বৃষ্টিমুখর এক সন্ধ্যায় ভয়ের গল্প শোনার অভিজ্ঞতা
copyright free image source: Pixabay
"মনে পড়ে সুয়োরানী দুয়োরানীর কথা,
মনে পড়ে অভিমানী কঙ্কাবতীর ব্যথা।
মনে পড়ে ঘরের কোণে মিটিমিটি আলো,
একটা দিকের দেয়ালেতে তার ছায়া কালো কালো।
বাইরে কেবল জলের শব্দ
ঝুপ্ ঝুপ্ ঝুপ্ —
দস্যি ছেলে গল্প শোনে একেবারে চুপ।"
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই বিখ্যাত কবিতা "বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর" এর এই কথাগুলি একদম মন ছুঁয়ে যাওয়া । বাদলা রাতে গ্রামের খোড়ো চালার মাটির বাড়িতে কেরোসিনের পিদিম জ্বলা ঘরে আমাদের গল্পের আসর বসতো । ছেলেবেলার সেই সব দিনের কথা ভাবলে এখনো মন কেমন করে ওঠে । বাইরে শোঁ শোঁ শব্দে জোলো হাওয়া বইছে, গাছগুলি সেই মাতাল হাওয়ার সাথে সাথে মাথা দোলাচ্ছে । বৃষ্টি পড়ার একটানা শব্দ শোনা যাচ্ছে, খোলা জানালা দিয়ে বাইরের কালো কালো গাছের পাতার সারি দেখা যাচ্ছে । ঘরের বাইরের ঠিক জানালার পাশটিতে কলা গাছের পাতা বেয়ে বৃষ্টি পড়ার টুপ্ টাপ শব্দ শোনা যাচ্ছে, আর মাঝে মাঝে এক একটা ভিজে দমকা হাওয়া জানালা দিয়ে এসে কেরোসিনের পিদিমের শিখাটাকে এলো করে দিয়ে যাচ্ছে । বাইরে একটানা ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দ আর ব্যাঙের ডাকে কান পাতা দায় । এমন একটা পরিবেশে গল্প শোনার জন্য বায়না ধরতাম আমরা ছোটবেলায় ।
বাবা, মা, দাদু বা দিদিমার কাছে বায়না ধরতাম । কখনো কখনো আমাদের বাড়ির কিষান বা কাজের লোকদের কাছেও ছোটবেলায় গল্প শোনার জন্য প্রচুর বায়না করতাম । মাঝে মাঝে আমার মায়ের এক দুঃসম্পর্কের মামা আসতো আমাদের বাড়ি । ওনার ছিল বড় বড় মাছের ভেড়ি সুন্দরবনের কাছে বাদা অঞ্চলে । তো আমাদেরকে মাছ দিতেই আসা হতো ওনার। তাই বছরে বর্ষাকালেই বেশি যাতায়াত থাকতো আমাদের বাড়িতে ।
খুব ছোটবেলার কথা । একদিন প্রচুর বৃষ্টি পড়ছে । সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি এক টানা বৃষ্টি হয়েই চলেছে । সন্ধ্যা হয় হয়, এমন সময় আমাদের সেই দাদু অর্থাৎ মায়ের সেই মামা বিশাল বিশাল দুই ব্যাগ ভর্তি ট্যাংরা, চিংড়ি আর ভেটকি নিয়ে হাজির । হাত পা ধুয়েই আমাদের নিয়ে বসলেন উনি । আমরা গল্প শোনার বায়না ধরলাম । আর উনিও আসর জমিয়ে নিলেন মুহূর্তের মধ্যে ।
এ গল্প ও গল্প বলতে বলতে হঠাৎ, আমরা বায়না ধরলাম একটা ভূতের গল্প বলার জন্য । তারপরে উনি একটা অদ্ভুত গল্প বলেছিলেন আমাদেরকে । যেটা ছোটবেলায় ওই সন্ধ্যাবেলায় ঝুপ্পুস অন্ধকারে টিমটিমে কেরোসিন ল্যাম্পের কাঁপা কাঁপা অদ্ভুত ছায়া ছায়া আলো আঁধারিতে শুনতে শুনতে শিরদাঁড়া দিয়ে একটা হিমেল স্রোত বয়ে গিয়েছিলো । ওনার জবানিতেই শোনাচ্ছি সেই ভয়াল ঘটনা -
