ফোটোগ্রাফি সিরিজ : "কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম পরিদর্শন" - পর্ব ০১
এবছরের শুরুর দিকে আমি বাংলাদেশের কক্সবাজার, এশিয়ার সর্ব বৃহৎ সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলাম । এই ভ্রমণ সংক্রান্ত অনেকগুলি পোস্ট ইতিমধ্যে করেছি । কিন্তু, আজকে একটা বিশেষ ফোটোগ্রাফি সিরিজ শুরু করতে চাইছি । কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একটা বেশ বড় মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম অবস্থিত ।
সামুদ্রিক বহু মাছ ও প্রাণীর বেশ বড়সড় একটা অ্যাকোয়ারিয়াম এটা । আমরা হোটেলে সকাল সকাল ব্রেকফাস্ট করেই বেরিয়ে পড়লুম অ্যাকোয়ারিয়াম এর উদেশ্যে । হোটেল থেকে খুব একটা দূরে ছিল না এটা । টোটোতে বড়জোর মিনিট দশেকের রাস্তা ।
অ্যাকোয়ারিয়ামটি একটি তিনতলা বিশিষ্ট ভবন । এর নিচের দুটি তলায় অ্যাকোয়ারিয়াম, আর উপরের তলায় একটা রিক্রিয়েশন হল, বাথরুম, রেস্টুরেন্ট এবং এন্টিক শপ । আমরা টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকে গেলাম । ঢুকেই অমনি অ্যাকোয়ারিয়াম এর ভেতরে টিনটিনের কয়েকটা ছবি তুলে আমাদের অ্যাকোয়ারিয়াম ফোটোগ্রাফির যাত্রা শুরু করে দিলাম ।
ঢোকার পর প্রথমেই পড়ে একটা হলঘরের মতো । তার দু'সাইডে বড় বড় কাঁচের জার ভর্তি আফ্রিকান ব্ল্যাক পিরানহা । এইসব পিরানহা সাইজে বিশাল এবং স্বভাবতই মানুষখেকো । একটা পূর্ণবয়স্ক মানুষকে বাগে পেলে খেয়ে শেষ করতে এই পিরানহাদের দলের মাত্র ৩-৪ মিনিট সময় লাগে ।
এরপরের কিছু বড় বড় ড্রাম আর কাঁচের চৌবাচ্চায় রয়েছে অদ্ভুতদর্শন কিছু সামুদ্রিক মাছ আর প্রাণী । এদের মধ্যে দেখলাম সর্পাকৃতির মাছ , ছোট্ট হাঙর, অশ্বক্ষুরাকৃতির কাঁকড়া, সামুদ্রিক কাঁকড়া, এলবিনো শার্ক প্রভৃতি ।
আজকে এগুলোরই ছবি দিলাম নিচে । ধীরে ধীরে পর্বাকারে সবগুলিরই ফোটো শেয়ার করবো ।
মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম পরিদর্শন করছেন আমাদের টিনটিনবাবু ।
তারিখ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : সকাল ১১ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ ।
মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামের প্রবেশপথের দু'ধারে রঙিন মাছ, তালের পাখা, গলদা চিংড়ির খোলস আর শামুক ঝিনুকের সজ্জা ।
তারিখ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : সকাল ১১ টা ২০ মিনিট
স্থান : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ ।
রাক্ষুসে মানুষখেকো ব্ল্যাক পিরানহা ।
তারিখ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : সকাল ১১ টা ২০ মিনিট
স্থান : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ ।
সর্পাকৃতির মাছ, ক্ষুদে হাঙর, অশ্বক্ষুরাকৃতির কাঁকড়া আর সামুদ্রিক কাঁকড়া ।
তারিখ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : সকাল ১১ টা ২০ মিনিট
স্থান : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ ।
এলবিনো হাঙর ।
তারিখ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : সকাল ১১ টা ২০ মিনিট
স্থান : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫১০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 510 trx)
তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৩
টাস্ক ২১৯ : ৫১০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫১০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : de85253750016f4009e209ea64f6c38b39af3e2403fa85b8ac9dd1f8c7e6ec2b
টাস্ক ২১৯ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম পরিদর্শন করেছেন এবং সুন্দর সব ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন দেখে ভালো লাগলো দাদা। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো মিষ্টি টিনটিন বাবুকে দেখে। পিরানহা সত্যিই অনেক ভয়ঙ্কর। আর মানুষ খেকো এই প্রাণীগুলো অনেক ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে। দাদা আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।
কক্সবাজারের মেরিন আ্যকোরিয়ামে গিয়ে দারুন দারুন ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দাদা। খুব ই ভাল লাগলো দেখে। আমি কক্সবাজারে যদিও কয়েকবার গিয়েছি কিন্তু এখানে যাওয়া হয়নি। টিনটিন কে খুব সুন্দর লাগছে। 🥰 ফটোগ্রাফির সাথে খুব সুন্দর বর্ননা তুলে ধরেছেন, বেশ ভাল লাগলো। অনেক কিছুই জানা হল।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের কক্সবাজার অর্থাৎ এশিয়ার সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকতের খুব সুন্দর কিছু ফোটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। রঙিন মাছ, তালের পাখা, শামুকের আর ঝিনুকের সজ্জা, গলদা চিংড়ির খোলস, ব্ল্যাক পিরানহা, ক্ষুদে হাঙ্গর, এলবিনো হাঙ্গর, অশ্বক্ষুরাকৃতি কাঁকড়া অনেক কিছুই দেখতে পেলাম।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
দাদা আপনার একুরিয়ামের ভ্রমণের প্রথম পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো।প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন লাগছে দেখতে।টিনটিন বাবুর ছবি গুলোও ভালো হয়েছে,কিউট লাগছে অনেক।পিরানহা তো বেশ সাংঘাতিক,৩-৪মিনিটেই মানুষ খেয়ে ফেলে।পরবর্তী পর্বগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ দাদা চমৎকার ফটোগ্রাফী পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
প্রথমেই বলি টিনটিন সোনাকে ভীষণ মিষ্টি দেখাচ্ছে ছবিগুলোতে। সে বেশ উপভোগ করেছে ভ্রমনটা, দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
ব্ল্যাক পিরানহা শুনেছি ভীষণ ভয়ংকর মাছ, মাত্র কিছু সময়ের মধ্যে মানুষ খেয়ে সাবার করে ফেলতে পারে। ছবিতেই কেমন শান্ত দেখাচ্ছে এগুলো।
তাছাড়াও হাঙর, কাঁকড়া এবং সর্পাকৃতির মাছের ছবিগুলো দারুন লেগেছে।
জিএটি খুবই স্বারস্য এবং সুন্দর একটি বর্ণনা! আমি মনে করি আপনি খুব সুখী হতে পারেন সেই সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে গিয়ে একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা পেতে। আপনি অ্যাকোয়ারিয়ামে প্রবেশ করে সামুদ্রিক প্রাণীদের বিভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফ তুলে ফেলেন, তা খুবই আকর্ষণীয়। বিশেষত অ্যাকোয়ারিয়ামটি তিনতলা এবং তার নিচে আফ্রিকান ব্ল্যাক পিরানহা এর মতো বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী দেখতে পাওয়া খুব মনোহর। আপনার ফটোগ্রাফি সিরিজ দেখতে খুব আনন্দ হবে। @rme
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
কক্সবাজারের মেরিন আ্যকোরিয়ামে ঘুরতে যেয়ে তো দেখি খুব চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আরও মুগ্ধ হলাম আমাদের টিন টিন সোনা কে দেখে। দেখেই বুঝা যাচেছ যে টিন টিন সোনা বেশ মজা করেছে।