বাড়ির কাছের বুফে রেস্তোরাঁ

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

আমার বাড়ির একদম কাছে একটা বুফে রেস্তোরাঁ আছে । নাম বারবিকিউ নেশান'স । মাঝে মাঝে যাই আমরা সপরিবারে । আমি আবার বাইরের খাবার খাই না মোটেও । তবে, এই রেস্তোরাঁর নাম ডাক আছে এবং এদের খাবার সহ্য হয় খেয়ে । এই তো গত সপ্তাহেই আমি আমার বাবা, মা, ভাই, মামাতো ভাই, তনুজা আর টিনটিনবাবু মোট ৬ জন গেলাম বুফেতে ।

আমার মামাতো ভাই গ্রামের ছেলে । খেতে পারে প্রচুর । তাই ভাবলাম যাই দেখি নিয়ে ওকে বুফেতে । কেমন টানতে পারে দেখা যাবে । আমার আবার খাইয়ে লোকের খাওয়া দেখতে ভারী ভালো লাগে । তো দুই দিন আগের থেকে একটা টেবিল বুক করে রেখেছিলাম আমি ।

সন্ধ্যে ৭ টার দিকে গেলুম সবাই রেস্তোরাঁতে । আমার বাড়ি থেকে হাঁটা পথে মোটে পাঁচ মিনিট । আমরা সবাই গাড়িতে গেলুম, আর আমার ভাই গেলো হাঁটতে হাঁটতে । খাওয়ার আগে হাঁটা হাঁটি করলে খিদে পায় বেশ ।

তো, নির্দিষ্ট টাইমে টেবিলে বসে গেলাম ডিনারে সবাই । বসার দুই মিনিট এর মধ্যে পরিবেশন শুরু হয়ে গেলো । এই রেস্তোরাঁর বিশেষত্ব হলো নানাধরণের বারবিকিউ পরিবেশ করা হয় প্রথমে স্টার্টার আইটেম হিসেবে । আনলিমিটেড থাকে এটা ।

প্রথমে দিয়ে গেলো ফুচকা, ক্রিমি স্যালাড আর নানাধরণের স্নাক্স । এরপরে এলো ৭-৮ রকমের ভেজ কাবাব আর চপ । আমরা মোটে একবার করে নিলুম সেগুলো। তারপরে এলো নন-ভেজ । প্রথমে দিয়ে গেলো মাটন শিক কাবাব, চিকেন টিক্কা । এরপরে, চিংড়ি বারবিকিউ, চিকেন শামি কাবাব । এরপরে চিকেন রেশমি কাবাব আর ফিশ বারবিকিউ । এরপরে দিয়ে গেলো মাটন উইথ চিকেন স্যান্ডউইচ ।

এরপরে চিকেন লেগ বারবিকিউ আর চিকেন উইংস ফ্রাই । আমি খেলুম খুবই অল্প । আমার সেই মামাতো ভাই তেরো বার চিকেন লেগ বারবিকিউ আর চিকেন উইংস নিলো । আমি ভাবলাম এরপরে হয়তো main course অব্দি যেতে পারবে না ।

কিন্তু ভুল ছিল সেটা । ব্যুফেতে মেইন কোর্সে অনেক আইটেম ছিল । কিন্তু, আমি সাদা ভাত, ডাল, চারকমের গ্রীন স্যালাড , হাফএগ , ওয়ান পিস্ মাটন আর ওয়ান পিস্ চিকেন নিলাম ।

আর আমার সেই ভাই ২০ পিস্ মাটন, ৬ পিস্ চিকেন, চিকেন বিরিয়ানি নিলো । এবং এরপরে দুই তিনরকম কেক, মিষ্টি আর এক প্লেট ফলফলারি নিলো । আশ্চর্যের বিষয় সব কিছুই খেয়ে ফেললো ।

রাত ৯ টায় বাড়ি ফিরলাম আমরা সদলবলে ।


IMG_20220405_194617__01.jpg

IMG_20220405_192450.jpg

IMG_20220405_194609.jpg

FB_IMG_1654183902820.jpg

FB_IMG_1654183914217.jpg

FB_IMG_1654183940907.jpg

FB_IMG_1654183953439.jpg

বুফে রেস্তোরাঁ বারবিকিউ নেশন্স এ আমরা ।

তারিখ : ২৮ মে ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


Sort:  
 3 years ago 

খাওয়ার আগে একটু হাঁটাহাঁটির বুদ্ধুটা কিন্তু বেশ। আসলেই বেশি খাওয়া যায়।

দাদা অনেক দিন আগের কথা। আপনি ,টিনটিন ,বৌদি ঐযে একটা জায়গা গাড়ি নষ্ট হয়ে আটকা পড়েছিলেন....., সেদিন আপনি এই টি-শার্ট ই পরেছিলেন। হাহাহা। মনে আছে।

