ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা ও কিছু ছোটোখাটো কেনা কাটার গল্প (প্রথম পর্ব)।
যদিও আর শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। আমার বাসা থেকে বের হতে কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছিলো। যখন বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলাম ততক্ষণে প্রায় সাড়ে আটটা বেজে গিয়েছে। এবার অবশ্য আমি ঢাকা যাওয়ার জন্য অন্য একটা পরিবহন নির্ধারণ করেছিলাম। আমি সাধারণত ফরিদপুর থেকে ঢাকা যাওয়া অথবা ঢাকা থেকে ফরিদপুর আসার জন্য আমাদের এলাকার পরিবহন গোল্ডেন লাইন পরিবহনকে ব্যবহার করি সবসময়। তবে ইদানিং গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কিছু সমস্যা হওয়ায় আমি চিন্তা করলাম এবার অন্য কোন পরিবহনে গিয়ে দেখি। সেই চিন্তা মতো এবার আমি বিআরটিসি বাসের টিকিট কেটেছিলাম। বিআরটিসি পরিবহন এর টিকেট কাটার কারণ হচ্ছে তারা সরাসরি মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার ব্যবহার করে একেবারে গুলিস্তান পর্যন্ত চলে আসে। আর গোল্ডেন লাইন পরিবহন যাত্রাবাড়ীর পরের পথটা নিচের রাস্তাটা ব্যবহার করে।
যার ফলে সেখানে দীর্ঘ সময় যানজটে কাটাতে হয়। যাই হোক সকাল নটার বাসের টিকিট কেটে আমি বাসের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। তবে বাস এলো নটা বাজার পাঁচ মিনিট পরে। কিন্তু বাসের চেহারা দেখে আমার কাছে একেবারেই ভালো লাগলো না। বাংলাদেশের বিআরটিসি এখন অশোক লেল্যান্ড বাস ব্যবহার করে। এই বাসগুলোর একটা সমস্যা হচ্ছে কিছুদিন পরেই এই বাসগুলো আর ব্যবহারের উপযোগী থাকে না। অবশ্য এখানে মেইনটেনেন্সেরও একটা ব্যাপার রয়েছে। যাই হোক বাসের চেহারা যতো খারাপই হোক টিকেট যেহেতু কেটে ফেলেছি। শেষ পর্যন্ত তাই বাস এলে তাতে উঠে বসলাম। উঠে বসার কিছুক্ষণ পরেই বাস ছেড়ে দিলো। কিন্তু কিছুক্ষণ পর থেকে শুরু হলো নতুন সমস্যা। বাসটা একটু পর পর এক এক জায়গায় থামতে লাগলো। তাছাড়া বাসটা চলছিলো একেবারে ধীরগতিতে। যার ফলে বাসের যাত্রীরা সবাই বেশ অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছিলো।
বারবার থামার কারণে সবারই সময় নষ্ট হচ্ছিল। এজন্য সবাই একটু রাগ প্রকাশ করছিলো। যাইহোক ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রাস্তাটা কিছুটা ভাঙাচোরা হওয়ায় বাসটা সেখানে বেশ আস্তে চলেছে। তবে ভাঙ্গা থেকে এক্সপ্রেস ওয়েতে ওঠার পরে বাসের স্পিড কিছুটা বেড়েছিলো। যদিও খেয়াল করে দেখেছি বাসের স্পিড ছিলো বেশির ভাগ সময় ৬০ থেকে ৭৫ এর ভেতরে। অথচ এই রাস্তা তে অন্যান্য গাড়িগুলো ১০০ কিলোমিটার উপরে চলে। শুধু বাংলাদেশে না পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশের এক্সপ্রেসওয়েতেই গাড়ির গতি থাকে ১০০ কিলোমিটারের উপরে। গাড়ির গতি দেখে এক পর্যায়ে আমার মনে হচ্ছিলো আজকে ঢাকা পৌঁছাতে অনেকটা বাড়তি সময় লাগবে। তবে শেষ পর্যন্ত খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। মাত্র ২ ঘন্টা ২০ মিনিটেই ঢাকা পৌঁছে গিয়েছিলাম। তবে ঢাকা পৌঁছে গুলিস্তানের কাছাকাছি পৌঁছে ফ্লাইওভারের উপরে জ্যামে পড়েছিলাম। জ্যামে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হবে এই চিন্তা করে আমি বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেছিলাম। কারণ আমি আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম ঢাকা পৌঁছে আমার কিছু কাজ শেষ করে তারপর আপুর বাসায় যাবো। সেই কারণে আমি বাস থেকে নেমে দ্রুত হাঁটতে শুরু করেছিলাম। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | Samsung s24 ultra |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ইদানীং ঢাকার রাস্তায় যানজট প্রচুর বেড়েছে। আগে আমাদের মদনপুর থেকে গুলিস্তান যেতে ২৫ মিনিট লাগতো। আর এখন শনি আখড়া কিংবা যাত্রাবাড়ী থেকেই যানজট শুরু হয়ে যায়। যাইহোক ফরিদপুর থেকে ঠিকমতো ঢাকায় পৌঁছাতে পেরেছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। বিআরটিসি বাসের সার্ভিস খুবই বাজে লাগে আমার কাছে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।