"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা -৩৯: আমার ইউনিক DIY প্রোজেক্ট - "Life"steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

IMG_20230609_194515.jpg


খুবই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিন অতিবাহিত হচ্ছে আমার । তবুও "আমার বাংলা ব্লগের" দুই বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে কমিউনিটির জেনারেল ইউজারদের পক্ষ থেকে আয়োজিত এই বিশেষ DIY কন্টেস্টে অংশগ্রহণ না করে পারলাম না । এই কনটেস্টটির একটু অভিনবত্ব আছে । এই কন্টেস্টে পার্টিসিপেট করতে পারবে শুধুমাত্র "আমার বাংলা ব্লগ"-এর সম্মানিত অ্যাডমিন/মডারেটর প্যানেল এবং কন্টেস্টের উদ্যোগে কমিউনিটির জেনারেল ইউজারগণ । বেশ কিছদিন ধরেই কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করবো করবো ভাবছিলাম, কিন্তু সময়ই পাচ্ছিলাম না ।

তাই কাল হঠাৎই বিকেলবেলা ভাবলাম করেই ফেলি একটা DIY প্রজেক্ট । প্লেডো ঘরে মজুত থাকে সবসময়ই । টিনটিনের খেলার সামগ্রী । তো মনে মনে একটা থিম কল্পনা করে সব সাজিয়ে ফেললাম একে একে । থিমটা এমন - আমাদের জীবনে একজন সঙ্গী/সঙ্গিনী থাকে যার সাথে আমরা ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে জীবন কাটাতে চাই, কিন্ত মাঝে মাঝেই আমাদের ভালোবাসা শেষ করতে Demon বা শয়তান দৈত্যের ছদ্মবেশে মৃত্যু নেমে আসে । কিন্তু সেই মৃত্যুকে জয় করি আমরা ভালোবাসা দিয়ে । যুগে যুগে, কালে কালে শয়তানকে ধ্বংস করে তাদেরই নিয়তি । শয়তানের পরিণাম অনিবার্য ভাবে ধ্বংসের মাঝেই নিহিত রয়েছে । শেষমেশ, জয় হয় ভালোবাসার, ধ্বংস হয় শয়তান তারই নিয়তির হাতে ।

তো এই ছিল মোটামুটি আমার থিম । থিম ভাবা শেষ হতেই আসরে নেমে পড়লাম কোমর বেঁধে । এই প্লেডো মোটেও মাটির বিকল্প নয় । মাটি দিয়ে অতি সূক্ষ সব ভাস্কর্য নিখুঁতভাবে তৈরী করা সম্ভব । কিন্তু, প্লেডো দিয়ে খেলনা জাতীয় কিছু পুতুল-টুতুল বানানো ছাড়া আর কিছুই করা সম্ভবপর নয় । যাই হোক, শুরু করে দিলাম । নিচে প্রত্যেকটা ধাপ ছবিসহ সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো -


উপকরণসমূহ :

IMG_20230609_173345.jpg


০১. চপিং বোর্ড - ১ টি (না, রান্নাবান্নার জন্য সবজি কাটা নয়, এটার উপরে DIY প্রজেক্টটা রেডি করা হবে)
০২. রঙিন কাগজ - ৩ টি ভিন্ন রঙের (টিনটিন জানতে পারলে খবর ছিল)
০৩. আঠা (ঘরে আঠা না থাকলে আঠালো ভাত দিয়েই আঠার কাজ সারা যাবে, নো প্রব্লেম)
০৪. কাঁচি ও কিচেন নাইফ (বৌয়ের কাছে খোঁজ করুন, ঠিকই পেয়ে যাবেন)
০৫. চিমটে (ফরসেপ) - (নিলয়ের কাছ থেকে ধার করা একদিনের জন্য)
০৬. চিরুনি - (মাথায় চুল খুবকম থাকার কারণে চিরুনি ছুঁই না ইদানিং, এদিন কিন্তু দরকার হয়েছিল ডিজাইনের কাজে)
০৭. প্লে ডো - বিভিন্ন কালারের বেশ কয়েকটি কৌটো (টিনটিনের খেলনার আলমারি থেকে মেরে দেওয়া, এখনো টের পায়নি বেচারা)
০৮. এক ক্যান কোল্ড ড্রিঙ্কস (উঁহু, এটা খাওয়ার জন্য শুধু)
০৯. মোবাইল (ছবি তোলা ও গান শোনার জন্য শুধু)
১০. একজন সহকারী (যার কাজ হলো কাগজ কাটা, আঠা লাগানো, প্লেডোর কৌটোর মুখ খোলা, মাঝে মাঝে এটা সেটা টুলস এগিয়ে দিয়ে হেল্প করা, নিলয়কে ধরা করেছিলাম এদিন । কারণ, আমার এসব কাজের সহকারী তনুজা এদিন নিজের DIY নিয়ে বিজি ছিল খুব )


