কলকাতার সায়েন্স সিটিতে আমার দেখা রোবোটিক প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের রোবোটিক মডেল

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

তনুজার সাথে বিয়ের পরে লাস্ট গিয়েছিলাম সায়েন্স সিটিতে । তারপরে আর যাওয়া হয়নি । বিয়ের ৪ মাস পরে কোনো এক উষ্ণতম বিকেল বেলা । তনুজার শরীরটা বেশ কয়েকদিন ধরে তেমন ভালো যাচ্ছিলো না । তাই ভাবলাম ঘুরেই আসি বিকেলবেলাটা । যেমন ভাবা তেমন কাজ । চলে গেলাম সায়েন্স সিটি । বেশ কিছুক্ষন সময় কাটালাম দু'জনে । ভালোই লাগলো বেশ । রোমাঞ্চকর কিছু মুহূর্ত উদযাপন করলাম দু'জনে নাকি তিন'জনে ! কি জানি বাবা :)

ইভোল্যুশন পার্কে গেলাম প্রথমে । মানবজাতির বিবর্তনের একটি চমৎকার প্যানোরোমা শো দেখলাম দু'জনে । মিনিট চল্লিশেক ছিলো শো টা । এরপরে গেলাম আন্ডারগ্রাউন্ডে । সেখানে ছিল বিস্ময় । "জুরাসিক এজ" বা "প্রাগৈতিহাসিক যুগের" রোমাঞ্চকর কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে সেখানে । প্রাগৈতিহাসিক যুগের ভৌগোলিক পরিবেশ, গাছ-পালা আছে সেখানে । আছে জুরাসিক এজের ভয়াল আর অদ্ভূতদর্শন মৎস্য, প্রাণী ও পক্ষী কুল । সবই কৃত্রিম ।

তবে প্রাণী, মৎস্য আর পক্ষী সবই রোবোটিক । মুভ করতে পারে আর গর্জন করতে পারে । মিনি টয় ট্রেনে করে দু'পাশের সব দেখতে দেখতে ইভুলুশন পার্ক ঘুরতে হয় । দারুন এনজয় করেছিলাম আমরা সেদিন ।

অনেক দিন পরে ভাবলাম আজকে সেই স্মৃতি থেকে কিছু কিছু মোমেন্টস শেয়ার করি আপনাদের সাথে । আশা করি ভালোই লাগবে আপনাদের ।


Dimetrodon Dinosaur
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : এপ্রিল ২০১৮
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Cynodont
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : এপ্রিল ২০১৮
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


অদ্ভুতদর্শন এই ডাইনোসরটিকে আমি রিকোগনাইজ করতে পারিনি
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : এপ্রিল ২০১৮
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Diplodocus
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : এপ্রিল ২০১৮
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Iguanodon
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : এপ্রিল ২০১৮
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Coelophysis
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : এপ্রিল ২০১৮
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Styracosaurus
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : এপ্রিল ২০১৮
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Parasaurolophus
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : এপ্রিল ২০১৮
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Pterodactyl
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : এপ্রিল ২০১৮
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


হাতি সদৃশ প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : এপ্রিল ২০১৮
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


জলহস্তীর মতো বিশাল বড় অতিকায় ভল্লুক
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : এপ্রিল ২০১৮
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


অতিকায় মনিটর লিজার্ড
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : এপ্রিল ২০১৮
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


তুষার যুগের লোমশ গন্ডার, বিশালাকৃতির
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : এপ্রিল ২০১৮
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


বর্তমান যুগের হাতির মতো বিশাল আকৃতির বল্গা হরিণ
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : এপ্রিল ২০১৮
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


Sort:  
 3 years ago 

রোমাঞ্চকর কিছু মুহূর্ত উদযাপন করলাম দু'জনে নাকি তিন'জনে ! কি জানি বাবা :)

দাদা এটি ভাবনার !আপনারা দুজনে দারুণ মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন কিন্তু আপনাদের সঙ্গে হয়তো আরও একজন /টিনটিন বাবু দারুণ মুহূর্ত কাটিয়েছিল সেই সময় অনাগত অবস্থাতে।😊

সত্যিই অদ্ভুত সুন্দর দেখতে এই সব জীব ও জন্তু।প্রাগৈতিহাসিক যুগের বিলুপ্ত প্রাণীগুলো দেখে অবাক হলাম।আমি তো মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম।আদিম যুগের জীব -জন্তু অনেক বড়ো আকৃতির ছিল।ধন্যবাদ দাদা।

 3 years ago 

প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের রোবোটিক মডেল গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা। প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের রোবটিক মডেল গুলো দেখতে একদম বাস্তবের প্রাণীদের মতোই লাগছে। অনেক দক্ষতার সাথে এই রোবটিক মডেলগুলো তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে লোমশ গন্ডারের রোবটিক মডেল আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে দাদা। বৌদিকে নিয়ে অনেক সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন এটা জেনে অনেক খুশী হলাম দাদা। আমার মনে হচ্ছে এই জায়গায় ঘুরতে গিয়ে বৌদির অনেক ভালো লেগেছিল। হয়তো আপনার এই পোস্টটি লেখার সময় অনেক পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছিল দাদা। নিশ্চয়ই বৌদির সাথে কাটানো সময় গুলো অনেক মধুর ছিল। অনেক আকর্ষণীয় কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

