দোলের দিন খুবই ছোট্ট করে আমাদের রং খেলা
বছর আমরা দোল উদযাপনে তেমন কোনো বৃহৎ পরিকল্পনা করিনি । খুবই ছোট্ট পরিসরে সামান্য আয়োজনে দোল উদযাপন করেছি । তবে, রং কেনা হয়েছিল হরেক প্রকার । স্বাগতা আর আমার ভাই কিনে এনেছিলো এক গাদা রং, সবই অবশ্য ভেজিটেবল কালার, যাকে বলে হার্বাল কালার । মোট ছ'রকমের আবীর কেনা হয়েছিল । এছাড়াও, স্বাগতার বাবা-মা কয়েকটি কালারের আবীর উপহার দিয়েছিলেন ।
আবীর ছাড়াও স্বাগতা টিনটিনবাবুর জন্য মুখোশ, কালার স্প্রে গান আর পিচকারি কিনে এনেছিল । দোলের দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠেই আবীরের থালা, মুখোশ, কালার স্প্রে গান আর পিচকারি নিয়ে সবাই ছাদে চলে গেলুম । সেই সাথে একটা ছোট বালতিও নিয়ে গেলুম সঙ্গে করে । বালতিতে আবীর গুলে পিচকারিতে ভরে সবার গায়ে রং ছিটিয়ে দেব, এই ছিল আমার প্ল্যান ।
প্রথম দফায় সবার মুখে, গায়ে, মাথার চুলে বিভিন্ন রঙের আবীর মাখামাখি চললো বেশ কিছুক্ষণ ধরে । এই আবীর মাখানো বেশ মজার খেলা । দারুন এনজয় করলাম আমরা সবাই মিলে । গোলটুর মুখোশ পরে আমিও কয়েকটি পোজ দিলাম । এরপরে বালতিতে আবীর গুলে পিচকারি আর স্প্রে গান দিয়ে তাই ছেটানোর খেলা চললো আরো বেশ কিছুক্ষণ ধরে । এই সময়টাতে দারুন মজা হলো ।
ছাদময় ছোটাছুটি করে রং মারামারি চললো বেশ কিছুক্ষণ ধরে । স্বাগতা আর টিনটিনবাবু এক পক্ষ আর আমি একা আরেক পক্ষ । ওদের অস্ত্র হলো স্প্রে গান আর আমার অস্ত্র হলো রঙের পিচকিরি । শেষমেশ আমিই হেরে গেলুম । রঙ মেখে পুরো ভূত হয়ে গেলুম ।
এ বছর তনুজা অসুস্থ থাকায় সেই মজাটা আর হয়নি । এমনিতে মাত্র নিউমোনিয়া থেকে উঠলো তার ওপর আগামী অনেকগুলো মাস ধরে তাকে খুবই সাবধানে থাকতে হবে । প্রত্যেক মাসে ডক্টর চেক আপ আছে । এই সময়টাতে বেশি দৌড়ঝাঁপ, স্ট্রেস নেওয়া একদমই বারণ । রং খেলাও এই জন্য এলাউ করিনি আমি । কারণ অনেক রঙে এলার্জি থাকতে পারে । রিস্ক নিয়ে কি হবে ? মাত্র ৭-৮ মাস-ই তো, এরপরে আবার রং টং খেলা যাবে । আসছে বছর ধুমিয়ে রং খেলা হবে ।
রং খেলে ছাদ থেকে নেমে স্নানে গেলুম আর টিনটিন তার দিদিমার সাথে প্রতিবেশীদের রং মাখাতে বাড়ি বাড়ি গেলো । স্বাগতা আর আমার ভাই গেলো লেকটাউন, স্বাগতার বাবার বাড়ি । নিমন্ত্রণ ছিল আমাদের সবার, কিন্তু তনুজার এই সময় একটু দূরের কার জার্নিতে নিষেধাজ্ঞা, তাই আমরা আর গেলুম না । এভাবেই শেষ হলো আমাদের দোলের দিন ।
হোলি হ্যায় !
