কবিতা "প্রমিথিউসের মশাল"

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago


Copyright-free Image source : Pixabay


কবিতা "প্রমিথিউসের মশাল"



💘


♡ ♥💕❤

ভীষণ অমানিশায় ঢেকে গিয়েছে আমাদের হৃদয়,
এ কালরাত্রির শেষ নেই, অনন্ত আঁধারে তাই ডুবছি আমরা ।
নিকষ কালো এ আঁধার কাটাতে চাঁদ-সূর্য নয়,
একটি তারার আলোর আজ বড়ই প্রয়োজন ।

একটি তারা একটু জ্বেলেই দেখো না,
দেখবে অজস্র তারা ফুটে উঠবে, তোমাকে আলোকিত হতে দেখে ।
আকাশগঙ্গার ন্যায় কোটি কোটি তারকার ক্ষুদ্র আলোক বিন্দুতে,
উদ্ভাসিত হবে আমাদের অন্ধকারচ্ছন্ন হৃদয় ।

দমবন্ধ এ অদ্ভুত আঁধারে একটি মাত্র অগ্নিশিখাই পারে,
প্রমিথিউসের মশালের ন্যায় অগ্নিবলয়ের প্রদীপ্ত সূচনা ।
প্রমিথিউস, তোমায় আজ বড়ই প্রয়োজন,
ঘুণে ধরা, নাগপাশে বন্দী, আঁধার নরকের এ ভয়াবহ মৃত্যু শীতল,
প্রাগৈতিহাসিক সমাজে ।

তুমিই পারো একমাত্র দূর করতে এই ভয়াবহ আঁধার,
তোমার হাতের মশাল জ্বেলে আমাদের লক্ষ হৃদয়ে
আজ আলোকের সূচনা করো ।

জ্ঞানের আলোকের ঝর্ণাধারায় মুছে যাক সব অজ্ঞানতা,
সব কিছু ধ্বংস হোক, মানবতা বেঁচে থাকুক ।
প্রমিথিউস, আরো একবার এসো, এ ধরায় অবতীর্ণ হও ।
জ্ঞানের মশাল জ্বেলে আমাদের মুক্তির পথ দেখাও ।

নিজের হৃদয় আবারো উৎসর্গ করো, হে প্রমিথিউস,
জিউসের ঈগল অনন্তকাল ধরে কুরে কুরে খাবে তোমার হৃদয়;
তারপরেও জানি তুমি প্রজ্বলিত করবে জ্ঞান-সত্যের মশাল ।

♡ ♥💕❤


Sort:  

আমিও একজন বাঙালি। আপনার কবিতা গুলি আমার খুব ভালো লাগে। আমারও আপনার মতো Steemit এ লেখার ইচ্ছা আছে।আপনি আমাকে একটু গাইড করতে পারেন?

 3 years ago 

এখানে জয়েন করুন, সব কিছু শিখতে পারবেন : https://discord.gg/amarbanglablog

 3 years ago 

এই সমাজে সত্যি ঘুন ধরে গেছে দাদা। বিবেক মনুষ্যত্ব সব জলে ভেসে যাচ্ছে । জ্ঞানের আলোর বড্ড অভাব যে দাদা। মন্দের বাজারে ভালো হেরে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রমিথিউসকে খুবই প্রয়োজন এই সমাজের। নেমে আসুক আরেকটা বার আলোক বর্তিকা হাতে

 3 years ago 

জ্ঞানের আলোকের ঝর্ণাধারায় মুছে যাক সব অজ্ঞানতা,
সব কিছু ধ্বংস হোক, মানবতা বেঁচে থাকুক ।

জ্ঞানের আলোই পারে সমাজের সব অজ্ঞতা দূর করতে। আর সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের মাঝে যখন জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাবে তখন সব অজ্ঞতা দূর হয়ে যাবে। তখন সবকিছু ধ্বংস হবে শুধু বেচেঁ থাকবে মানবতা। এরকম একজন প্রমিথিউসের বড্ড দরকার!

 3 years ago 

দারুন লিখেছেন দাদা ।আপনার কবিতাটি সত্যি অসাধারণ হয়েছে। বর্তমান যে সমাজ ব্যবস্থা হয়েছে তাতে আসলেই প্রমিথিউসকে দরকার। আরও একবার জ্ঞানের মশাল নিয়ে সত্যিই আমাদের মাঝে আগমন করার দরকার। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে এত সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

তুমিই পারো একমাত্র দূর করতে এই ভয়াবহ আঁধার,
তোমার হাতের মশাল জ্বেলে আমাদের লক্ষ হৃদয়ে
আজ আলোকের সূচনা করো ।

দাদা কবিতার এই অংশটুকু পড়ে মনের ভিতর অনেক মোটিভেশন কাজ করছিল। আপনার কবিতা গুলো আমার অনেক ভালো লাগে আপনার কবিতাগুলো পড়ে যেন মনের ভিতর অন্যরকম একটা তৃপ্তি অনুভব করতে পারি। এত ব্যস্ততার মধ্যেও এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনার প্রতি রইল বিশেষ শ্রদ্ধা। ❤️❤️

