ফিরে দেখা : "পুরোনো কিছু ফোটোগ্রাফি" - পর্ব ০৩
গত পর্বে আমার ছোটবেলার একটা ঘটনা শেয়ার করেছিলাম যেখানে আমার এক মামাতো ভাই আমার ফোটো তুলে দিয়েছিলো । ছবিটি ছিল রঙিন । বহুদিন অব্দি মায়ের কাছে ছিল সেই ছবিটি । অনেকেই জানতে চেয়েছেন সেই ছবিটি এখনো আমার কাছে আছে কি না ? এখনো আছে কি না আমার জানা নেই । মায়ের কাছে যদি পাই তো অবশ্যই আপনাদের দেখাবো ।
মুশকিল হলো বয়স হয়ে যাওয়াতে আজকাল মায়ের অনেক কিছুই আর সেভাবে মনে থাকে না । সে যাই হোক ছোটবেলার কিছু ছবি আছে আমার কাছে । দেওয়া যাবে একদিন সেগুলো । আজ আমি আপনাদেরকে আমার জীবনের প্রথম ফোটোগ্রাফি করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
তখন আমি কিসে পড়ি ? উম্ম, খুব সম্ভবত ক্লাস সেভেন । বাড়িতে কম্পিউটার ছিল, কিন্তু কোনো ক্যামেরা ছিল না । স্কুলে পুজোর ছুটি হয়ে গেলো । তো, একদিন বিকেলে দেখি কম্পিউটার টেবিলের ওপরে ছোট্ট একটা ক্যামেরার মতো কি যেনো । পরে জানা গেলো আমার দাদা তার এক বন্ধুর থেকে চেয়ে এনেছে । ক্যানন ক্যামেরা । সাথে দুই রোল ফুজিৎসু কালার ফিল্ম রোল । ব্যাটারি ছিল না । তাই দাদা বাইরে গিয়েছে পেন্সিল ব্যাটারি কিনতে । ব্যাটারি ছাড়া ফ্ল্যাশ জ্বলবে না ।
তো সেই ক্যামেরা নিয়ে পুজোর ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গেলুম সবাই মিলে । যাওয়ার আগের দিন আমাদের দুই ভাইয়ের চোখ মুখ দেখে সন্দেহ হওয়াতে দাদা আরো দুই রোল ফিল্ম সাথে নিলো, আর নিলো আরো চারটে পেন্সিল ব্যাটারি । দাদা ঠিকই সন্দেহ করেছিল । গ্রামে পৌঁছতেই ক্যামেরা নিয়ে আমি আর আমার ছোট ভাইয়ের সাথে যুদ্ধ শুরু করে দিলাম । কে ছবি তুলবে তা নিয়ে চললো যুদ্ধ ।
বেচারা আমার দাদা ! তার ভাগ্যে খুবই কম সুযোগ জুটলো ছবি তোলার । আমি আর আমার ভাই সারাদিন গ্রামের পথে ঘাটে টো টো করে ঘুরি আর ছবি তুলি । তখনকার দিনে এক রোল ফিল্মে মোট ছবি উঠতো ৩৫ টার মতো । তাই ইচ্ছে থাকলেও খুব বেশি ছবি তোলা সম্ভব হয়নি । আমি গ্রামের পথ, ঘাট, পুকুর, ক্ষেত, ফুল গাছ, হাঁস-,মুরগি, গরু-বাছুর আর বেশ কিছু পাখির ছবি তুলেছিলাম । তার মধ্যে একটা ছিল মাছরাঙা পাখি ।
ছবি ওয়াশ করার পরে আর সে মাছরাঙার ছবিতে মাছরাঙ্গাকেই আর খুঁজে পাইনি । খুউব ছোট্ট একটা অবয়ব পেয়েছিলাম শুধু । আসলে ওই সব ক্যামেরায় zoom তেমন উন্নত ছিল না, তাই যতগুলি পাখির ছবি তুলেছিলাম সবগুলোর ক্ষেত্রে একই রেজাল্ট পেয়েছিলাম ।
আমার কিছু শৈশবের বন্ধু বান্ধবেরও ছবি তুলে দিয়েছিলাম । তারা ছবি ওঠার কথা শুনে বেশ সেজেগুজে এসেছিলো ছবি উঠতে । একটা রোল জ্বলে গিয়েছিলো সাবধানতা অবলম্বন না করে ফিল্ম পাল্টাতে গিয়ে । ফিল্ম wash করার আগে দিনের আলো লাগলেই জ্বলে নষ্ট হয়ে যেতো ।
পুজোর ছুটির পরে সেই তিনটে রোল wash করিয়েছিলো দাদা । আমরা তিন ভাই অপলক নয়নে দেখছিলাম নিজেদের ফোটোগ্রাফি কৃতিত্ব।
জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুরবাড়ি
নাম না জানা ফুলের ফোটোগ্রাফি
হলুদ সরিষা ফুলের বিস্তীর্ণ ক্ষেতে
সুন্দরবনের জেলেরা
সবুজ পাতার আড়ালে টুকটুকে লাল লঙ্কা উঁকি মারছে
কলমি ফুল, সবুজের সমারোহে নিষ্কলুষ শুভ্র
Canna Lily
নতুন ও পুরাতন
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫১০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 510 trx)
তারিখ : ০৭ মে ২০২৩
টাস্ক ২৫৮ : ৫১০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫১০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 8240ed27f07919251eb24f0412219b19ebfb65f36e29259e03a448896ffe753d
টাস্ক ২৫৮ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনার ছোটবেলার মধুর স্মৃতি সম্পর্কে জানতে পেরে ভালো লাগলো দাদা। আসলে সেই সময় ক্যামেরাও ততটা উন্নত ছিল না। তাইতো পাখিটি খুঁজেই পাওয়া যায়নি। পুরনো দিনের বিভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো দাদা।জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুরবাড়ি দেখে অনেক ভালো লেগেছে। এছাড়া একজন বৃদ্ধ এবং একজন শিশুর প্রতিচ্ছবির মাধ্যমে অনেক বড় অর্থ প্রকাশ করেছেন। নতুন এবং পুরাতন প্রজন্মকে তুলে ধরেছেন।
Hello friends, if you support me, I will support you too. If you follow me, I trust you too.