"বছর দশ বারো আগের কথা । সবে আমি মাছের ভেড়ি দিয়েছি । জোয়ান বয়স । তাই ভয় ডর বলতে গেলে একদমই নেই । আমার মাছের ভেড়ি একদম খালের কাছে । জোয়ারের সময় খালের জল ঢোকানো হয় মাছের ভেড়িতে । ভাটার সময় বের করে দেওয়া হয় । রাতের দিকে একটু ঝামেলায় পড়তে হয় মাঝে মধ্যে । কারণ, মাঝরাতে জোয়ারের সময় প্রায়ই কর্মচারীগুলোর ঘুম ভাঙে না । তখন আমি নিজে হাতেই করি সব ।
কাজ সারা হয়ে গেলে আর ঘুমোই না প্রায়ই রাতে । খ্যাপলা জাল দিয়ে খালে মাছ ধরি । এমনই এক বৃর্ষ্টির রাতে এমন একটা ভয়াল অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলাম যে জীবন আর রাতে কোনোদিন খালের জলে জাল ফেলতে সাহসে কুলোয়নি । সেই ঘটনাই আজ তোমাদের কাছে বলছি ।
শ্রাবণ মাসের অমাবস্যার দিন পাঁচ ছয় পরের কথা । সন্ধ্যা থেকে সেদিন অঝোর ধারায় বৃষ্টি নেমেছে । কর্মচারীরা সকাল সকাল রাঁধাবাড়া করে খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়েছে । আমি ল্যাম্প জ্বেলে জাল মেরামতির কাজ করছি । এমন সময় ভাবলাম আজকে যে বৃষ্টি পড়ছে তাতে খালে জাল ফেললে প্রচুর চাকা চিংড়ি পাওয়া যাবে । বর্ষার রাতে চাকা বা চাপড়া চিংড়ি প্রচুর ওঠে জালে । যেই কথা সেই কাজ । রাত ১২ টার কিছুটা পরে বেরিয়ে পড়লাম খ্যাপলা জাল নিয়ে ।
বৃষ্টির বেগ বেশ কমে এসেছে এখন । শুধু গুঁড়ি গুঁড়ি পড়ছে এখন । তবে ভিজে ঠান্ডা জোলো হাওয়ার যা তেজ দেখলাম তাতে সর্বাঙ্গ কাঁপিয়ে দেয় । চারিদিকে নিকষ কালো আঁধার । খালের পাড় বেয়ে কিছুটা হেঁটে অপেক্ষাকৃত কম ঝোপ ঝাড় সংলগ্ন জায়গায় চলে এলাম । এখান থেকে বেশ খানিকটা দূর অব্দি খালের পাড়ে ঝোপ ঝাড় প্রায় নেই বললেই চলে । শুনেছি আগে এখানে শ্মশান ছিল ।
আমার ভয় ডর নেই । জাল ফেলা শুরু করলাম । প্রথম দিকে বেশ কিছু বড় বড় চিংড়ি পেলাম । কিন্তু, এরপরে একটা অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ করলাম । খালের পাড়ের জল কাদার মধ্যে চললে যেমন ছপ ছপ করে একটা শব্দ ওঠে ঠিক তেমনই একটা শব্দ আমার পেছনে মাঝে মধ্যে শোনা যাচ্ছে । আমি হাঁটলে কে যেনো আমার পিছনেও হাঁটছে । প্রথমে ভেবেছিলাম শেয়াল । তাই আর গা করিনি ।
