আমার অতি সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ বিষয়ক আপডেট -১৬
পীস টেম্পল দেখার পরেই বেরিয়ে পড়লুম লামাহাটার উদ্দেশ্যে । লামাহাটা জায়গাটি বেশ । একটা উঁচু টিলার উপরে ঘন জঙ্গল । নিচে পার্ক । বিশাল বিশাল লম্বা গাছ রয়েছে লামাহাটার জঙ্গলে । এক একটা গাছ ১৫০-৩০০ ফুট অব্দি লম্বা । গাছের মাথা দেখতে গেলে ঘাড় উঁচু করে দেখতে দেখতে ব্যাথা হয়ে যায় । ক্যামেরায় গোড়া থেকে মাথা অব্দি ধারণ করার বহু চেষ্টা করে অবশেষে ক্ষান্ত হলুম । এই জঙ্গলে রয়েছে বার্চ, পাইন, ঝাউ, দেবদারু, শাল প্রভৃতি উদ্ভিদ ।
লামাহাটার সঠিক উচ্চারণ লামাহাট্টা । মূলত এখানে তিব্বতীদের বেশ কিছু জনগোষ্ঠীর বাস । চীন তিব্বত দখলের পর অনেক তিব্বতীয় লামা এখানে এসে বসবাস শুরু করলে ভারত সরকার সেটিকে মান্যতা প্রদান করেন বসবাসের স্থায়ী অনুমতি প্রদা করেন । লামারা এখানে একটা গ্রাম গড়ে তোলেন । সেই থেকে এই জায়গাটার নাম লামাহাট্টা বা লামাহাটা । এখানে এখন শেরপা, ভুটিয়া, ডোকপা, তামাং প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর বসবাস ।
এখানেই পাহাড়ের কোল ঘেঁষে এই ইকো পার্কটি অবস্থিত । আমি পাহাড় বেয়ে উঠতে উঠতে অনেক উঁচুতে উঠে জঙ্গলে ঢুকেছিলাম । এই জঙ্গলের মধ্যে একটা সরু পায়ে চলা রাস্তা ধরে বেশ অনেকটা পথ হাঁটলেই একটা লেক পাওয়া যায় ।
লামাহাটায় বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আমরা একটা টী স্টেটে গেলাম । সেখানে আমাদের গাড়ি একটা দুর্ঘটনার শিকার হওয়াতে আমরা আর না এগিয়ে পাহাড়ি উপত্যকীয় কমলালেবুর বাগানে গেলুম । সেখানে কমলা বাগানে এখনো কমলাগুলো বেশ কাঁচাই রয়েছে দেখলুম । আমাদের ড্রাইভার এক ব্যাগ ভর্তি কমলালেবু কুড়িয়ে অন্য গাছের তলা থেকে । বেশ কয়েক হাজার গাছ রয়েছে এই কমলালেবুর বাগানে ।
লামাহাটা ইকো পার্কে আমরা ক'জনা ।
তারিখ : ১৯ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ১ টা ৩০ মিনিট
স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
একদম টপে উঠে এই কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম । এই উচ্চতায় প্রায় মানুষই আসতে ভয় পায় । তাও আবার ঘন জঙ্গলের মধ্যে । তাই আমি একদমই একা ছিলুম এখানে ।
তারিখ : ১৯ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ১ টা ৫০ মিনিট
স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
দার্জিলিং টী স্টেট । জায়গাটার নাম বলেছিলো ড্রাইভার । বাট, এই মুহূর্তে নামটা মনে করতে পারছি না ।
তারিখ : ১৯ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ২ টা ৪০ মিনিট
স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
b>এই সেই দার্জিলিঙের একটা কমলালেবুর বাগান যেটার কথা আপনাদের সেদিন বলেছিলাম । বাগানটি বেশ সুন্দর, শান্ত আর একদমই নির্জন পরিবেশ । একদম পাহাড়ের নিচে উপত্যকায় । কয়েক হাজার কমলা লেবুর গাছ রয়েছে এই অরেঞ্জ গার্ডেনে । লেবু ছাড়াও বেশ কয়েক প্রজাতির ফুল আর চেরী ফলের গাছ রয়েছে বাগানে ।
তারিখ : ১৯ নভেম্বর ২০২২
সময় : বিকেল ৩ টা ৫০ মিনিট
স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
পরিশিষ্ট
প্রতিদিন ৫০০ ট্রন করে জমানো এক সপ্তাহ ধরে - ৩য় দিন (500 TRX daily for 7 consecutive days :: DAY 03)
সময়সীমা : ২২ নভেম্বর ২০২২ থেকে ২৮ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত
তারিখ : ০১ ডিসেম্বর ২০২২
টাস্ক ১২৯ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 977298bff478b094d2fbdf6c7fa88d0950c09c0b376d7d81094d8c050bac2d43
টাস্ক ১২৯ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
দাদা লামহাট্টা ইকোপার্ক জায়গাটি অনেক সুন্দর ।গাছগুলো অনেক বড়,আসলেই ক্যামেরাই ধারণ করা বেশ কঠিন।তারপরেও ধারণ করতে পেরেছেন,এটাই অনেক।ফুল, ফল গাছ গুলো অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন।অনেক ভালো লাগছে দেখতে ফটোগ্রাফি তে।তাহলে সামনে থেকে নিশ্চয় আরও ভালো লেগেছিল।লামাহাট্টা জায়গাটি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য দাদা
১৫০-৩০০ ফুট লম্বা গাছ সত্যি কখনো দেখা হয়নি। তবে ফটোগ্রাফিতে বোঝাই যাচ্ছে গাছগুলো অনেক লম্বা। যেহেতু আপনাদের গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল আশা করছি আপনাদের বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি। তবে দাদা কমলালেবুর বাগানটি সত্যি দেখার মত ছিল। মনে হচ্ছে যেন নিরিবিলি শান্ত পরিবেশের মাঝে আরো কিছুটা সময় কাটালে ভালই লাগতো। আর ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ সুন্দর হয়েছে। দাদা আপনার ভ্রমণের এবারের পর্বটি দেখে খুবই ভালো লাগলো।
দাদা দারুন লাগলো গাছ গুলোর ছবি।অসাধারণ লাগলো 😍 লামাহাটা জায়গাটা সবকিছু মিলিয়ে খুব ভাল লাগলো। কমলা বাগান দেখে ইচ্ছে করছিল হাত দিয়ে ছিঁড়ে নেই।আর চা বাগান দেখতে আমি সব সময় পছন্দ করি। বাগানের সৌন্দর্যের কথা আর কি বলব।অনেক ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
Congratulations!
