড হচ্ছে । যজ্ঞের অগ্নিতে আহুতিদানের সময় আকাশপথে দুষ্ট রাক্ষসের দল এসে পশু রক্ত ও হাড়গোড় নিক্ষেপ করে যজ্ঞ পন্ড করছে । তাই এই সব দুষ্ট রাক্ষসদের বিনাশের জন্য রাম-লক্ষণকে তাঁর খুব দরকার । প্রথমে রাজা দশরথ মুনির আর্জিতে রাজি না হলেও পরবর্তীতে তিনি বাল্মীকির আবেদন মঞ্জুর করেন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ০০ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


মহামুনি বাল্মীকি যিনি রামায়ণ লিখেছিলেন তাঁর কাছে বসে শাস্ত্র অধ্যয়ন করছেন রাম-লক্ষণ ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ০৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


তাড়কা রাক্ষসী বধ । তাড়কা নামে এক মহা পরাক্রমশালী শয়তানী রাক্ষসী ছিল । মারীচ এবং সুবাহু নামে তার দুই পুত্র ছিল । এই দুই পুত্রকেই তাড়কা খুব ছোটবেলা থেকেই যজ্ঞ বিরোধী রাক্ষস হিসেবে গড়ে তোলে । তাড়কা নিজেই ছিল ঘোরতর যাগ-যজ্ঞ বিরোধী । তাই, বাল্মীকি মুনি সর্বপ্রথম রাম-লক্ষণকে তাড়কা বধে প্ররোচিত করেন । এবং, অবশেষে এক ভীষণ যুদ্ধ শেষে রাম বাণ নিক্ষেপ করে তাড়কা বধ করেন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ০৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


রাবনের বোন শূর্পনখা বিবাহিতা হওয়া সত্ত্বেও রামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে বিবাহের প্রস্তাব দেয় । স্বভাবতই রাম রাজি হননি । তিনি বলেন যে সীতাদেবীর সাথে তাঁর বিবাহ হয়েছে, তাই দ্বিতীয়বার দার পরিগ্রহ করতে তিনি অপারগ । এর পরে শূর্পণখা লক্ষণকে বিয়ে করতে চাইলে লক্ষণও একই কথা বলেন যে তিনিও সীতার বোনকে বিবাহ করেছেন, তাই তাঁর পক্ষেও শূর্পনখাকে বিবাহ করা সম্ভবপর নয় । এর ফলে শূর্পনখা যারপরনাই ক্ষিপ্ত হয়ে বিরাট হাঁ করে সীতাকে গ্রাস করতে উদ্যত হলে লক্ষণ তলোয়ার দিয়ে শূর্পনখার নাক ও কান ছেদন করেন । এই অপমানে ক্ষিপ্ত হয়ে শূর্পনখা তাঁর ভাই রাবনের কাছে প্রতিশোধ গ্রহণের আর্জি জানান । ফলে, রাবণ ঋষির ছদ্মবেশে এসে রাম লক্ষণকে কৌশলে অন্যত্র ব্যস্ত রেখে সীতাকে হরণ করেন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ০৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


রাম ও লক্ষণ দ্বারা যজ্ঞ ভূমি প্রহরারত রেখে মুনিগণ যজ্ঞে আহুতি দেওয়া শুরু করতেই আবারো রাক্ষসরা এসে মুনিদিগকে আক্রমণ করে । কিন্তু, এই বারে তারা সফল হতে পারে না । রাম-লক্ষণের তীরের আঘাতে রাক্ষসেরা একের পর এক মারা পড়তে থাকে ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ০৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


মাধব পারানির ঘাটে রাম লক্ষণ নদী পার হচ্ছেন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ০৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


একদা যজ্ঞভূমি লাঙল দিয়ে স্বহস্তে কর্ষণের সময় সোনার লাঙলের মুখে এক শিশু কণ্যাকে কুড়িয়ে পান রাজা জনক । তিনি এই পালিতা কন্যার নাম রাখেন সীতা । সীতা বিবাহযোগ্য হলে জনকরাজ সীতার জন্য এক স্বয়ংবর সভার আয়োজন করেন । এই সভাতে সকল পড়শী রাজাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় । এবং শর্ত থাকে যিনি জনকের শিব থেকে প্রাপ্ত হরধনুতে গুণ পরাতে পারবেন তিনিই সীতাকে বিবাহ করতে পারবেন । কাজটি ছিল খুবই দুরূহ । এই শিবধনু এত প্রকান্ড ও ভারী ছিল যে মহা মহা বীরেরা অব্দি সেটাকে তুলতেই পারেনি । এমনকি রাবন অব্দি পরাজয় মেনেছিল । কিন্তু, মাত্র পনের বছর বয়সের রাম অবলীলায় বাম হস্ত দিয়ে সেই শিবধনু তুলে তাতে গুণ পরিয়ে টঙ্কার বাজাতে গিয়ে ইচ্ছে করেই ধনুকটি ভেঙে ফেললেন । জনক এই মহাবীর রামের হস্তেই তাঁর কন্যা সীতাকে প্রদান করলেন । এইভাবেই রাম-সীতার বিবাহ হয়েছিল ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ০৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


