ছবিতে এক জন কৃষকের সবজি চাষ এবং তার পরিচর্যা
আমাদের কলকাতা শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে এক গ্রামে আমরা প্রায়শই ঘুরতে যাই । একটানা শহরে থেকে যখন বুকে হাঁফ ধরে যায় তখন গ্রামের উন্মুক্ত পরিবেশে পাখা মেলতে ছুটে যাই । তা সপ্তাহে অন্তত একদিন হলেও যাই । দুপুরের দিকে বেরিয়ে পড়ি আর সন্ধ্যের কিছুটা পরে আবার ফিরে আসি বুক ভর্তি তাজা বাতাস আর চোখে একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে । আরো এক সপ্তাহ বন্দীপুরীতে আমার বাঁচার রসদ এটি ।
রবি ঠাকুরের সেই কবিতাটি খুব মনে পড়ছে আজকের এই নিষ্ঠুর শহুরে সভ্যতার বুকে বসবাস করতে করতে -
দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর,
লও যত লৌহ লোষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর
হে নবসভ্যতা! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী,
দাও সেই তপোবন পুণ্যচ্ছায়ারাশি
..............................................
..............................................
পাষাণপিঞ্জরে তব
নাহি চাহি নিরাপদে রাজভোগ নব--
চাই স্বাধীনতা, চাই পক্ষের বিস্তার,
বক্ষে ফিরে পেতে চাই শক্তি আপনার,
পরানে স্পর্শিতে চাই ছিঁড়িয়া বন্ধন
অনন্ত এ জগতের হৃদয়স্পন্দন।
- শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ্রামে যখন যাই চারিদিকে সবুজের প্রাচুর্য্যে আমার মন প্রাণ সব জুড়িয়ে যায় । মনে একটা অদ্ভুত প্রশান্তি আসে । খোলা হাওয়ায় যখন দাঁড়াই তখন একঘেঁয়ে কর্মজীবনের সকল অবসাদ, সকল প্রশান্তি এক নিমিষেই দূর হয়ে যায় । আবার কর্মে উদ্দীপনা বাড়ে, সজীব হয়ে ওঠে এ বুড়ো মন ।
আজকে একজন গ্রাম্য কৃষকের সবজি চাষ এবং তার পরিচর্যা নিয়ে কয়েকটি ফটোগ্রাফ শেয়ার করতে চলেছি । আশা করছি ভালোই লাগবে এই ব্যতিক্রমী পোস্টটি ।
এক পাশের ক্ষেতে পুঁইশাক ও কলমি শাকের চারা, আরেক পাশের ক্ষেতে ধানের চারা । দুই ক্ষেতের আলের মাঝে এক কৃষক জল প্রবাহের (সেচের) নালা গুলো মেরামতির কাজে ব্যাপৃত ।
স্থান : সর্পডিহি , পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্ষেতের আলের মাঝে জল প্রবাহের নালা মেরামতির কাজ শেষ । কৃষক এখন জলের পাম্প মেশিনের কাছে যাচ্ছে পাম্প চালাতে ।
স্থান : সর্পডিহি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সেচের কাজ আপাতত শেষ, বাড়ি ফিরে যাবেন । ছবি তোলার অনুরোধ করা হলে মিষ্টি হেসে দাঁড়িয়ে একটি পোজ দিলেন ।
স্থান : সর্পডিহি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এবার কৃষকের ঘরে ফেরার পালা ।
স্থান : সর্পডিহি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
আরেক কৃষক হাজির, বেলাশেষে কীটনাশক স্প্রে করতে । সবজি চারা গুলোকে ক্ষতিকর পোকা মাকড়ের হাত থেকে বাঁচাতে এই কীটনাশক স্প্রে করা হয় ।
স্থান : সর্পডিহি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
কোন কোন ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করা হবে চলছে তার জরিপ ।
স্থান : সর্পডিহি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
জরিপ শেষ । এখন চলছে সবজির চারায় কীটনাশক স্প্রের কাজ ।
স্থান : সর্পডিহি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
Superb ❤️
সজীবতায় ভরপুর প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখতে কার না ভালো লাগে। স্প্রে করার ছবিটি সত্যিই অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রকৃতির সান্নিধ্যে যতই থাকা যায় ততই মনটা ভালো হয়ে। মনের মধ্যে থাকা চাপা বোঝা গুলো যেন হালকা হয়ে যায়। প্রকৃতি আর মনের মধ্যে অদ্ভুত এক যোগসুত্র আছে। এটা শুধু অনুভব করা যায়।
দাদা আসলে শহরের থেকে গ্রামরে আবহাওয়া অনেক ভালো ভরপুর শুদ্ধ বাতাসে নিতে অনেক ভালো লাগে।গ্রামের দৃশ্যেপট গুলো দারুন ছিলে।দাদা ফটোগ্রাফি সাথে সাথে উপস্থাপনা অনেক সুন্দর।ধন্যবাদ।
hey guys follow me I give you feedback
গ্রামের মুক্ত হাওয়া সত্যিই মনকেও শরীরকে আরাম দেয় এবং একঘেয়েমি দূর করে।ফটোগ্রাফীগুলি খুবই সুন্দর হয়েছে।গ্রামের মানুষ অনেক পরিশ্রম করে ফসল ফলান।ধন্যবাদ দাদা।
কৃষি ও কৃষি সংক্রান্ত কাজগুলো আমার একটু বেশি প্রিয়। যাদেরকে কৃষি কাজ করতে দেখি তাদের বুকে জড়িয়ে নিতে ইচ্ছে করে। যেকোন পরিশ্রমের কাজ যেমন নির্মান শ্রমিক, শিল্পের শ্রমিক কিংবা কৃষকদের কাজ আমার অনেক ভাল লাগে তবে কৃষিকাজ একটু বেশি ভাল লাগে। আমাদের বাঙালি সমাজে কৃষিকাজ অন্যতম বিশেষকরে গ্রামগুলোতে। গ্রামে গেলেই আমি বিকালে সকালে কৃষি মাঠে ঘুরে বেড়াই। ভাল লাগল ছবিগুলো
দাদা ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর লাগছে| তোমার এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে কৃষকের পরিশ্রম দেখা যাচ্ছে আর কৃষক কি করে আমাদের পর্যন্ত খাবার পৌঁছে তার কিছুটা অংশ বোঝা যাচ্ছে | দাদা ,আমিও গ্রাম খুব ভালোবাসি মাঝে মাঝে সময় পেলে তোমাদের মত আমিও গ্রামে গিয়ে ঘুরে আসি আর এইসব দৃশ্য দেখতে পাই| তোমার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমারও সেই সব কথা মনে পড়ে গেল|
গ্রামের সহজ-সরল পরিবেশ মনকে শান্ত করে। গ্রামের আবহাওয়া, গ্রামের প্রকৃতি আমাদেরকে সজীব করে তোলে। আমিও মনকে রিফ্রেশ করার জন্য শহুরে বন্দী খানা থেকে বাঁচতে গ্রামে যাই রিফ্রেশমেন্টের জন্য। গ্রামের কৃষকদের ফসলের ক্ষেত পরিচর্যা করা দেখে খুবই ভালো লাগলো। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে দাদা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
good
মানুষের চাতুর্য বিস্ময়কর যখন সে সাধারণ সমস্যা সমাধান করতে ইচ্ছুক, খুব সুন্দর পড়া @rme