 3 years ago 
সত্যি বলেছেন পৃথিবীতে বর্তমানে প্রমিথিউস কে ভীষণ দরকার যেসব অন্যায় অবিচার কে নিঃশেষ করে দিতে পারবে। আমি প্রমিথিউস নিয়ে অনেক বই পড়েছি। প্রমিথিউস ব্যাউন্ড নাটক আমি পড়েছি । তবে আমার কাছে মনে হয়েছে প্রাচীন যত গল্প ছিল তার মধ্যে গ্রিক এই প্রমিথিউজের গল্প মন কেড়েছে সবার। জিউস মানুষের কাছে থেকে আগুন তুলে নেয় যার ফলে ভীষণ চিন্তায় পড়ে উদ্বিগ্ন হয়ে যায়। তখন তিনি দেবতাদের কাছ থেকে আগুন চুরি করে নিয়ে এসে তিনি মানুষ কে দেন ।আর মানুষ যখন আগুন পেয়ে আত্মহারা হয়ে যায় রান্নাবান্না শুরু করে দেয়। প্রমিথিউসের এই আগুন পেয়ে মানব সভ্যতা দ্রুতবেগে উন্নতি করতে লাগলো। অপরদিকে জিউজ অলিম্পাস পর্বত থেকে মানুষের এই অগ্রযাত্রা প্রত্যক্ষ করলেন। জিউসের আর বোঝার বাকি রইল না এসবের পেছনে কার হাত রয়েছে ।দেবতাদের আরেকবার ধোকা দেওয়া হয়েছে ভেবে তিনি প্রমিথিউসকে শাস্তি দেওয়ার কথা ভাবেন। শাস্তি হিসেবে প্রমিথিউসকে একটি পর্বতের সাথে বাধা হল প্রতিদিন একটি ঈগল তার কলিজা টুকরো করে খেত এবং রাতে আবার তার নতুন একটি কলিজা প্রতিস্থাপন করা হতো। যাতে পরদিন ঈগল এসে কলিজা খেতে পারে।পরবর্তীতে হারকিউলিস রাস্তা দিয়ে চলার সময় প্রমিথিউসকে দেখতে পায় তবে তিনি জানতেন না সে প্রমিথিউস ।তখন সে কলিজাখেকো ঈগল কে মেরে ফেলে এবং প্রমিথিউসকে মুক্তি দেয়।

আমাদের সমাজে এখনো সমাজের উচ্চ আসনে বসে থাকা লোকগুলি সমাজের নিম্ন শ্রেণীর সাধারণ মানুষগুলোকে চুষে খাচ্ছে তাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজন মত কাউকে ভীষণ প্রয়োজন যে এসে দানবকে নিঃশেষ করে দেবে সকল অত্যাচারীকে ভষ্ম করে দেবে। প্রমিথিউস যেভাবে দেবতাদের কাছ থেকে আগুন চুরি করে এনেছিল মশাল হাতে নিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ থেকে মুক্তি দিয়েছিল। ঠিক একই রকম এক প্রমিথিউসকে আজ সমাজে ভীষণ দরকার।

দাদা এত সুন্দর একটি কবিতার মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 

দাদা আপনি আপনার কবিতায় তারার আলোর মাধ্যমে বুঝিয়েছেন ,আমাদের হৃদয় কে আলোয় আলোকিত করতে ।যদি আমরা আমাদের হৃদয়কে আলোকিত করতে পারি তাহলে পুরা পৃথিবী একদিন আলোকিত হয়ে উঠবে।

তুমিই পারো একমাত্র দূর করতে এই ভয়াবহ আঁধার,
তোমার হাতের মশাল জ্বেলে আমাদের লক্ষ হৃদয়ে
আজ আলোকের সূচনা করো ।

তবে দাদা আপনার কবিতার এই লাইন গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

 3 years ago 

দাদা আজকের কবিতা বেশ শিক্ষানীয়।যদিও আমি কবিতা সম্পর্কে খুব কম বুঝি।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ।

তুমিই পারো একমাত্র দূর করতে এই ভয়াবহ আঁধার,
তোমার হাতের মশাল জ্বেলে আমাদের লক্ষ হৃদয়ে
আজ আলোকের সূচনা করো ।

 3 years ago 

প্রমিথিউস দেবতার সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না, তবে শুনেছিলাম দেবতার কাছ থেকে আগুন চুরি করে এনেছে মশাল হাতে। কবিতার মধ্যে প্রতিবাদ ফুলে উঠেছে।

জ্ঞানের মশাল জ্বেলে আমাদের মুক্তির পথ দেখাও ।

জ্ঞানের মাধ্যমেই নিজেদের ভাগ্য পরিবতর্ন করা সম্ভব।

जीवन का अर्थ