ট্রাভেল ফোটোগ্রাফি পোস্ট : কক্সবাজারের হিমছড়ি ঝর্ণার কাছে কাটানো আমাদের বিশেষ কিছু মুহূর্ত
কক্সবাজার এ ঘুরতে যাওয়া নিয়ে আমার আগের পর্বে ইনানী সী বীচের বেশ কিছু ফোটোগ্রাফ শেয়ার করেছিলাম । দুপুর অব্দি ইনানী সী বীচে কাটিয়ে আমরা হিমছড়িতে পৌঁছলাম । হিমছড়িতে পৌঁছেই আগে একটা রেস্টুরেন্টে হরেক প্রকার মাছ দিয়ে দুপুরের লাঞ্চ সারলাম । খেয়ে দিয়ে কিঞ্চিৎ রেস্ট নিয়ে চললুম টিকেট কাউন্টারে । হিমছড়ি ছোট্ট এই ঝর্ণা দেখতে এখানে টিকেট কাটা লাগে ।
টিকেট কেটে ভেতরে ঢুকে দেখলাম বেশ উঁচু দুই সারি টিলার মাঝখান দিয়ে সরু একটা পথ চলে গিয়েছে ঝর্ণা অভিমুখে । দু'পাশে টিলার ওপর নাম না জানা হরেক উদ্ভিদে ছেয়ে গিয়েছে । কিছু কিছু গাছপালা অবশ্য একদমই চেনা । এই যেমন নারিকেল, বাঁশ, বট, অশ্বথ প্রভৃতি । আর আছে অসংখ্য ঝোপ ঝাড়, নাম না জানা বুনো ফুলের ঝোঁপ । শীতকাল তাই ফুল ছাড়া রিক্ত এসব বুনো ফুলের ঝোঁপগুলোর ডালপালা ।
কিছুটা এগিয়ে ছোট্ট একটা কাঠের পোল পার হলেই দেখা পেলুম তার । হিমছড়ির ঝর্ণা ছোট্ট, শীর্ন তার জলের ধারা । এখন শীতকাল বলেই জলের ধারা আরো শীর্ণ । তবে দেখতে বেশ লাগে । ঝির ঝির একটানা মৃদু জল পড়ার শব্দ, বুনো পাখির ডাক আর ঝি ঝিঁ পোকার একটানা ডাক । সব মিলিয়ে দারুন একটা পরিবেশ ।
বেশ কয়েকটা ছবি তুললাম । এখানকার মাটি দেখলাম বেশ রাঙা । এক ঝাঁক ফিঙে দেখলাম সন্ধ্যে নামার মুহূর্তে পুব দিকে তাদের বাসার খোঁজে ঝাঁক বেঁধে উড়ে চলেছে । ফেরার পথে বেশ কয়েকটা সামুদ্রিক শঙ্খ, ঝিনুক, মুক্তো আর পুঁতির মালার দোকান দেখলাম । সেখান থেকে বেশ কিছু কেনাকাটা হলো আমাদের ।
এবার ফেরার পালা । তখন সবে সন্ধ্যে নেমেছে, সমুদ্রের ধার দিয়ে চমৎকার মেরিন ড্রাইভ ধরে সাঁ সাঁ করে ছুটে চলেছে আমাদের গাড়ি কক্সবাজার হোটেল অভিমুখে । ঠান্ডা নোনা জলের হাওয়ার ঝাপ্টা এসে চোখে মুখে লাগছে আর দারুন একটা ভালো লাগার অনুভূতিতে মনটা আমার ভরে উঠছে । এই তো জীবন !