জনকের হরধনু ভেঙে স্বয়ংবর সভার শর্ত পূরণ করতে পেরেছিলেন বলে রামের হস্তে সীতাকে প্রদান করেন মহারাজ জনক । রামের সাথে সীতার, লক্ষণের সাথে ঊর্মিলার, ভরতের সাথে মান্ডবীর এবং শত্রুঘ্নের সাথে শ্রুতকীর্তির বিবাহ সম্পন্ন হয় । ঊর্মিলা ছিলেন সীতার ছোট বোন এবং মান্ডবী ও শ্রুতকীর্তি ছিল সীতার কাকার মেয়ে ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ০৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


রাম ছিলেন রাজা দশরথের বড় ছেলে । স্বভাবতই তাঁরই রাজা হওয়ার কথা । তাই রাজা দশরথ রামকে রাজ্যাভিষেকের জন্য ঘোষণা দিয়ে দিলেন । কিন্তু, এই ঘোষণা তাঁর মেজো পত্নী কৈকেয়ীর বাপের বাড়ির দাসী মন্থরার মনঃপূত হলো না । মন্থরার ইচ্ছে কৈকেয়ীর পুত্র ভরত রাজা হোন । তাই সে কৈকেয়ীর কানে কুমন্ত্রণা দিলো । সে কৈকেয়ীকে বললো - "অতীতে তুমি একবার মহারাজ দশরথের সেবা করে তাঁকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত হতে বাঁচিয়েছিলে । তখন উনি তোমাকে দু'টি বর দিতে চেয়েছিলেন । তুমি তখন নাওনি । আজ সেই বর চাওয়ার সময় এসে গিয়েছে । এক বরে ভরত রাজা হবে এবং দ্বিতীয় বরে রামের ১৪ বছরের জন্য বনবাস যাত্রা ।" কৈকেয়ী লোভে উন্মত্ত হয়ে সেই মতো বর প্রার্থণা করলেন দশরথের কাছে । ফলে পিতৃসত্য রক্ষার্থে রাম ১৪ বছরের জন্য বনবাস যাত্রা করেন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ০৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

Sort:  
 last year 

আপনার এই পোষ্টের মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের দুর্গাপুজো দেখার সুযোগ হল দাদা। প্যান্ডেলটি যেমন খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। ঠিক তেমনই, রামায়ণের কিছু কিছু বিষয়কে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেখছি এই মন্ডপে। তার সাথে আপনার অসাধারণ বর্ণনাও রয়েছে। এক কথায়, দারুন একটি পোস্ট পড়লাম।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

দাদা আপনার ফটোগ্রাফি ববাবরের মতোই আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি বর্তমানে খুলনাতে অবস্থান করছেন। ইস আমি যদি খুলনাতে থাকতে পারতাম। আপনার সাথে দেখা করার চেষ্টা করতাম এবং আপনাকে দেখতে পেতাম। নিজেকে ধন্য মনে করতাম। মাধব পারানির ঘাটে রাম লক্ষণ নদী পার হচ্ছেন। অনেক সুন্দর করে বিষয়গুলি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দাদা। প্রতিটা বর্ণনা অনেক ভালো ছিল

 last year 

আজ ও বেশকিছু ফটোগ্রাফির সাথে অনেক তথ্যবহুল বিষয় জানা গেলো পোস্ট পড়ে। ভীষনভালো লাগলো জানতে পেরে।দাদা ফটোগ্রাফি ও চমৎকার হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে বাংলাদেশের পূজো - ৫ ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 last year 

দেখতে দেখতে এই সিরিজের পঞ্চম পর্ব শেয়ার করে ফেলেছেন দাদা। আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতার প্রশংসা করতেই হয়। এতো ভিড়ের মধ্যে থেকেও আপনি এতো সুন্দরভাবে কিভাবে ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করেছেন,সেটাই ভাবছি। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলোর সাথে চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন। সবমিলিয়ে পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

দাদা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ ছিল। আসলে আপনার ফটোগ্রাফি দেখে ও পড়ে না জানা অনেক কিছু জানতে পারলাম। ফটোগ্রাফি গুলোর সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

বর্ননা পড়ে ছবির থিমটা বুঝা যায়। এমনি দেখলে ও পিছনে থাকা ক্যাপশনে কিছুই বুঝতাম না হয়ত। রামায়ন পুরো পড়া হয়নি। মূল কাহিনীটা শুধু জানতাম। আপনার বর্ননাগুলো অসাধারণ ছিল দাদা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Tebrik ederim, güzel ve akıcı bir anlatım

 last year 

প্রিয় দাদা, আপনার তোলা পুজোর বিভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। একই সাথে আরো বেশি ভালো লেগেছে ফটোগ্রাফির সাথে চমৎকার একটি কাহিনী পাঠ করে। পুজোর ফটোগ্রাফির সাথে চমৎকার কাহিনী আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

দাদা আজও আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক অজানা জিনিস জানতে পারলাম। সত্যি বলতে আমাদের কিন্তু জানার কোন শেষ নেই। আপনি এত সুন্দর করে প্রতিটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন যে মনে হচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো চোখের সামনে ভাসছে। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর ফটোগ্রাফির সাথে অজানা কিছু তথ্য শেয়ার করার জন্য।