বিবর্তন ও একটি ভবিষ্যৎবাণী -পর্ব ০৫

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)


Copyright Free Image Source : Pixabay


গত এপিসোডে আমরা আলোচনা করেছিলুম যে ব্রেনের বিকাশে সব চাইতে বড় অন্তরায় হলো কাঁচা মাছ-মাংস-সবজিতে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা । কোটি কোটি বছর ধরে প্রাণীকুলের সব প্রজাতিই কাঁচা খেয়ে আসছে । আদিম মানুষও যদি এই অভ্যাস পরিবর্তন না করতে পারতো তো এখনও ডলফিন, শিম্পাঞ্জীদের মতোই ইতর প্রাণীর ন্যায় জীবন যাপন করতো ।

কোটি বছর ধরে বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেলেও তাই ডলফিনের বুদ্ধিমত্তা লেভেল প্রায় সেই একই জায়গাতেই পড়ে রয়েছে । আর মাত্র কয়েক লক্ষ বছরের বিবর্তনে মানব প্রজাতি অবিশ্বাস্য গতিতে তাদের বুদ্ধিমত্তার লেভেল বাড়িয়ে নিয়েছে ।

এখন আসা যাক এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক মানুষ কি ভাবে এত উন্নততর জীব হয়ে উঠলো । আসলে আদিম মানুষের বুদ্ধিমত্তা লেভেল আধুনিক বাঁদরদের বুদ্ধিমত্তার লেভেল এর সমান ছিল । কিন্তু, মানুষের অসংখ্য প্রজাতির মধ্যে সর্বশেষ যে প্রজাতিটির উদ্ভব হয় সেই প্রজাতিটির মানুষই একমাত্র তাদের হাতের বুড়ো আঙুলকে বাকি আঙ্গুলগুলোর বিরুদ্ধে সঠিকভাবে বাঁকাতে পারতো । তারাই একমাত্র প্রজাতি যারা হাতের বুড়ো আঙুলকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানতো ।

অথচ একই প্রাইমেট বর্গের আর সকল প্রজাতি হাতের বুড়ো আঙুলকে শুধুমাত্র গাছের ডালে শক্ত করে আঁকড়ে ধরার কাজেই বেশি ব্যবহার করতো । খাবার সময়, গাছে চড়া ও দোল খাওয়ার সময়, খাদ্য খোঁজার সময় এবং মারামারির সময়টুকু ছাড়া আর কোনো কাজে তারা তাদের হাতের বুড়ো আঙুলকে ব্যবহার করতে জানতো না ।

কিন্তু, হোমো সাপিয়েন্স এই কাজটাতে বিশাল প্রতিভা দেখায় । গাছে চড়তে খুব একটা ভালো পারতো না এই প্রজাতি । কারণ, বুড়ো আঙ্গুল তাদের ততটা চওড়া ও মোটা ছিলো না অন্যান্য প্রাইমেটদের মতো । এছাড়াও গাছে শরীরের ব্যালান্স রাখার জন্য প্রয়োজনীয় লেজ ছিল না তাদের । শুধুমাত্র লেজের জায়গায় একটা গ্যাঁজ এর মতো উঁচু অংশ ছিল যেটাকে কোনো অবস্থাতেই লেজ বলা যাবে না । তাই, খুব দ্রুতই এই প্রজাতি গাছপালা ছেড়ে মাটিতেই অভিযোজিত হলো ।

আদিম মানুষ সারাক্ষন উদরপূর্তির জন্য সময় ব্যয় করতো না । তারা ভাবতে শিখেছিল । বলা হয়ে থাকে এই প্রজাতিটিই ছিল সব চাইতে অসহায় । তারা গাছে চড়তে জানতো না । গায়ে লোমশূন্য ছিল প্রায়, নখ-দাঁত ছোট ও কম ধারালো ছিল । ধীরগতি সম্পন্ন ছিল খুব । এত অসহায় প্রজাতি সাঁতারও জানতো না । একেবারে যাকে বলে চূড়ান্ত অসহায় একটি প্রজাতি ।