কিন্তু, আমি হাঁটলেই শুধু আওয়াজ পাই, হাঁটা থামালে আর পাই না । বার কয়েক পেছনে তাকিয়ে কিছুই দেখতে পেলাম না । তবে কি আমার নিজের পায়ের শব্দ দু'বার করে শুনছি ? কিন্তু, তাই বা কি করে হয় ? যাই হোক একটু ভয় পেলাম এবারে কিন্তু । জাল ফেললাম আবার বার কয়েক । কিন্তু, মাছ পড়ছে না আর । ক্রমশঃ একদম কিচ্ছু পড়ছে না আর জালে এখন । পেছনের সেই শব্দটাও এখন বেড়ে গিয়েছে অনেক খানি ।
ভাবলাম আর কয়েকবার জাল ফেলি, তারপরে বাড়ি ফিরবো । জলে নেমে জাল ফেললাম । বেশ ভারী কিছু অনুভূত হলো জালে । টেনে তুললাম । আবছা চোখ সয়ে যাওয়া অন্ধকারে সাদা গোল মতন কি একটা জালে জড়ানো দেখতে পেলাম । দ্রুত কম্পিত হাতে জাল ছাড়িয়ে জিনিসটা হাতে নিয়েই চমকে উঠলাম । একটা মড়ার মাথার খুলি ।
মেরুদন্ড দিয়ে একটা ভয়ের স্রোত নামছে টের পাচ্ছি । এক ঝটকায় মাথার খুলিটা জলে ফেলে দিলাম । কিছুক্ষণ থুম মেরে দাঁড়িয়ে রইলাম । মনকে বোঝালাম যেহেতু আগে এখানে শ্মশান ছিল তাই মড়ার মাথার খুলি পাওয়া অস্বাভিক কিছু নয় । বুকে সাহস সঞ্চর করে আরেকটু এগিয়ে আবার জাল ফেললাম । এবারো জালে ভারী কিছুর অস্তিত্ব টের পেলাম । দুরুদুরু বুকে জাল টেনে তুললাম । এ কী !!! আবার সাদা গোল মতন কী একটা জিনিস দেখা যাচ্ছে না ?
দ্রুত কম্পিত বক্ষে জাল ঝেড়ে মড়ার মাথার খুলিটা ফেলে দিলাম । আমার বুক তখন কাঁপছে ভীষণভাবে । কপালে ঘাম জমে উঠেছে । ধাতস্থ হতে অনেকটা টাইম লাগলো । এবার হনহন করে ফাঁকা জায়গাটা অর্থাৎ, পরিত্যক্ত শ্মশানটা পার হয়ে অনেকটা সরে এসে ঝোপ ঝাড় সংলগ্ন একটা জায়গায় আবারো জাল ফেললাম ।
জাল গোটানোর সময় আবারো জালে কিন্তু সেই ভারী কিছু টের পেলাম । আমার হাত আর সরে না । বুক কাঁপছে ভীষণভাবে । তবুও সাহস সঞ্চয় করে জাল তুললাম । ওকে কী ? জালে জড়ানো আবছা সাদা গোল মতো কিছ একটা দেখতে পেলাম । আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না আমি । আবার সেই মড়ার মাথা ! কাদার পরে বসে পড়েছিলাম । সেই মুহূর্তে হঠাৎ আমার মনে হলো বাঁচতে হবে আমাকে ।
ভাবা মাত্রই কোথা থেকে যেনো শরীরে শক্তি ফিরে এলো । দ্রুত জাল আর মাছের থলি সেখানে ফেলে খালের নরম মাটি থেকে শক্ত জমিতে পা ফেললাম । তারপরে উর্দ্ধশ্বাসে ছুট লাগলাম । ছুটতে ছুটতে টের পেলাম কে জানি আমার সাথে সমান্তরালে খালের জল কাদা ভরা পাড় ধরে ছুটে আসছে । পরিষ্কার আমি তার ছোটার আওয়াজ টের পাচ্ছি অথচ কাউকেই দেখতে পাচ্ছি না ।
ভয়ে আমার সারা শরীর এখন শিহরিত । মাথার চুল প্রত্যেকটা খেঁজুরের কাঁটার মতো খাঁড়া । সর্বাঙ্গ ঘামে ভেজা । কানের পাশ দিয়ে শোঁ শোঁ করে বাতাস বেরিয়ে যাচ্ছে । কতক্ষণ ধরে ছুটেছিলাম আমি জানি না । একটা সময় ভীষণ এক চিৎকার দিয়ে আমি হুমড়ি দিয়ে মাটিতে পড়ে গেলাম । তারপরে, সব অন্ধকার । আর কিছু মনে নেই ।
