আমার অতি সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ বিষয়ক আপডেট -০৫
১৫ -ই নভেম্বর আমরা নাথুলা পাস্ ছাড়াও আরো তিনটি জায়গায় ভ্রমণ করেছিলাম । মিলিটারি মিউজিয়াম, বাবা হরভজন সিং মন্দির এবং ছাঙ্গু লেক । গতকালের এপিসোডে আমি নাথুলা পাস্ ভ্রমণ এর ফটো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি । আজকে বাবা হরভজন সিং মন্দির এবং ছাঙ্গু লেক এর ছবি শেয়ার করবো । মিলিটারি মিউজিয়ামটায় বিশাল কড়াকড়ি ফটো তোলার ব্যাপারে । তাই ওই স্পটটির কয়েকটি কামানের ছবি ছাড়া আর কিছুই নেই আমার কাছে ।
বাবা হরভজন সিং মন্দিরটি ছিল তিন দিকে উঁচু পর্বত বেষ্টিত ছোট্ট একটা উপতক্যায় । বারোমাস বিশাল হাওয়া বয়ে যায় ছোট্ট এই উপত্যকা জুড়ে । বড় ঠান্ডা সে হাওয়া । সহ্য করাই কঠিন । হরভজন সিং ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে একজন ক্যাপ্টেন । ১৯৬৮ সালে নাথুলা পাসে তিনি একাই এক চীনা ব্যাটালিয়ন সৈন্যের সাথে এক ভয়াবহ যুদ্ধ করে শহীদ হন । তাঁর বিপুল বীরবিক্রমে সেদিন তাঁর সহযোগী জওয়ানেরা সবাই রক্ষা পান । এই অলৌকিক ঘটনার কারণে তাকে সাধু হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাঁর পুণ্য স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি মন্দির নির্মাণ করা হয় ।
ছাঙ্গু লেক । সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১২,৪০০ ফিট উচ্চতায় মিষ্টি জলের এক বিশাল লেক । গরমকালে ঘন নীল জলরাশি তার, শীতকালে বরফে আচ্ছাদিত । চতুর্দিকে পর্বত বেষ্টিত এই ছাঙ্গু লেক প্রকৃতির এক অনবদ্য আয়োজন । আমরা প্রায় ৩০ মিনিট ছিলাম এই লেকের পাড়ে । চমরী গাইয়ের পিঠে আমি, তনুজা, টিনটিন সবাই একটা করে ছোট রাইড দিয়েছিলাম এদিন । জীবনে প্রথম চমরিগাইয়ের পিঠে চড়ে ছাঙ্গু লেকের পাড় ঘেঁষে ঘুরে বেড়ানো । আহা ! এ এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা ।
বাবা হরভজন সিং মন্দিরে আমরা । পরমবীরচক্র হরভজন সিং মাত্র বাইশ বছর বয়সে পুরো এক ব্যাটালিয়ন চীনা সৈন্যের সাথে যুদ্ধ করে ভারতীয় জওয়ানদের পুরো একটা দলকে রক্ষা করে নিজে মৃত্যুবরণ করেন । তাঁর পুণ্য স্মৃতির উদ্দেশ্যেই এই "বাবা হরভজন সিং মন্দির" ।
তারিখ : ১৫ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : নাথুলা, সিকিম, ভারত ।
টিনটিনের কয়েকটি পোজ মন্দির চত্বরে । আর হরভজন সিংয়ের একটা আবক্ষ মর্মর মূর্তি মন্দির প্রাঙ্গনে ।
তারিখ : ১৫ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিট
স্থান : নাথুলা, সিকিম, ভারত ।
মন্দির প্রাঙ্গনে টিনটিন বাবু ও তনুজার কয়েকটি ফোটোগ্রাফ ।
তারিখ : ১৫ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ১২ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : নাথুলা, সিকিম, ভারত ।
হিমালয়ের নিঃসর্গ দৃশ্যাবলী । নিঃসন্দেহে অপূর্ব দৃশ্যপট সব ।
তারিখ : ১৫ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ০১ টা ১৫ মিনিট
স্থান : নাথুলা, সিকিম, ভারত ।
ছাঙ্গু লেক । পূর্ব সিকিমের এক অনন্য সৃষ্টি এই লেক । চতুর্দিকে পাহাড় দ্বারা ঘেরা ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২,০০০ ফিট উচ্চতায় মিষ্টি জলের লেক এটি । এই লেকের পাড়ে আমরা চমরী গাইয়ের পিঠে উঠে ঘুরে বেরিয়েছিলাম ।
তারিখ : ১৫ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ০২ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : নাথুলা, সিকিম, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
দাদা আপনাদের অতি সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ বিষয়ক আপডেট প্রতিনিয়ত আকর্ষন বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষকরে ছাঙ্গু লেকের পাশে এবং মন্দির প্রাঙ্গনে বৌদি এবং আমাদের সবার প্রিয় টিনটিন বাবুকে খুবই সুন্দর, হাস্যজ্জোল ও প্রাণবন্ত লাগছে।বৌদি এবং টিন্টিন বাবুর ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে দেখে চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মত। আপনাদের ভ্রমণ আরো মধুময় হোক এই প্রত্যাশায় শুভ কামনা♥ ♥
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
cool
Congratulations!