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
এই লামাহাট্টা জায়গাটা খুব সুন্দর। গাছগুলো দেখতে খুব ভালো লাগে। এত লম্বা লম্বা গাছ আসলেই দেখা যায় না কোথাও। কমলা বাগান দেখে তো লোভ লেগে যাচ্ছে দাদা। এখানে গেলে কি কমলা ছিড়ে খেতে দেয় নাকি কমলা ধরতে দেয় না? আর দার্জিলিংয়ের চা বাগান গুলোতে অন্যরকম একটা আকর্ষণ কাজ করে।
গাড়িতে কি দুর্ঘটনা হয়েছিল দাদা তা তো বললেন না দাদা। যাক নিশ্চয়ই বড় কোনো দুর্ঘটনা হয়নি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
দাদা লামাহাটা ইকো পার্কেটি সত্যিই অনেক সুন্দর। ভ্রমনে বের হওয়ার আগে সব তথ্য নিয়েই বের হয়েছিলেন। সিকিম,দার্জিলিং কোন কিছু আর বাকি রাখেন নি। লম্বা লম্বা গাছ গুলো দেখতে কেমন অদ্ভুত লাগছে। আপনি তো সাহসী মানুষ তাই ঘন জঙ্গলের ভিতরে দিয়ে একেবারে পাহাড়ের উপরে চলে গেছিলেন। আমি হলে তো ভয়েও যেতাম না। সব থেকে ভাল লাগছে কমলা লেবুর বাগান টা। নিজের হাতে কমলা লেবু পেড়ে খাওয়া সত্যিই ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। আপনাদের গাড়ি একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল সেটা তো আজ প্রথম শুনলাম। যায়হোক আপনি সুস্থভাবে ফিরে এসেছেন এটাই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। ধন্যবাদ দাদা
সবকিছু মিলিয়ে লামাহাটা জায়গাটি অসাধারণ ছিল দাদা।এমন সুন্দর সারি সারি লম্বা গাছ আগে কখনো দেখা হয়নি।গাছগুলো দেখতে যেমন সুন্দর তেমন অদ্ভুদ ধরনের মনে হচ্ছে।সবাই মিলে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন লামাহাটা জঙ্গলে এবং পার্কে।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করে ভাগাভাগি করে নিছেন।
গাছগুলো এত লম্বা ছিল সত্যি দাদা আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এই ভ্রমণকাহিনীর ফটোগ্রাফি গুলো না দেখলে বুঝতেই পারতাম না এত লম্বা লম্বা গাছ রয়েছে। সত্যিই আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো আমার মন ছুঁয়ে গেছে। আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের এদিকে তেমন একটা শীত এখনো পড়েনি দাদা ।কিন্তু দিদির পোশাক দেখে মনে হচ্ছে ওদিকে প্রচন্ড শীত পড়ছে। গাড়ি দুর্ঘটনায় শিকার হওয়ার কারণে আপনারা কমলা লেবুর বাগানে ঘুরতে গিয়েছেন । আসলেই কমলালেবুগুলো এখনো অনেকটা কাঁচা আছে। দেখেই মনে হচ্ছে কমলালেবুর বাগানে অনেক কমলালেবুর গাছ রয়েছে। দাদা আপনার সংক্ষিপ্ত ভ্রমণটি আসলেই অনেক আনন্দের ছিল। চেরি ফলগুলো দেখতেও সেই লাগছে। চেরি ফল গাছ আমি আগে কখনো দেখিনি দাদা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমার দেখে নেওয়া হলো। গোলাপী পাতাগুলোও দেখতে অনেক চমৎকার লাগছে। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনি আরো সুন্দর সুন্দর আপনার কিছু কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।