সকালে জ্ঞান হতে দেখি আমাকে ঘিরে ধরে বসে আছে আমার কর্মচারীর দল । আমার জ্ঞান ফিরতে দেখে তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো । তাদের কাছেই শুনলাম গতরাতে গভীর রাতে হঠাৎ এক অমানুষিক চিৎকারে ওদের ঘুম ভেঙে যায় । তারপরে টর্চ জ্বেলে খুঁজতে বেরিয়ে জল কাদার মধ্যে আমাকে অজ্ঞান অবস্থায় আবিষ্কার করে ।
এতকাল পরে সেদিনের সেই ভয়াল রাতের কথা মনে পড়লে আমার গায়ে এখনো কাঁটা দিয়ে ওঠে ।"
গল্প শুনে আমাদের অবস্থা কি হলো সে তো আপনারা বুঝতেই পারছেন ।
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
টাস্ক ৩৭৮ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 06e493cdfa6d4284298e7b4c4ab2eef38d898091c97e819d8aec11e359b3ff2c
টাস্ক ৩৭৮ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছোটবেলায় ভুতের গল্প শুনতে খুব ভালো লাগতো যতো ভয় লাগুক না কেন তবুও গল্প দিদি,ঠাকুমারা বলতে চাইলেই মুখ থেকে প্রথম শব্দ টা বের হতো ভুতের গল্প বলো,শাঁকচুন্নির গল্প বলো আর গল্প শোনার পর তো বাথরুম গেলেও মাকে নিয়ে যেতে হতো।জালে মাথার খুলি এটা পড়তেই আমার পুরা শরীরে কাটা দিয়ে উঠলো আর। কেউ একজন পিছু পিছু আসা অনুভব হওয়া টাও ভয়ংকর অনুভুতি।দাদুর মাথার চুল সব খেজুর গাছের মতো দাড়িয়ে গেছে এটা পড়ে বেশ হাসি পাচ্ছে। তবুও ভালো দাদুর সাথে আরো খারাপ কিছু ঘটেনি।ধন্যবাদ দাদা ছোট বেলার সুন্দর ঘটনা শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের বাড়ি বৃষ্টির দিন বেশ আনন্দ হয়।সবাই মিলে গল্পের আসর বসে।চারিদিকের পরিবেশ ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজ,দমকা হাওয়া সব মিলিয়ে এক অসাধারণ অনুভূতি।গল্পটি ভয়ানক ছিল বটে।এতদিন মনে রেখেছেন এজন্য ।রাতে মাছ ধরতে গেলেই ভূতের গল্প সৃষ্টি হয়।কার্টুন গুলোতে দেখি।আপনার দাদুর গল্পটিতে ও একই ঘটনা।গল্প শোনার বায়নার দিনগুলো ভালো ছিল এখনকার দিন থেকে।ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আগের দিনের কিছু কিছু মানুষের সাহস দেখলে আমার শরীর কাঁপে। এক তো শ্মশান ঘাট আবার বৃষ্টি পড়ছে রাতও অনেক গভীর। দুইবার মরা মানুষের মাথার খুলি জালে উঠলো তারপরও সাহস করে তৃতীয় বার জাল ফেললো। সাহসের কারনে আপনার নানা বেঁচে ফিরে এসেছে। ধন্যবাদ।