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
দাদা প্রতিনিয়ত আপনি চমৎকার সব ফটোগ্রাফি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করছেন দেখে বেশ ভালো লাগছে । সত্যি অপরূপ জায়গাটা । আকাশটাও যেন একদম নীল ।দেখে বেশ ভালো লাগছে । টিনটিন বাবু মনে হচ্ছে চমরী গাইয়ের পিঠে চড়ে ভয়ে কান্না শুরু করেছে । যাই হোক বেশ ভালো ছিল ফটোগ্রাফগুলো । পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
দাদা এত কষ্টের মাঝেও আপনি ঘোরাঘুরির আপডেট দিচ্ছেন 🙏দেখে ভাল লাগলো। কত সুন্দর জায়গা, মন্দির,আকাশের ছবি নীল 😍চোখ জুড়িয়ে যায়। দিদি ভাইকে অনেক সুন্দর দেখতে লাগছে।🥰 টিনটিন বাবু মনে হয় চমরী গাইয়ের পিঠে চড়তে চায়নি? পরে আবার ঠিক হয়ে গেছে।দাদা অনেক সুন্দর লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। অনেক শুভকামনা সকলের জন্য। 💞💞💞
beautiful
মাত্র বাইশ বছর বয়সে একটা চীনা টিমকে ট্যাকেল দিয়েছিল হরভজন সিং! এটা নিঃসন্দেহে বীরত্বের! তাই তো ভারত তারঁ কথা মনে রেখেছে। উপর থেকে পাহাড়ের সৌন্দর্য আহা দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। একটা সকাল দেখতে পারলে ভালোই হতো। চমরী গাইয়ের উপর করে চড়েছেন। দারুণ এক অভিজ্ঞতা হয়েছে নিশ্চয় দাদা 🌼
আমরা যখন নাথুলাতে গিয়েছিলাম, কুয়াশায় ঢাকা ছিলো আর তুষারপাত হচ্ছিলো। হরভজন সিংকে আর্মির সবাই ঈশ্বরের মত পুজো করেন। এখনও নাকি তার কিছু অলৌকিক জিনিস লক্ষ্য করা যায় রাত হলে ওখানে। ভুবন বাম আর দিব্যা দত্ত খুব সুন্দর একটা শর্ট ফিল্মও করেছেন হরভজন সিং কে ট্রিবিউট করে। ধন্যবাদ দাদা। সব মনে পড়ে গেলো।
ওরে বাবা!! চমরি গাই দেখেতো আমারই ভিশন ভয় করছে। আর আমাদের টিন টিন সোনাতো অনেক ছোট। চমরি গাই দেখে ভয় পাওয়ারই কথা। তিনজনে মিলে এই চমরি গাইয়ের পিঠে করে রাইড দিয়েছেন এবং ছাঙ্গু লেকের পার ঘেঁষে ঘুরে বেড়িয়েছেন ব্যাপারটি খুবই আনন্দদায়ক। এত সুন্দর পাহাড়, পাহাড়ের উপরে নীল আকাশ, এবং অত্যন্ত চমৎকার ফটোগ্রাফি সেই সাথে আপনাদের আনন্দটুকু প্রতিনিয়ত আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।