ধাপ ০১ :


প্রথমে তিনটে ভিন্ন রঙের তিনটি কাগজ কেটে চপিং বোর্ডের ওপর আঠা দিয়ে লাগিয়ে ফেললাম, মানে ফেললো আর কি । এই কাজটি আমার সহকারী নিলয়ের উপরে ছেড়ে দিয়েছিলাম । আমি বাবা আঠা-টাঠায় হাত লাগাই না । চ্যাটচ্যাট করে হাতে লাগলে । এসব কাজের জন্যই তো সহকারী নেওয়া । তবে কাগজ এর মাপ আর কি ভাবে কেটে কোথায় কোনটা কোনটা লাগাতে হবে এটা বলে দিয়েছিলাম আমি । তিনটে কাগজের জন্য তিনটে রং - একটা হলো আকাশি রঙের, এটা দিয়ে আকাশের পটভূমি দেখানো হয়েছে । মিডলে গোলাপি রং দিয়ে জলাশয়ের পটভূমি আর নিচের পার্পল কালার দিয়ে জলাশয়ের অগভীর জলকে বোঝানো হয়েছে ।

IMG_20230609_175312.jpg


ধাপ ০২ :


এবার প্লেডো দিয়ে রাজহংসীর মডেল বানানোর পালা । প্রথমেই রাজহংসী অর্থাৎ মেয়ে রাজঁহাস বানানোয় হাত দিলাম - কারণ, লেডি'স ফার্স্ট । এটার আকার ব্যাটা রাজহাঁসের চাইতে একটু ছোট করলাম - কারণ তো বুঝতেই পারছেন । হাঁসের গলা বানালাম একটুখানি প্লেডো হাতের তালুতে নিয়ে সেমাই পাকিয়ে পাকিয়ে, ছোটবেলার অভ্যাস - এখনো ছাড়তে পারিনি । মা যখন সেমাই পায়েস বানাতো তখন মায়ের পাশে বসে এইভাবেই দুই হাতের তালুতে চালের গুঁড়োর আটার দলা নিয়ে পাকিয়ে পাকিয়ে সেমাই বানাতাম খালি । গলা বানানোর পরে ফরসেপ দিয়ে টেনে ঠোঁট বানালাম । সেমাইয়ের নিচের দিকের মোটা অংশ জোরে বুড়ো আঙুলের টিপ্ মেরে বডিতে রূপান্তর করে দিলাম । গলাটা তিন বাঁকে বেঁকিয়ে বোর্ডের ওপর লাগিয়ে দিলাম । এবার পালক লাগানোর পালা । একটা একটা ছোট প্লেডোর দলা নিয়ে হালকা একটু পাকিয়ে বা হাতের তালুতে রেখে ডান হাতের তালু দিয়ে মারলাম সপাটে এক চড় । ও মা ! কি সুন্দর একটা পালক হয়ে গেলো । এবার চিরুনির কাঁটা দিয়ে দিলাম চাপ পালকের ওপর, সুন্দর ডিজাইন হয়ে গেলো ।

IMG_20230609_180955.jpg


ধাপ ০৩ :