 3 years ago 

এই টি-শার্টটি মনে হয় বৌদি দিয়েছে। এজন্যই দাদা ঘুরে ঘুরে এই টি-শার্ট টি পরে।

 3 years ago 

এটাই হবে মনেহয়। 😍😍

 3 years ago 

সারা জীবন দেখে এসেছি মেয়েরা মুখ ঢাকে। আর আপনার ক্ষেত্রে দেখি উল্টো। বৌদির মুখ খোলা থাকে আর আপনার চোখে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কালারের সানগ্লাস থাকে। যাই হোক অবশেষে আপনার খাওয়ার সাথে একজন টেক্কা দিয়েছে। উনি তো দেখি আপনার থেকেও আরো কয়েক ডিগ্রী উপরে। খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন মনে হল।

 3 years ago 

রোজ দাদার খাওয়ার মেনু দেখে আমি ধপাস হই, আর আজ দাদার মামাতো ভাইয়ের খাওয়া দেখে । তবে দাদা আপনার সাথে আমার একটা মিল আছে সেটা হলো যারা খেতে ভালোবাসে আমিও তাদের খাওয়াতে এবং খাওয়া দেখতে খুব পছন্দ করি। একটা তৃপ্তি পাওয়া যায়।

দাদা টিশার্ট টা সত্যিই চমৎকার হয়েছে। আপনি যেটা পরেন সেটা তেই হিট 😅🙏।

 3 years ago 

দাদা তোমার এই সপরিবারে যাওয়াটা খুব ভালো লাগে আমার। মা বাবা কে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যেতে খুব ভালো লাগে। তুমি বরাবরই তোমার বাবা মা কে সাথে করে নিয়ে যাও। এভাবেই থাকো। সাথে অনেক আলোকচিত্র দেখলাম, খুব ভালো লাগলো দাদা।

এই খাওয়াদাওয়া আমাদের চিরন্তন সংস্কৃতি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল শহরে তো বটেই, গ্রামেও আজকাল খাইয়েদের বড় একটা দেখা যায়না। একটা সময় যেকোন অনুষ্ঠানেই চ্যালেঞ্জ করে খঅওয়ার রীতি ছিল। অনেকসময় দুজন খাইয়ের মধ্যে রীতিমত প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যেত। আপনাদের খঅওয়া দাওয়া দেখে মনে হল সেই ঐতিহ্য এত সহজে লুপ্ত হবেনা। মামাতো ভাই এর জয় হোক।

 3 years ago 

দাদা আপনার বাড়ি থেকে ৪-৫ মিনিট লাগে বুফেতে যেতে ।সেখানে আপনারা ছয় জন গিয়েছিলেন সাথে আপনার মামাতো ভাই ছিল ।সেই গ্রাম থেকে এসেছে সে খেতে। বেশ ভালোই পারে যেটা দেখতে আপনার অনেক ভালো লাগে। প্রথমে 7 থেকে 8 রকমের ভেজ খাবার এসেছিল ।পরবর্তীতে ননভেজ খাবার খেয়েছেন ।সব মিলিয়ে দিনটি খুব ভালো কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

দাদা আমিও ভেবেছিলাম শুরুতেই এত ধরনের কাবাব ও চপ খাওয়ার পরে আর ফাইনাল কোর্স অবদি পৌঁছতে পারবে না। ফাইনাল কোর্সে চিকেন বিরিয়ানির সাথে ২০ পিছ মাটন ও ৬ পিছ চিকেন এতসব একজনের পক্ষে কিভাবে সম্ভব। তাও আবার শেষ পাতে দুই তিন রকমের কেক, মিষ্টি ও এক প্লেট ফলফলারি। আমারও এই ভোজনপ্রিয় আপনার ভাইটির খাওয়া দেখতে খুব ইচ্ছা করছিল। সবমিলিয়ে দাদা বুফে রেস্তোরাঁয় খুব আনন্দঘন একটি সন্ধ্যা কাটিয়েছেন। বুফে রেস্তোরাঁ পরিবেশ ও খাবার নিশ্চয়ই অনেক ভালো আপনার সুন্দর সন্ধ্যা টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 

দাদা আপনাকে এই টি-শার্টটিতে কিন্তু অনেক ভালো লাগছে।অনেক দিন পর টিনটিন বাবুকে দেখলাম। দোয়া করি আপনারা যেন সপরিবারে এভাবেই ভালো থাকেন।

 3 years ago 

যাক মামাতো ভাইকে নিয়ে বুফে খেয়ে উসুল হয়েছে 😜😜।আসলে বুফে গেলে এই রকম দুই তিন খাদক নিলে ভালো হয়।যদিও আমি বেশ ভোজনরসিক মানুষ।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ

 3 years ago 

আপনার গ্রামের মামাতো ভাই , সে যে পুরোপুরি বেশ ভালোই খেতেই পারে তা কিন্তু আপনার পোস্টের লেখা গুলো পড়েই বুঝতে পারলাম ভাই । যাক তার জীবন সার্থক বলা যায় , একবারেই এতো খাবার খেয়ে নিল । তাছাড়াও আপনাদের সবাইকে একত্রে দেখে বেশ ভালই লাগলো ভাই ।