প্রকৃতিতে টিকে থাকার জন্য তাদের সংগ্রাম ছিল অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় হাজার গুন্ বেশি । প্রথমদিকে বড় কোনো গাছের কোটরে এবং পরের দিকে গুহাতে আশ্রয় নেয়া শুরু করে এরা । খাদ্য বলতে ছিল প্রাণীদের কাঁচা মাংস এবং বুনো সহজলভ্য ফলমূল । শুধুমাত্র পরিবেশে টিকে থাকার জন্যই এরা সর্বভুক প্রাণীতে পরিণত হয় ।

দলবদ্ধভাবে বাস করতো আদিম মানবশ্রেণী । ছোট পশু শিকার করতো তারা নানা রকমের ভারী গাছের ডাল দিয়ে । এতে শিকারে সাকসেস হওয়ার সম্ভাবনা থাকতো খুবই কম । ক্রমে মানুষ তারা তাদের বুড়ো আঙুলকে কাজে লাগাতে শিখলো । পাথরের টুকরা পাথরের গায়ে ঘষে ঘষে ছুঁচোলো করে তাই দিয়ে শিকার ও যুদ্ধাস্ত্র তৈরী করা শিখে গেলো ।

দেখা গেলো গাছের ডালের তুলনায় অনেক অনেক বেশি কার্যকর এই পাথরের নতুন অস্ত্র । খাদ্য সংগ্রহের পরিমাণ বাড়তে লাগলো এবং ফলশ্রুতিতে জনসংখ্যাও । মাঝে মাঝে বিভিন্ন দলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হতো । একটা দল আরেকটা দলকে হঠিয়ে দিয়ে তাদের এলাকা দখল করতো । তাহলে দেখা যাচ্ছে যুদ্ধ আমাদের রক্তে । লক্ষ বছরের বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে আমরা সভ্য হয়েছি ঠিকই কিন্তু, যুদ্ধ ছাড়তে পারিনি । প্রাগৈতিহাসিক সেই সর্বগ্রাসী হিংস্র মনোভাব এখন আরো প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে ।

তো, যেটা বলছিলাম । মানব প্রজাতি তাদের হাতের আঙুলগুলিকেই একমাত্র বেঁচে থাকার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে বুঝতে শিখলো । ক্রমাগত ভাবনা আর নানান প্রাকটিসের মাধ্যমে তারা বুঝতে পারলো বুড়ো আঙুলের অবাক করা ক্ষমতা । বুড়ো আঙ্গুল এর সাথে বাকি আঙ্গুলগুলো দিয়ে করা যায় না হেন কাজ নেই । কিন্তু, তখনও তারা কিন্তু আগুন জ্বালাতে জানতো না ।

সভ্যতার উৎকর্ষের মূলে রয়েছে যে আগুন তাকে বশে আনতে পারেনি তখনও তারা । তাই, কাঁচা মাংস ও ফলমূল খাওয়া তাদের ব্রেন ডলফিনদের থেকেও নিচু লেভেল এর ছিল । কিন্তু, যবে থেকে তারা তাদের হাতের বুড়ো আঙ্গুল ও অন্যান্য আঙুলের যথার্থ ব্যবহার করা শিখে তবে থেকেই তাদের যেন কপাল খুলে গেলো বলা চলে ।

আদিম মানব প্রজাতি একটা জিনিস লক্ষ করতো । বাজ পড়ে বা দাবানলের সময় বনে লাগা আগুনকে অন্যান্য হিংস্র প্রাণীরা কি পরিমানে মারাত্মক ভয় পায় এটা লক্ষ করলো তারা । হিংস্র প্রাণীরা ছিল আদিম মানুষের সব চাইতে বড় শত্রু । তাই, শত্রুর শত্রু হলো বন্ধু, এই নীতিতে খুব দ্রুতই তারা চিন্তা করতে লাগলো আগুনের সাথে বন্ধুত্ব করার ।

যেখানে যায় সকল প্রাণীরা আগুনকে যমের মতো ভয় পায় সেখানে মানুষ আগুনের প্রতি আকর্ষিত হলো । বহু বছরের প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অভিজ্ঞতা থেকে তারা বুঝতে পারলো যে আগুনকে না ছুঁলে কোনও ক্ষতি নেই । বরং, আগুন ঘন রাতের আঁধার দূর করে এবং উষ্ণতা প্রদান করে । পোশাক পরতে না জানা আদিম উলঙ্গ মানুষের বড় দুঃখ ছিল এই শীত । প্রত্যেক বছর শীতের সময় তাদের দলের প্রচুর দুর্বল মানুষ মারা পড়তো ।