এই ধাপে একটা পদ্মফুল বানানোর পালা । দু'টি রাজহাঁসের ভালোবাসার প্রতীক এই পদ্মফুলটি । তবে পদ্মফুল বানানো ভেরি ভেরি ইজি । ফর্মুলা তো সেম । একটা করে প্লেডোর ছোট গোলা নাও, হালকা করে সেমাই পাকাও, উপরের অংশ মোটা আর নিচের দিকে ক্রমশঃ সরু - এমন করে পাকাতে হবে । এক হাতের তালুতে নিয়ে আর্ক্ হাতের তালু দিয়ে আচ্ছাসে মারো এক চড় - ব্যাস হয়ে গেলো পদ্মফুলের পাতা, পাঁপড়ি । এবার শুধু বোর্ডের ওপর সুন্দর করে লাগাও । পদ্মের নিচে একটা সবুজ রঙের ডাঁটি করে দিলাম । ব্যাস আমার পদ্ম একদম রেডি । শুধু একটাই ভয় দিদি আবার না ধরে নিয়ে যায় আমায় । ও বাবা ! পদ্ম মানে মোদী এটাই ভাবে আমাদের দিদি ।

IMG_20230609_182237.jpg


ধাপ ০৪ :


এবার ব্যাটা রাজঁহাস ধরার পালা । প্রথম রাজঁহাস বানানোর সেম কায়দায় বানিয়ে ফেললাম এটাকেও, তবে আকারে কিছুটা বড় মেয়ে রাজহাঁসটার চাইতে, ঠোঁট একটু বেশি টেনে লম্বা করে দিলাম চিমটি দিয়ে, চুমটি খেতে যাচ্ছে তো তাই । স্পেশ্যাল কেস বলে কথা ।

IMG_20230609_183322.jpg


ধাপ ০৫:


এবার হলো বন্দুক হাতে এক শিকারী বানানোর পালা । কাজটা খুব একটা কঠিন কিছু নয় মোটেও । তবে প্লেডো দিয়ে হিউম্যান মডেল তৈরী করা দুঃসাধ্য কাজ । তাই প্রতীকী মডেল বানানোই সঠিক বলে ভেবে নিলাম । একটুখানি প্লেডো হাতে নিয়ে একটা গোল্লা পাকিয়ে চিমটে দিয়ে টেনে টেনে মুন্ডুর নাক মুখ বানালাম । মাথায় চুল দেওয়া ঝামেলা ভেবে একটা হান্টিং হ্যাট পরিয়ে দিলাম । বডি তৈরী করে মুন্ডু বসালাম । এবার বন্দুক বানানোর পালা । বললে বিশ্বাস করবেন না - এই বন্দুক বানাতে আমার রাজঁহাস বা পদ্মফুল বানানোর চাইতে কষ্ট হয়েছে অনেক বেশি । টাইমও লেগেছে ঢের বেশি । ব্লু কালারের ওই প্লেডোটা এতো নরম যে বন্দুকের নল কোনোভাবেই বানানো যাচ্ছিলো না । যতবারই বানাই না কেনো নল কেন্নোর মতো বেঁকে যায় । শেষমেশ ভাবলাম নল ছাড়াই বন্দুক বসিয়ে দেই । কিন্তু, পরে ভেবে দেখলাম এটা কোনো কথা হলো ? নল ছাড়া বন্দুক মানে ব্যাট ছাড়া ক্রিকেট খেলা । তাই বাধ্য হয়ে অনেক শর্ট একটা ছোট্ট নল বসলাম বন্দুকে । এরপরে দুই হাত অ্যাড করে দিলাম ।

IMG_20230609_185325.jpg


ধাপ ০৬ :


এই স্টেপে শিকারির দুই ঠ্যাং বানালাম হাঁটু গেড়ে বসে গুলি করার ভঙ্গীতে । খুব সহজেই হয়ে গেলো । তবে গোল বাধলো প্যান্ট পরানো নিয়ে । প্রথমে তো শিকারীকে ন্যাংটাই রেখেছিলাম । পরে ভাবলাম হাজার হোক মনুষ্য জাত বলে কথা । কাজটা কি ঠিক হচ্ছে ? পরে নিলয়ের পরামর্শমত একটা হাফ প্যান্ট পরিয়ে দিয়ে ম্যান ইজ্জত রক্ষা করলাম শিকারির ।

