ফোটোগ্রাফি পোস্ট : বর্ষার প্রকৃতি

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

বহুদিন ফোটোগ্রাফি পোস্ট করা হয়নি । লাস্ট ফোটোগ্রাফি পোস্টটি করি আজ থেকে ঠিক এগারো মাস পূর্বে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ তারিখ । তাই ভাবলাম আজ একটু ফোটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করি আপনাদের সাথে । সময় নেই তাই ভাবলুম ছাতে গিয়ে কয়েকটা বৃষ্টিভেজা ফুলের ফোটো তুলি । সেই মতো দুপুর দু'টোর দিকে খাওয়া দাওয়া সেরে ছাতে গেলুম ক্যামেরা বাগিয়ে । আজকে একটি বৃষ্টিমুখর দিন । ভোর থেকে অবিশ্রান্ত ধারায় বারি বর্ষণ হয়েই চলেছে । তাই ছাদের ফুলগাছগুলি বর্ষার নবধারায় নতুন করে ফুলে ফুলে সেজে উঠেছে ।

ছাদে উঠতেই এক ঝলক শীতল ভেজা হাওয়া চোখে মুখে এসে লাগলো । আহঃ কী অদ্ভুত এক প্রশান্তি ! মন - প্রাণ একদম জুড়িয়ে গেলো । বর্ষার শীতল ভেজা হাওয়ায় মন একদম উদাসী করে তোলে । অপূর্ব একটা অনুভূতির জন্ম হয় হৃদয়ে । অদ্ভুত এক স্নিগ্ধতায় দেহ-মন একদম সতেজ করে তোলে ।

প্রকান্ড ছাতের এখানে সেখানে প্রচুর ফুলের গাছ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে । ছবি তুলবো কী, আমি সব ভুলে শুধু বর্ষার সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলুম । কতক্ষণ যে এভাবে কাটলো ঠিক মনে নেই । এরপরে হঠাৎ খেয়াল হলো, তাই তো বিকেল সাড়ে তিনটেয় ডক্টরের এপয়েন্টমেন্ট আছে । গোলটুকে নিয়ে যেতে হবে । তাই দ্রুত কয়েকটি ফুল আর টবের গাছের বৃষ্টিভেজা সৌন্দর্যকে ক্যামেরাবন্দী করে নেমে এলুম ছাদ থেকে ।

তারপরে এই যে স্টিমিটে পোস্ট করতে বসে গেলুম । পোস্টটা শেষ হলেই স্নানে যাবো । তারপরে গোলটুকে নিয়ে বেরিয়ে যাবো এপোলো ক্লিনিকের উদ্দেশ্যে । যেতে অবশ্য খুব একটা টাইম লাগবে না । মিনিট আট-দশ বড়জোর । বাড়ির একদম কাছেই তো তাই ।


IMG_20240820_140907430_HDR.jpg

কাঁটার মুকুট ফুল।
তারিখ : ২০ আগস্ট ২০২৪
সময় : দুপুর ২ টা ০০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20240820_140633577_HDR.jpg

বৃষ্টি ভেজা নয়নতারা ফুলগাছের পাতা ।
তারিখ : ২০ আগস্ট ২০২৪
সময় : দুপুর ২ টা ০৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20240820_140805116_HDR.jpg

নীলকণ্ঠ ফুলগাছের পাতা, বর্ষণে সিক্ত ।
তারিখ : ২০ আগস্ট ২০২৪
সময় : দুপুর ২ টা ০৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20240820_140836003_HDR.jpg

কলকা ফুল ।
তারিখ : ২০ আগস্ট ২০২৪
সময় : দুপুর ২ টা ১০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20240820_141015997_HDR.jpg

বর্ষণসিক্ত গোলাপের পাতা ।
তারিখ : ২০ আগস্ট ২০২৪
সময় : দুপুর ২ টা ১০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20240820_141101980_HDR.jpg

নয়নতারা ফুলের পাতার গায়ে বৃষ্টির ফোঁটা জমে আছে ।
তারিখ : ২০ আগস্ট ২০২৪
সময় : দুপুর ২ টা ১০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

»»——⍟——««

Sort:  
 3 months ago 

"ছাদ" লিখতে ছাত হয়েছে
ভয়েযে লেখার জন্য,
ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখে
হলাম আমি ধন্য।