Check here :- @ashutos
হ্যালো বন্ধুরা, আমাকে সমর্থন করলে আমি আপনাকেও সমর্থন করবো। আপনি আমাকে ফলো করলে, আমি আপনার উপর বিশ্বাস করবো
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের স্মৃতিশক্তি ও লোপ পায়।যাইহোক আপনার ছোটবেলার অভিজ্ঞতা পড়ে জানতে পারলাম যেটা,সেই সময়ের ক্যামেরা অস্পষ্ট হলেও বেশ সতর্কতার সহিত ব্যবহার করতে হতো।নয়তো দিনের আলোতে জ্বলে যেত।আসলে মাছরাঙার ছবি যে খুঁজে পাওয়া যায় নি এটা বেশ মজার ছিল।শেষের ফটোগ্রাফিগুলি দুর্দান্ত ছিল, ধন্যবাদ দাদা।
ছোট বেলার ছবি তোলার অনেক সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন যা জানতে পারে বেশ ভালো লেগেছে। আপনি ঠিক বলছেন ক্যামেরাগুলো এত বেশি উন্নতমানের ছিল না। আপনি ঠিক বলছেন রোল গুলোতে কম ছবি করা যেতো তাও অল্প পরিমাণের। অনেক গুলো ছবি করার চাহিদা থাকলেও করা যেত না। ফিরে দেখার পুরনো ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর। আপনার তোলা অনেক আগের ফটোগ্রাফি গুলো এত সুন্দর বর্তমান সময়ের গুলো আরো অনেক সুন্দর।
ফটোগ্রাফির সাথে আপনার ছোটবেলার মধুর স্মৃতির কথা জানতে পেরে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো মনোমুগ্ধকর হয়েছে দাদা। কলকাতা জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি, সরিষা মাঠ, নতুন পুরাতন সব মিলিয়ে অনবদ্য ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
Muy hermosas fotografías, el paseo se ve muy divertido. Me encanta como se ven esas flores muy bonitas.
Saludos.
জীবনের স্মৃতি জড়িয়ে থাকে বর্তমানে ক্যামেরা জুড়ে আপনি অনেক পুরাতন কিছু ফটোগ্রাফি আজ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন যে ছবিগুলো আপনার ক্যামেরায় বন্দি ছিলো।
আপনার পুরনো স্মৃতিগুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো পাশাপাশি খুবই সুন্দরভাবে অনেক ফটোগ্রাফি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন যেগুলো দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সবসময় ভালো রাখুক এই কামনা করি।
দাদা তোমার শৈশবে ক্যামেরা নিয়ে ফটো তুলে বেড়ানোর ঘটনাটি বেশ রোমাঞ্চকর লাগলো। অনেক আগের ক্যামেরাগুলোতে এমন কালার ফিল্ম রোল দিয়ে ছবি করা হতো। এরকম ক্যামেরাতে আমিও ছবি তুলেছি কিন্তু আমাদের কোন ক্যামেরা ছিল না একটি লোক গ্রামের ছবি তুলতে আসতো এবং সে ওই ক্যামেরা দিয়ে আমাদের ছবি তুলে দিত এবং অনেকদিন পরে এসে এসে ফটোগুলো দিয়ে যেত। যাইহোক দাদা বিভিন্ন সময় তোলা তোমার শেয়ার করা আজকের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো হয়েছে। প্রথমে শেয়ার করা জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির ফটোটি দেখে আমার ইউনিভার্সিটির কথা মনে পড়ে গেল । এটি বর্তমানে আমাদের ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস। যদিও অনেকদিন হলো ইউনিভার্সিটিতে যাওয়া হয় না।
দাদা প্রথমত বলবো যদি আপনার মায়ের কাছে ফটোগ্রাফি গুলো থাকে ৷ তা অবশ্যই আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন ৷ আসলে কোনো পুরনো গ্যালারি থেকে ছবি গুলো দেখলে অনেক ভালো লাগে ৷ অনেক ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ৷ বিশেষ করে শেষ ছবি টি দূদান্ত ছিল ৷