IMG_20230609_190604.jpg


ধাপ ০৭ :


এবার একটা কুমির বানানোর পালা । কিন্তু, কোমর ধরে এলো রে ভাই , কি করি ? অবশেষে সটান বেডের ওপর শুয়ে পড়লুম । আর বললে বিশ্বাস করবেন না চিৎ হয়ে শুয়ে শুয়েই বানিয়ে ফেললুম কুমিরটি । ছোটবেলায় বিস্তর কুমির বানিয়েছি । তাই এ ব্যাপারে আমি এক্সপার্ট । তবে কি না প্লেডো দিয়ে বানানো একটু কঠিন । মাটি হলে কথাই ছিল না কোনো । কুমিরটি তিনটি অংশে বানালাম - মুন্ডু, ধড় আর লেজ । এরপরে চিমটে দিয়ে পিঠে খাঁজকাটা ও মুখের মধ্যে ধারালো দাঁতের সারি তৈরী করলাম । সব শেষে দু'টি পা বানিয়ে জুড়ে দিলাম বডিতে । বিশ্বাস করুন চারটে পা-ই বানাতে চেয়েছিলাম, নুলো বানাতে চাইনি মোটেও । কিন্তু ব্লু কালারের প্লে ডো আর ছিল না, শর্ট পড়েছিল । তাই এক প্রকার বাধ্য হয়ে কুমিরটি প্রতিবন্ধী হয়ে গেলো ।

IMG_20230609_194400.jpg


ধাপ ০৮ :


এবার ফাইনাল টাচ । শুয়ে শুয়ে দুটি ঝোপ বানালাম । নিলয় আর একটি ঝোপ বানালো । এবং সেই সাথে একটা সূর্য, তিনটে উড্ডীয়মান খুদে খুদে পাখি আর তিনটে মাছ বানালো নিলয় । আমি শুয়েই রইলাম । সব শেষে উঠে আর একবার ফাইনাল টাচ দিয়ে ঝটপট শেষ করে ফেললাম প্রজেক্ট । আরো একটু টাইম দিলে হয়তো কাজটা নিখুঁত হতো । কিন্তু, কি করবো বলুন, আমার খিদে পেয়ে গেলো যে । আর খিদে পেলে আমি কিচ্ছু করি না । আগে খাওয়া দেন বাকি সব কিছু । ঝটপট ছবি তুলে ফেললাম ।

IMG_20230609_194519.jpg

এখানে রাজহাঁসদুটি জীবন সঙ্গী-জীবন সঙ্গিনী, পদ্মফুলটি তাদের ভালোবাসার প্রতীক, শিকারী হলো শয়তান, বন্দুক হলো মৃত্যু আর কুমিরটি হলো শয়তানের নিয়তি -তার শেষ পরিণতি । থিমটি জুড়ে আমাদের সমগ্র জীবনের প্রতিচ্ছবিই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি আমি ।


ভেরিফিকেশন ফোটো

IMG_20230609_194735.jpg

ওই যে আমার মোটা হাত দেখা যায় । এটা আমার দক্ষিণ হস্ত । ভেরিফিকেশন এর জন্য দিলাম । নিয়ম তো মেনে চলতেই হবে । তাই কোণের দিকে একটা ঘিজিমিজি সিগনেচারও করে দিলাম । বাপের জন্মে এমন সিগনেচার করিনি ।


আরো কয়েকটি স্ন্যাপশট


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫২০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 520 trx)


তারিখ : ১০ জুন ২০২৩

টাস্ক ২৯১ : ৫২০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫২০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : f77c310a22daacc843a9fd808b9428bba0cf6646de4421ad00c1f946e1abd7ad

টাস্ক ২৯১ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Sort:  
 2 years ago 