তাই মানুষ আগুনের প্রতি আকর্ষিত হলো । সেই সময়ে মানুষের চাইতেও বুদ্ধিমান প্রাণী ডলফিনেরাও আগুন এড়িয়ে চলতো । সমগ্র পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র জীব যারা আগুনকে ভয় পাওয়ার বদলে তার সাথে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিলো । ক্রমে আগ্রাসী মানুষের আগুনের প্রতি বন্ধুত্ব পরিবর্তিত হয়ে আগুনকে অধিকার করে তাকে পদানত করতে চাইলো ।

বহু প্রজন্ম ধরে তারা লক্ষ করলো আগুন যেমন হঠাৎ জন্মে (আগুন জ্বলার কথা বলা হয়েছে) তেমনি খাদ্য না পেলে হঠাৎই মরে যায় (আগুন নিভে যাওয়া) । এরপরে বহু বছর ধরে মানুষ পর্যবেক্ষণ করলো কি ভাবে আগুনের জন্ম হয়, কি ভাবেই বা আগুন নিভে যায় । তারা দেখলো প্রচন্ড গরমের সময়ে শুকনো ডালে ঘষাঘষি লেগে ছোট্ট একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ কিভাবে সমগ্র বনাঞ্চলে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে । কিভাবে বজ্রপাতে হঠাৎই কোনো গাছের মগডালে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে আবার অবিশ্রান্ত বৃষ্টির জলে নিভেও যায় ।

ক্রমে তারা জানতে শিখলো জল কিভাবে আগুনকে মেরে ফেলে । তাদের তৃষ্ণার জল যে এতটা শক্তিশালী এটা দেখে তারা বিস্মিত হলো । আরও দেখলো খাদ্যের অভাবে আগুনের মৃত্যু, অর্থাৎ, জ্বালানির অভাবে আগুন নিভে যাওয়া । শুরু হলো পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা নিরীক্ষা । সৃষ্টি হলো বিশেষ একটি জ্ঞান যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বিস্তৃতি লাভ করতে থাকে । পরীক্ষা নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণগত সুসংবদ্ধ এই বিশেষ জ্ঞানই হলো "বিজ্ঞান" ।

এরপরে শুরু হলো আরেকটি সংগ্রাম । আগুন জ্বালানো শেখা, তাকে করায়ত্ত করতে পারলে তারাই হবে সমগ্র বনভূমির একচ্ছত্র অধিপতি । যারা ছিল সবচাইতে দুর্বল ও অসহায় জাতি তারাই স্বপ্ন দেখতে শিখলো । যে আগুনকে সমগ্র পৃথিবীর প্রাণিকুল ভয় পায় তাকেই অধিকার করতে পারলে এ পৃথিবী তাদের পদানত হবে ।

উচ্চাকাঙ্খা এবং স্বপ্ন দেখতে শিখলো মানুষ । এই প্রথম ।

পরের পর্বে আগুন জ্বালিয়ে কিভাবে সমগ্র মানবজাতির উত্থানের সূত্রপাত ঘটলো সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো । আজ এ পর্যন্তই ।

[ক্রমশ ...]


পরিশিষ্ট


প্রতিদিন ১২৫ ট্রন করে জমানো এক সপ্তাহ ধরে - ৬ষ্ঠ দিন (125 TRX daily for 7 consecutive days :: DAY 06)


trx logo.png




টার্গেট ০২ : ৮৭৫ ট্রন স্টেক করা


সময়সীমা : ২৪ জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ জুলাই ২০২২ পর্যন্ত


তারিখ : ২৯ জুলাই ২০২২


টাস্ক ১৩ : ১২৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

১২৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : b33e25d70a3f124f4161005aa3e8e3f335e9322cfc41243eac2c4adbcc7b3037

টাস্ক ১৩ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png

Wallet Address
TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

Sort:  
 2 years ago 

কথায় আছে খারাপ পরিস্থিতি মানুষকে জীবনধারণের সব কিছু শিখাতে বাধ্য করে। ঠিক তেমনটাই আদিম যুগ যুগ থেকে চলে আসছে। চমৎকার ভাবে আপনি বর্ণনা করলেন দাদা। তবে আগুন জ্বালানোর বিষয়টা আমার এত গভীরভাবে জানা ছিল না, আপনি যেভাবে বর্ণনা করলেন। তবে আমার ভাবতেই অবাক লাগছে আমাদের আদি প্রজন্ম এরকম ছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা এরকম একটি শিক্ষনীয় পোষ্ট করার জন্য।।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