দাদা গল্পটি পড়ে সত্যিই ভয় লাগছে কিছুটা। আগের দিনের বেশিরভাগ মানুষ খুব সাহসী ছিলো। আপনার সেই দাদুর কপাল ভালো যে সেই রাতে বেঁচে গিয়েছে। একের পর এক মড়ার মাথার খুলি দেখে তো যে কেউ ভয় পাবে। এমন গল্প অনেক শুনেছি যে, গভীর রাতে মাছ ধরতে গেলে নাকি ভূত-পেত্নীর কবলে পরতে হতো। যাইহোক এমন ভয়ংকর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা দিলেন তো সেই ছেলেবেলার কথা মনে করিয়ে। অনেক গ্ল্আ পেটের মধ্যে জমা আছে। সেই ছেলেবেলায় বৃষ্টির রাতে বাবা আমাদের কে সাথে নিয়ে বসতেন গল্প শোনাতে। তাও আবার ভূত আর পেত্নীর গল্প। আমরা শুনতাম আর ভয় পেতাম। আজ আমার গল্পটিও পড়ে মনে হচেছ অনেক ভয়ংকর গল্প। আমি থাকলে তো তখন অনেক ভয় পেতুম।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যেসব কবিতা গুলো লিখেছেন প্রতিটা কবিতা খুবই সুন্দর। দাদা আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমরাও আমাদের গুরুজনের কাছ থেকে অনেক রকমের গল্প শুনতাম। কিছু কিছু সময় ভূতের গল্প শুনতাম। তখন এই ভূতের গল্প শুনে গায়ের লোম গুলো যেন শিউরে উঠত। দাদা আপনার শেয়ার করা গল্পটি পড়ে শরীরের মধ্যে কেমন যেন একটা ভয় কাজ করলো। খুবই দারুণ একটা গল্প দাদা খুব ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনার এই ভয়ার্ত পোস্ট পড়ছি এই রাতের বেলা! এখন ঘুম ধরবে নাকি কে জানে!! আপনার পোষ্ট টি পড়ে আমারো গায়ে ভীষণ কাটা দিলো। আপনার ওই দাদুর কপাল খুবই ভালো ছিল, মানতেই হবে দাদা!
আমি ও ছোট সময় যাকে পেতাম তাকেই গল্প বলতে বলতাম।তবে ভুতের গল্প কম ই শুনতে চাইতাম।আসলে শোনার সময় ভালো ই লাগতো শুনতে কিন্তু পরে বুঝতাম কেমন লাগতো ভয়টা।আপনার দাদুর এমন ঘটমার মতো এমন ঘটনা আগে অনেক শোনা যেতো।আমার মনে হয় মাছের সাথে ভুতের কোন সম্পর্ক আছে।😂 ছোট সময় বৃষ্টি ভেজা অন্ধকার রাতে এমন ভুতের গল্প শোনা সত্যিই ভয়ংকর ব্যাপার।ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য।
অনেক ভালো লাগলো আপনার গল্পটা পড়ে। সত্যি বলতে কি আজকে আমাদের নোয়াখালীতে অনেক বৃষ্টি হলো। বৃষ্টির মধ্যে ঘুমিয়েছি উঠে steemit এ ডুকেই দাদা পোস্টি সামনে আসলো। বৃষ্টিমুখর দিনের অনেক স্মৃতি আমাদের মনে পড়ে। ছোট বেলার জীবনটা কতই না সুন্দর ছিল। আমি এই প্লাটফর্মে একদম নতুন সবাই আমাকে সাপোর্ট করবেন প্লিজ। Follow Me
@rme @bangla.witness @shimulakter
এখন যখন লেখাটা পড়ছিলাম তখন ঘড়িতে কমপক্ষে রাত্রি একটার মত বাজে, গল্পের ভিতরে এমন ভাবে ঢুকে গিয়েছিলাম, যেন সেই আসরে আমিও নিজে উপস্থিত থেকে বসে গল্প শুনছিলাম। তবে আজ আমাদের এদিকেও কিন্তু সন্ধ্যা থেকে আকাশের অবস্থা খুব একটা ভালো না, থেমে থেমেই বৃষ্টি হচ্ছে।
এক কথায় অসাধারণ ছিল ভাই 🙏