আবীরে রঙিন আমি ।
তারিখ : ২৫ মার্চ, ২০২৪
সময় : সকাল ১০ টা ০০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
আবীরে মেখে স্বাগতার সাথে সেলফি ।
তারিখ : ২৫ মার্চ, ২০২৪
সময় : সকাল ১০ টা ১০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
টিনটিনের রং মাখা চলছে ।
তারিখ : ২৫ মার্চ, ২০২৪
সময় : সকাল ১০ টা ২০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
আবীর রঙে রঙিন টিনটিন ।
তারিখ : ২৫ মার্চ, ২০২৪
সময় : সকাল ১০ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার চুলে তো দাদা রঙ লাগেনি 🫣। খেলাটা জমেনি তাহলে! স্বাগতা দিদি আর টিনটিনবাবুর কাছেই হেরে বসলেন। টিনটিন বাবু যে খুব মজা করেছে দেখেই বুঝা যাচ্ছে। সারা শরীর রঙ দিয়ে মাখানো। তবে বউদি অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো। বৌদি সুস্থ্য থাকলে আপনাদের রঙ খেলায় জয়েন দিতো। মজাও হতো বেশ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 100 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
Congratulations, your post has been upvoted by @upex with a 40.90% upvote. We invite you to continue producing quality content and join our Discord community here. Keep up the good work! #upex
দোলের দিন রং খেলা করে দারুন মজা করেছেন। তবে ঐ সময়টাতে বেশি মানুষ থাকলে বেশি মজা হতো। টিন টিন বাবুকে সবাই রং মেখে দিচ্ছে। বড় দিদির জন্য দোয়া রইল। যেন তারতারি সুস্থ হয়ে যায়। ধন্যবাদ দাদা।
বাহ,বাবা ছেলে মিলে ভালোই তো রঙ খেলেছেন। সাথে আবার স্বাগতা দিদিও আছে। সবাইকে নিয়ে রঙ খেলে বেশ মজা করেছেন।তবে আপনার ড্রেসের সাথে মুখোশটা একদম খাপে খাপ,হাহাহা।তবে তনুজা বৌদির অসুস্থতা শুনে খুব খারাপ লাগলো।যাইহোক বৌদির জন্য অনেক দোয়া রইলো। সামনের বছর আবার খেলতে পারবে।
দোলের দিনে পরিবারের সবাই মিলে রং খেলেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো দাদা। বৌদিমনি সুস্থ থাকলে রং খেলাতে আরো বেশি মজা হতো। বৌদি মনির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি যেনো বৌদি মনিকে তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলে। টিনটিন বাবুর মুখোশ নিয়ে আপনিও দেখছি বেশ মজা করে সেলফি উঠেছেন। টিনটিন বাবুকে আবিরের রঙে বেশ দারুন মানিয়েছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা অবশেষে তাহলে পরাজয় বরণ করে নিয়েছিলেন। দুই জনের সাথে একজন আবার পারে নাকি😂। যাইহোক দোলের দিন আপনারা বেশ মজা করে রং খেলেছিলেন। বৌদি সুস্থ থাকলে তো আরও বেশি মজা হতো। রং মাখা অবস্থায় টিনটিন বাবুকে আরও বেশি কিউট লাগছে। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ উপভোগ করলাম দাদা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দোলের উৎসব আপনাদের জীবন রাঙিয়ে দিক, সৌভাগ্য আর সাফল্য বয়ে নিয়ে নিয়ে আসুক। ঘরোয়া ভাবে দোল উৎসব উদযাপন নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট দিয়েছেন দাদা। ভালো লেগেছে পোস্টটি। তনুজা বৌদির দ্রুত পুরোপুরি সুস্থতা কামনা করছি। আশাকরি আগামী বছর বৌদিসহ সবাই মিলে দোল উৎসব আরো জমিয়ে উদযাপন করবেন। টিনটিন বাবুসহ আপনাদের ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে। টিনটিন বাবুসহ আপনাদের সবার জন্য শুভ কামনা। দোদের রঙ খেলা নিয়ে পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
@rme hope hope you are doing good in life, I have send you a d.m. on your discord. Regarding a steem proposal. Can you please check. Thank you 🙏.