দাদা আপনি এই প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করেছেন দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন দাদা প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য। খুবই চমৎকার একটি থিম নিয়ে আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। এইটা কিন্তু একদম ঠিক বলেছেন দাদা ভালোবাসার মাঝখানে যত শয়তান আসুক না কেন সত্যিকারের ভালোবাসার জয় একদিন অবশ্যই হবে। আপনি খুব সুন্দর করে আপনার এই ডাই পোস্ট এর মাধ্যমে সবকিছু ফুটিয়ে তুলেছেন এবং খুব সুন্দরভাবে বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। সত্যি খুব সুন্দর হয়েছে দাদা আপনার ডাই প্রোজেক্ট। আপনার পোষ্টের প্রত্যেকটা ধাপ পড়তে গিয়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ হয়ে গেলাম। আপনি খুব মজা করে প্রতিটা ধাপ লিখেছেন। আপনার লেখা গুলো পড়ে কেউ না হেসে থাকতে পারবে না দাদা। পুরো পোস্টটা পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো দাদা। আর নিলয় দাদা আপনাকে এই কাজে সহযোগিতা করেছে জেনে খুবই ভালো লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি ডাই প্রোজেক্ট তৈরির মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল দাদা।

 2 years ago 

স্টেপ গুলোর বিবরণ পড়ে হাসতে হাসতে শেষ। 😆

তবে শয়তানটাকে প্যান্ট না পরিয়ে ন্যাংটা করে রাখলেই ভালো হতো। লজ্জায় বন্দুক রেখে ঝোপের ভিতর গিয়ে পালাতো। 😂😂

 2 years ago 

হা হা হা। বেশ সুন্দর বলেছেন তো ভাইয়া।

 2 years ago 

দাদা আপনি পারেনও বটে। উপকরণসমূহ এবং ধাপগুলোর বিবরণ পড়ে তো হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গিয়েছে দাদা। যাইহোক একেবারে ইউনিক একটি ডাই প্রোজেক্ট তৈরি করেছেন দাদা। আর নিলয় ভাইয়ের মতো একজন দক্ষ সহকারীও পেয়েছেন দেখছি। আসলে ভালোবাসার মধ্যে শয়তান ঢুকবেই। আর ভালোবাসা সত্যি হলে শয়তান অবশ্যই নিঃশেষ হবে। থিমটি সত্যিই চমৎকার হয়েছে দাদা। আর আপনার হাত দেখে কিন্তু মোটা লাগছে না দাদা😂।

 2 years ago 

প্লেডো দিয়ে খুবই সুন্দর একটা ডাই প্রজেক্ট তৈরি করে ফেলেছো দাদা। সত্যি অসাধারণ হয়েছে! এই প্রজেক্ট এর থিমটাও অসাধারণ সুন্দর। এত সুন্দর করে ভেবে সেগুলোকে এত দক্ষতার সাথে উপস্থাপন করেছো সত্যিই তা প্রশংসার যোগ্য। দাদা,তোমার এই অংশগ্রহণ আমাদের মধ্যে ইনস্পিরেশন জোগাবে।

 2 years ago 

দাদা আপনি এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেছেন এই জন্য আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন। সত্যিই দেখে অনেক ভালো লাগছে দাদা। আনকমন একটি আইডিয়া নিয়ে আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। জীবনযুদ্ধে চলতে ভালোবাসার কোনো জুড়ি নেই। ভালোবাসা থাকে মায়ার বাঁধনে বাধা ।দাদা আপনি ঠিক কথাই বলেছেন ভালোবাসার মাঝখানে যতই শয়তান আসুক না কেন ভালোবাসার জয় নিশ্চিত। আপনি খুব সুন্দরভাবে আপনার ডাই পোস্টটি আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন এবংডাই পোষ্টের প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি ডাই পোস্ট তৈরী করে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।