 2 years ago 

প্রথমেই বিশেষ পর্যবেক্ষণ এর মাধ্যমে আগুনকে বশে আনা মোটেও কঠিন ছিল না। বজ্রপাত অথবা শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জলে যাওয়া এটা যে সব সময় চোখে পড়বে এমন অহরহ ঘটনার মতও না।
তারপরেও তারা পেরেছিল আমাদের এই মানব সভ্যতার প্রথম সিড়ি বিনির্মাণে অগ্রণী ভুমিকা।রাখতে। নতুবা আরো কিছু বেশি থাকতে হত অন্ধকারে।

 2 years ago 

মনে হচ্ছে একে বারে ছোট বেলায় ফিরে যাচ্ছি।ক্লাস সিক্সে পরিবেশ পরিচিতি বইয়ে আদিম মানুষ নিয়ে পড়েছিলাম।গাছের ছাল বাকল দিয়ে পোশাক বানাতো।তারপর তীরের মত দাড়ালো জিনিস দিয়ে বিভিন্ন কিছু শিকার করতো।তারপর তারা বিভিন্ন জিনিস পুড়ে পুড়ে খেত।আবার বিস্তারিত ভাবে পড়ে নিচ্ছি।বেশ ভালো লাগছে।ধন্যবাদ

 2 years ago (edited)

দাদা বুড়ো আঙ্গুলের যে এত ক্ষমতা জানতেই পারতাম না আপনার এই পোস্ট না পড়লে। বুড়ো আঙ্গুলের ব্যবহার ও যে আমাদেরকে হাজার হাজার বছরের চেষ্টায় শিখতে হয়েছে এ কথা এখন অনেকটাই অবিশ্বাস্য লাগে। তবে মানব সভ্যতার বিকাশে সবচাইতে বড় অবদান যে আগুনের তাতে কোন সন্দেহ নেই। আপনার এই পোস্ট পড়ার মাধ্যমে মনে হচ্ছে যেন চোখের সামনে সব ঘটনা দেখতে পাচ্ছি। সহজ ভাষায় খুব সুন্দর ভাবে সভ্যতার বিবর্তনের ধাপগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন। সবগুলো পর্ব একসাথে করলে চমৎকার একটি বই হয়ে যেত। অফুরন্ত ভালোবাসা আপনার জন্য।

 2 years ago 

দাদা আপনার প্রতিটি লেখার মধ্যে একটা জাদু ভাব আছে! পড়তে এতু ভাল লাগে মনে হয়েছিল সেই ইতিহাসের আদিম সভ্যতার যুগে হারিয়ে গেছিলাম।ধন্যবাদ দাদা, পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আছি।

 2 years ago 

দাদা এই কথাটি নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নিতে হবে যে সভ্যতার বিকাশের মূলে রয়েছে আগুন। আদম মানুষেরা আগুন আবিষ্কার করতে পেরেছিল বলেই তারা কাঁচা মাছ মাংস পুড়িয়ে খেতে পেরেছে। আর সে কারণেই আমরা কোটি কোটি বছর পরে এখন পর্যন্ত বুদ্ধিমান হয়ে যাচ্ছি। যুগে যুগে মানব সভ্যতার বিকাশের পেছনে যে বুড়ো আঙ্গুলের ভূমিকা এতটাই বেশি সেটা কখনো আমাদের মাথাতেই আসেনি। আসলে আমরা এখন নিজেরাও বুঝতে পারছি বুড়ো আঙ্গুল আমাদের জন্য কতটা দরকারি। কিছুদিন আগে আমার ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলে ব্যান্ডেজ ছিল তখন হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি।

 2 years ago 

অসহায় হওয়াটাই হয়তো এজন্য ভালো দাদা মাঝেমধ্যে। যারা চালাক কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ তারা খুব একটা ভাবেনা উন্নতি নিয়ে যা বুঝলাম।

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 2 years ago 

নতুন নতুন অনেক বিষয় শিখতেছি। বুড়ো আংগুল এর ব্যবহার টা সভ্যতা বিকাশে এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল তা আমার জানা ছিল না।ধন্যবাদ দাদা।