খরগোশের বাচ্চা কেনার জন্য আজকে গেছিলাম বাজারে
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। প্রতিদিন নানা ধরনের ব্লগিং পোস্ট নিয়ে তোমাদের সামনে হাজির হয়ে যাই। আজকেও ব্লগে খরগোশ কিনতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো। আসলে অনেকেরই অনেক রকম শখ থাকে। পশুপাখি পালনের খুব বেশি শখ আমার রয়েছে তা কিন্তু না। আমি পাখিদেরকে আকাশে উড়ে বেড়াতে দেখতে বেশি পছন্দ করি। তবে অনেকেরই শখ থাকে পাখি পোষার। আর কিছু কিছু পাখি পোষা সরকারিভাবে নিষিদ্ধও রয়েছে সেগুলো মানুষ পোষে না। তবে কিছু কিছু পাখি সরকারিভাবে পোষা বৈধ রয়েছে সেগুলো মানুষ শখ করে পুষে থাকে। এই পশু পাখির শখ আমার না থাকলেও আমার দাদার বেশ এই বিষয়ে ইন্টারেস্ট রয়েছে।
অনেক আগে আমাদের একটা খরগোশ ছিল। সেটা যদিও আমি কিনি নি আমার দাদাই কিনেছিল। সে তার কাছে সবসময় রাখতো অনেক সেবা যত্ন করতো। তবে একবার খরগোশের বাচ্চাটা বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছিল। তারপর কুকুরে ধরে নিয়ে যায় এবং তারপরে খরগোশের বাচ্চাটিকে আমরা রাতের বেলায় অনেক খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু সেই কুকুর আর খরগোশের বাচ্চাকে কোথাও খুঁজে পাই না। সত্যি বলতে সেই দিনই আমি অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। সারারাত জেগে ছিলাম আর অনেকদিন পর্যন্ত ডিপ্রেশনে ছিলাম। এরকম একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার কারণে। তারপর অনেকদিন কেটে গেছে তারপর থেকে দাদা ও আর খরগোশের বাচ্চা পুষবে না এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
কিন্তু হঠাৎ করেই আবার দেখি দাদার খরগোসের বাচ্চা পোষার শখ হয়েছে। সেই জন্য আজ সন্ধ্যার দিকে আমি আর দাদা চলে গেছিলাম খরগোশের বাচ্চা কেনার উদ্দেশ্যে। আসলে কয়েক জায়গায় এই খরগোশের বাচ্চাগুলো ঠিকঠাক দামে পাওয়া যায়। তার মধ্যে নীলগঞ্জ এবং মধ্যমগ্রামের একটি জায়গা রয়েছে যেখানে মোটামুটি কিছু সংখ্যক পাওয়া যায়। নীলগঞ্জে গেলে অনেক বড় বাজার রয়েছে। তবে মধ্যমগ্রামে বড় বাজার নেই অল্প কিছু সংখ্যক দোকান রয়েছে সেখানে পাওয়া যায়। যাইহোক, মধ্যমগ্রামে গিয়ে কয়েকটা দোকান দেখার পরে একটি দোকানের খরগোশ আমাদের বেশ পছন্দ হয়। সেখানে দুটি খরগোশ ছিল একটি কিছুটা অফহোয়াইট অন্যটি কালো রঙের। কালারের কারণে দামের ও ডিফারেন্সিয়েশন ছিল।
যাইহোক, দাদা যেহেতু একটি খরগোশ কিনবে। আর দাদার সাদা খরগোশটি বেশি পছন্দ হয়। আমি যদিও এই ব্যাপারে তাকে না করছিলাম। আসলে এসব পশুপাখি পুষলে তাদের প্রতি মায়া জন্মে যায়। তারপর এদের সাথে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তার ইফেক্টটা আমাদের উপরেও পড়ে। আর এই অভিজ্ঞতা আমার আগেও ছিল যেমনটা আমি প্রথমে বলেছি। যাইহোক,অবশেষে দামদর করে একটি খরগোশের বাচ্চা আমরা কিনে নিয়ে আসি। এগুলো দেখতে অনেক কিউট হয়। যাইহোক, এই খরগোসের বাচ্চা কেনার সময় আমি ওইখানে থাকা বিভিন্ন পাখিরও ফটোগ্রাফি করেছিলাম। যা তোমরা এই পোস্টে দেখতে পাবে। আর খরগোশের বাচ্চারও ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। আজকের পোস্টে এতোটুকুই তোমাদের সাথে শেয়ার করার ছিল।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | মধ্যমগ্রাম, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিকই বলেছেন দাদা কোন পশু বা পাখি বাড়িতে পোষা থাকলে তাদের সাথে যখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে তখন সম্পূর্ণ এফ একটা এসে আমাদের ওপরই পড়ে সে ভীষণ মন খারাপ। আমার এক দিদি দিল্লিতে থাকতেন ছেলে বড় হয়ে যাওয়ার পর দুটো গিনিপিক রেখেছিলেন।সেই গিনিপিগের একটা মারা যাওয়ার পর আরেকটা নিয়েই থাকতেন। কিন্তু দ্বিতীয়টি যখন মারা গেল দিদি শোকে ওষুধপত্র খাওয়া বন্ধ করে দিল এদিকে দিদি হাই সুগারের পেশেন্ট। হেনকালে তার ডেঙ্গু হলো। মনের কষ্টে জ্বর হয়েছে তাকে আমল দিল না। তিন দিনের মাথায় দিদি মারা গেল। সেই থেকেই আমার বারবার মনে হয় মন যদি শক্ত না হয় তাহলে পশুপাখি পুষে কাজ নেই।
আমাদের এইখানে অনেকে খরগোশ লালন পালন করে। যদিও আপনার দাদা একবার খরগোশ লালন পালন করেছে। এখন অনেকদিন পর আবার আপনি আর আপনার দাদা খরগোশ কিনতে গেলেন শুনে বেশ ভালো লাগলো। তবে খরগোশগুলো এত মায়াবী দেখতে বেশ ভালোই লাগে। আর আপনারা পছন্দমত খরগোশ কিনেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খরগোশ পোষার ইচ্ছে আমারও একসময় ছিলো, তবে সেটা পরিবর্তন হয়ে যায় এবং আমি ময়না পাখি কিনে ফেলি। যাইহোক আপনার দাদা শখ করে খরগোশ কিনেছে, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।