 2 years ago 

দাদা শত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রতিযোগিতায় এতটা সময় ব্যয় করে অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে আপনার থিমটি আমার কাছে দারুন লেগেছে। কি চমৎকারভাবে একটি জীবন চক্র তৈরি করে ফেললেন। লাল পদ্মটি দেখতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছিল। আর চিৎ হয়ে শুয়ে শুয়ে কুমিরটি বানিয়ে ফেললেন কি আশ্চর্য। আর শিকারীকে প্যান্ট পরিয়ে তার মান ইজ্জত রক্ষা করেছেন বলে ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একদম ঠিক বলেছেন দাদা, মৃত্যু নিয়তির কাছে হেরে যায়।পরিশেষে জয় হয় ভালোবাসার। ভালোবাসা সত্য সুন্দর চিরন্তন।
♥♥

 2 years ago 

দাদা প্রথমেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার মধ্যে কতটা সৃজনশীলতা লুকিয়ে রয়েছে তা আমরা জানি। ভীষণ চমৎকার একটি থিম কল্পনা করে দূরদান্ত একটি ডাই প্রজেক্ট উপহার দিয়েছেন। আর বর্ননা গুলো পড়ে ভীষণ মজা পাচ্ছিলাম।
দাদা আপনি নিঃসন্দেহে প্রথম প্রাইজ পেয়ে গেছে, অন্তত আমাকে বিচারকে বসিয়ে দিলে তাই করতাম ☺️
আপনার এই ডাই প্রজেক্ট আমাদের অনুপ্রেরণার হাতিয়ার হয়ে রইলো।

 2 years ago 

থিমটা কিন্তু অনেক সুন্দর কল্পনা করেছেন দাদা ।শয়তানের পরিণতি সবসময় ধ্বংসই হয় আর ভালোবাসার জয় হয় সব সময়ই আর এটা ঠিক মাটির বিকল্প কোন কিছু হতেই পারে না। এই প্লেডো হলো ডিজিটাল মাটি বাচ্চাদের জন্য। আগেকার দিনে আমরা যেমন মাটি দিয়ে খেলনা তৈরি করতাম এখনকার দিনে ডিজিটাল মাটি বের হয়েছে এটা দিয়ে বাচ্চারা বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে । প্রত্যেকটা জিনিস এত নিখুঁত করে কিভাবে তৈরি করলেন প্লেডোর দিয়ে তাই ভাবছি । আমিতো প্লেডো কিছুই বানাতে পারিনা হাতে নিয়ে শুধু বসেই থাকি কি বানাবো সেটাই ভেবে পাইনা। আপনার পালক বানানো দেখে আপনি নিজেই অবাক হলেন আমিওতো ভাবছি এত সুন্দর পালক কেমনে বানালেন। প্রতিবন্ধী একটি কুমির বানিয়ে ছেড়ে দিলেন আবার ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার মোটা হাতটিও আমাদেরকে দেখিয়ে দিলেন। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালই অনেক হাসি পেল দাদা। অনেক ভালো হয়েছে আপনার ডাই প্রজেক্টটি। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল যাতে একটা পুরস্কার জিততে পারেন।

 2 years ago 

লাইফ নিয়ে প্রজেক্টটা দারুণ হয়েছে।কিন্তু দাদা এ যে তার চেয়েও দারুণ বিবরণ।অনেক হাসলাম পড়ে পড়ে,সাধারণ জিনিষ কেও কি করে মজার করা যায় তা একমাত্র আপনার জন্যেই বুঝতে পারছি।আর থিমটার ব্যাপারে বলবো ,থিমটাই আমাদের সকলের লাইফ।এটাই হয়।
আর নিঁখুত হয়েছে কাজ একেবারে দাদা।

 2 years ago 

দাদা আপনি প্রথম হয়েছেন আমার কাছে।এতো সুন্দর হাসির বিবরন কিন্তু কেউ দেয়নি।আপনার প্রজেক্টের থিমটা সুন্দর, করলেনও খুব সুন্দর ভাবে।👌তবে বেশী ভালো লাগলো আপনার লেখনী।😃👌👌👌আমি হাসতে হাসতে শেষ।আমি আপনার পোস্ট টি শেয়ার করে রাখছি।মন খারাপ হলেই এই পোস্ট পড়ব আর হাসবো।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।