১১ মাস পরে এলেন
ফটোগ্রাফি নিয়ে,
বৃষ্টি ভেজা পাতা আর
ফুলের গন্ধ দিয়ে।

দুপুর বেলা ছাদ বাগানে
বৃষ্টিমুখর দিন,
হৃদয় মাঝে ভালোলাগা
করছিল চিনচিন।

স্নান শেষে যেতে হবে
অ্যাপোলো হাসপাতাল
গোলটুকে নিয়ে যেতে হবে
তাইতো বেসামাল।

টিনটিন বাবাইর জন্য আমি
দোয়া করে যাই,
হাসিখুশি থাকবে সদা
অসুখ বিসুখ নাই।
🤲🤲

 3 months ago 

দাদা অনেক দিন পর আপনার কাছ থেকে এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি উপহার পেলাম।আসলে বৃষ্টি ভেজা ফটোগ্রাফি গুলো আপনি দারুণ ভাবে ক্যামেরা বন্দী করছেন দাদা।ফুল ও পাতার মধ্যে বৃষ্টি পড়ার কারনে ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। টিনটিন বাবু মনে হচ্ছে অনেক অসুস্থ। তার সুস্থতা কামনা করি।সৃষ্টিকর্তা যেনো খুব শীগ্রই সুস্থ করেন।ধন্যবাদ দাদা পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 3 months ago 

আপনি ফটোগ্রাফি মূলক পোস্ট করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেকদিন পর ফটোগ্রাফি মুলক পোস্ট করেছেন। তাও আবার বেশ বৃষ্টিতে ভেজা ফুল পাতার চিত্র। সব মিলে অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের উপহার দিয়েছেন দেখে। যদি ছাদ থেকে না হয়ে ফসলের মাঠ থেকে এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতেন আর বৃষ্টির শীতল আবহাওয়া অনুভব করতেন তাহলে আরো প্রশান্তি খুঁজে পেতেন দাদা। কারণ গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক পরিবেশ মন জুড়িয়ে দেয়। যেন অন্যরকম স্বর্গর রাজ্য খুঁজে পাওয়া যায় এই মা মাটির বুকে।

Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 100 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.

 3 months ago 

দাদা ভাবতে অবাক লাগছে দীর্ঘ ১১ মাস পর ফটোগ্রাফি পোস্ট করলেন। সত্যিই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ভীষণ মিস করি ।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু চমৎকার হয়। আর এই বৃষ্টিমুখর দিনে ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে ।ছাদের গাছ পাতাগুলো বৃষ্টির পানিতে ভিজে থাকে যা ক্যামেরাবন্দি করতে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগে। আজ আপনি বৃষ্টিস্নাত চমৎকার কিছু পাতার ফটোগ্রাফি করেছেন যা দেখে সত্যি ভীষণ মুগ্ধ হয়েছি। আর বৃষ্টির দিনে এমনিতে মন ভীষণ আনমনা হয়ে ওঠে ।ছাদে গাছপালার সঙ্গে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে ।যাইহোক আপনার সুস্থতা কামনা করছি ,ভালো থাকবেন সব সময় ।শুভকামনা রইল।

 3 months ago 

বহুদিন পরে আপনার ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখলাম দাদা। প্রত্যেকটি ছবি অসাধারণ হয়েছে। আপনার বাসা ছাদে যে এত চমৎকার চমৎকার গাছ রয়েছে তা আগে জানতাম না। প্রত্যেকটি ছবিগুলো অনেকটাই ফ্রেশ লাগছিল এবং বৃষ্টির পানিতে সেই ছবিগুলো আরো ঝলমলে হয়ে উঠেছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 3 months ago 

দাদা আসলেই দীর্ঘদিন পর ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আমাদের এখানেও বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি ভেজা অবস্থায় গাছপালা একেবারে সতেজ হয়ে যায় বলে, দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগে। যাইহোক ছাঁদে গিয়ে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন দাদা। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

আর এক মাস গেলেই এক বছর হয়ে যেতো তাহলে ফটোগ্রাফির।আপনি বরাবর ই দারুণ ফটোগ্রাফি করেন।টিনটিন তো মনে হচ্ছে এখনো অসুস্থ,ওর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।

 3 months ago 

দীর্ঘ ১১ মাস পরে দাদা আপনার ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। অসাধারণ ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। বৃষ্টিতে ভেজা ফুল পাতার ফটোগ্রাফি গুলো এত দারুন ভাবে ক্যামেরাবন্দি করেছেন যা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে হারিয়ে যেতে আসলেই ভালো লাগে।টিনটিন বাবু ও দাদা আপনার সুস্থতা কামনা করছি। ভালো থাকবেন দাদা।

 3 months ago 

প্রায় এক বছর পর আপনি ফটোগ্রাফি পোস্ট করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা। বর্ষার অপরূপ সৌন্দর্য হৃদয় শীতল করে। বর্ষার সৌন্দর্য যেমন ভালো লাগে তেমনি বর্ষার শীতল বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে দাদা। অনেক ভালো লেগেছে।