SEE FOOD রেস্টুরেন্ট । হিমছড়ির এই রেস্টুরেন্টে আমরা খুবই চমৎকার একটি লাঞ্চ করেছিলাম । খাবারের স্বাদ অনেক ভালো ছিল ।
তারিখ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : দুপুর ০২ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ ।
টিলার উপর নারকেল গাছ আর সাথে বেশ কিছু অচেনা উদ্ভিদের সারি দেখলাম ।
তারিখ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : দুপুর ০৩ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ ।
টিলার উপরে অজানা গাছের জটলার সাথে অনেকগুলি বুনো ঝোপঝাড়ও দেখতে পেয়েছিলাম ।
তারিখ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : দুপুর ০৩ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ ।
হিমছড়ি ঝর্ণার খুব কাছে চলে এসেছি আমরা ।
তারিখ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : দুপুর ০৩ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ ।
হিমছড়ি ঝর্ণা ।
তারিখ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : দুপুর ০৪ টা ০৫ মিনিট
স্থান : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ ।
হিমছড়ি ঝর্ণার কাছে সামুদ্রিক শঙ্খ, ঝিনুকের দোকান ।
তারিখ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : দুপুর ০৪ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫০০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 500 trx)
তারিখ : ২১ জানুয়ারি ২০২৩
টাস্ক ১৫৩ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 2852b3130d29af670625fc7f340dbdf6d82854399f78d05b609407687ff2b0fc
টাস্ক ১৫৩ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
পাহাড়ের রাস্তা আর বয়ে চলা ঝর্ণা সবমিলিয়ে দারুন সময় কেটেছে বুঝতে পারছি দাদা। আসলে পাহাড়ের গা ঘেসে বেড়ে উঠা বিভিন্ন উদ্ভিদগুলো কখনো আমাদের চেনা কখনো অচেনা। নানান রকমের ঝিনুকের সমারোহ দেখতে পাওয়া যায় সেখানকার দোকানগুলোতে। সব মিলিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছে বুঝতেই পারছি দাদা। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে পাহাড়ের রাস্তা এবং ঝর্ণা দেখতে ভীষণ সুন্দর।
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
দাদা নমস্কার
কক্সবাজারের হিমছড়ি ঝর্ণার কাছে কাটানো মুহূর্ত গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম ৷ সবচেয়ে ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ৷ প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল ৷ সবচেয়ে ভালো লাগলো ঝিনুকের দোকান টি দেখে ৷
এই দৃশ্যটি প্রায় অনেকেরই চেনা। এটি কক্সবাজারের হিমছড়ি। এক মহা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এটি। এখানে গেলে যে কারও মন ভালো হয়ে যাবে তাতে সন্দেহ নেই।দুপুরে লাঞ্চ সেরে ঘুরতে যাওয়ার পর অনেক সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করেছেন তা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।অসাধারণ পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই দাদা।
দাদা হিমছড়ি ঝর্নার দারুন বর্ননা দিয়েছেন। বিশেষ করে পাহাড় গাছপালা আর পাখি সবমিলিয়ে এক মোহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ এবং খাবার গুলো দারুন উপভোগ করছেন জেনে খুশি হলাম ☺️ সবাই মিলে সময়টা উপভোগ করুন এই কামনা করছি।
সমুদ্রের পাড়ে হিমছড়া ঝর্ণাটি একটা সময় বেশ জনপ্রিয় এবং আকর্ষনীয় স্পট ছিলো, কন্তিু অজন্ত আর অবহেলার কারনে সেটা এখন জীর্ণ ও শীর্ণরূপ ধারন করেছে। কথিত আছে যে, ঝর্ণাটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে আর বর্তমান যেটা আছে সেটা কৃত্রিম। ফটোগ্রাফিগুলো ভালো ছিলো, ধন্যবাদ।
দাদা একদম ঠিক, কক্সবাজারে গেলে বিভিন্ন রকমের সামুদ্রিক মাছ খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। তাছাড়াও বিভিন্ন রকমের শুটকি মাছ বেশ আকর্ষণীয়। হিমছড়ি ঝরনার আশেপাশে চোখ জুড়ানো কিছু ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। শুকনা মৌসুম হওয়াতে ঝর্ণার পানি একদম কম সে কারণে একটু মলিন লাগছে। যখন ঝর্ণার পানি বেশি থাকে তখন দেখতে অনেক ভালো লাগে জায়গাটা। আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
দাদা আপনি কক্সবাজার হিমছড়ি ঝর্ণার কাছে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আর এই মুহূর্তগুলোর ফটোগ্রাফি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। হিমছড়ি পাহাড় পর্বত গাছপালা সবকিছু মিলে একটি খুবই সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। হিমছড়ি ঝর্ণার আশপাশে যেগুলো আছে সব কিছুই চোখ জুড়িয়ে যায় দেখলে। এত সুন্দর দৃশ্য গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
জীবনের বিশেষ নীরব সময় কাটাতে এবং সুন্দর মনোনার প্রকৃতির দৃশ্য দেখতে কক্সবাজার ইনানী এবং হিমছড়ি হচ্ছে অন্যতম জায়গা।মাছ নিয়ে বেশ মজার করে দুপুরে লাঞ্চ করেছেন আশা করি খেতে অনেক ভালো লেগেছিল মাছগুলো।তবে এই ঝর্ণা টা অনেক ভালো লাগে আপনারা তো বেশ মজার সময় কাটিয়েছেন।শীতকালের চেয়ে ঝর্নাতে যদি গরমকালে যাওয়া যায় অনেক ভালো লাগে।সেই ঝর্ণার শীতল পানিতে গোসল করতে।ধন্যবাদ দাদা খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন কক্সবাজার ইনানী এবং হিমছড়িতে।