 3 years ago 

রোমাঞ্চকর কিছু মুহূর্ত উদযাপন করলাম দু'জনে নাকি তিন'জনে ! কি জানি বাবা :)

এ লিখাটি পড়ে, না হেঁসে পারলামনা।

আপনারা ঘুরতে গিয়ে অনেক ভালো করেছেন,যাঁর ফলে আমরা বাংলাদেশে থেকেও এমন সুন্দর রোবোটিক প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের দেখার সুযোগ পেলাম।

 3 years ago 

প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের রোবোটিক মডেল সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। সত্যিই আমি এগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। খুবই সুন্দর সুন্দর এই প্রাণীগুলোর ফটোগ্রাফি। দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। এই জায়গাটিতে ভ্রমণ করতে পারলেই খুবই ভালো লাগতো। এটি আমার মনের ইচ্ছা পূরণ হতো। আপনার জন্য শুভকামনা

 3 years ago 

দাদা অপরূপ সৌন্দর্যময় এই জায়গায় ভ্রমণ করেছেন বৌদিকে নিয়ে। খুবই সুন্দর পরিবেশ আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির গুলো করেছেন। আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এই সুন্তর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।

 3 years ago 

খুব সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি করেছেন।যেখানে অনেক কিছু শেখার আছে।কারন এখানে অনেক প্রানি আছে যেগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে।এগুলোর কিছু তথ্য দেয়া আছে।খুব ভালো লাগলো দেখে। আমাদের মাঝে এইসব ছবি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 

ইভোল্যুশন পার্কে গেলাম প্রথমে । মানবজাতির বিবর্তনের একটি চমৎকার প্যানোরোমা শো দেখলাম দু'জনে । মিনিট চল্লিশেক ছিলো শো টা । এরপরে গেলাম আন্ডারগ্রাউন্ডে । সেখানে ছিল বিস্ময় । "জুরাসিক এজ" বা "প্রাগৈতিহাসিক যুগের" রোমাঞ্চকর কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে সেখানে । প্রাগৈতিহাসিক যুগের ভৌগোলিক পরিবেশ, গাছ-পালা আছে সেখানে । আছে জুরাসিক এজের ভয়াল আর অদ্ভূতদর্শন মৎস্য, প্রাণী ও পক্ষী কুল । সবই কৃত্রিম

দাদা আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হচ্ছে আপনি এবং বৌদি ইভোল্যুশন পার্কে খুবই উপভোগ করেছেন।Dimetrodon Dinosaur,Diplodocus,Pterodactyl,লোমশ গন্ডার,বল্গা হরিণ এইগুলো প্রাণের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই বিস্ময়কর মনে হয়েছে। বর্তমানে ধরনের ভয়ানক প্রাণীদের আকৃতি প্রদান করে খুবই জনপ্রিয় সিনেমা তৈরি হচ্ছে। দাদা আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল

 3 years ago 
  • কলকাতার সায়েন্স সিটিতে রোবোটিক প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের রোবোটিক মডেল দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়েছি। বিলীন হয়ে যাওয়া সব ডাইনোসরের স্মৃতি ধরে রেখেছে এই সায়েন্স সিটি। আপনার পোস্ট দেখে জানতে পারলাম কলকাতায় এত সুন্দর একটি জায়গা আছে। সুন্দর সুন্দর জায়গা গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
 3 years ago 

দাদা ছবিগুলো দেখে মনে হয়েছিল আমি কখন যাব ঘুরতে "কলকাতার সায়েন্স সিটিতে"। অনেক সুন্দর একটা জায়গা যা আপনার ছবিতে দেখে বোঝা যাচ্ছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে যেটা দিদি অসুস্থ তখন আপনি তাকে ঘুরতে নিয়ে গেছেন। দিদি এবং আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

জানার একটি ব্যতিক্রম আগ্রহের নাম ভ্রমন। ভ্রমনবিত্যন্ত কাহিনি এবং প্রাগৈতিহাসিক জিনিসগুলোর জ্ঞান আমাদের নিতে হয় বিভিন্ন ভ্রমন বিত্যান্ত বই থেকে কিন্তু সেখানেও এতো সুন্দর জানতে পাইনি যা আজকে আপনার সুন্দর সুন্দর ছবিগুলোর মাঝে পেয়েছি। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা। জীবনে কখনো সুযোগ মিল্লে যাবো কলকাতার সাইন্স সিটির রোবটিক প্রাগৈতিহাসিক জিনিসগুলো দেখতে।