ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা ও কিছু ছোটোখাটো কেনা কাটার গল্প (প্রথম পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আমার আম্মা কিছুদিন আগে ঢাকা গিয়েছে। সাধারণত আম্মাকে আমি কখনো একা আসা-যাওয়া করতে দেই না। তবে এবার যেহেতু আমার ভাগ্নে ফরিদপুর ছিলো। তাই তার সাথে আম্মাকে ঢাকা পাঠিয়েছিলাম। আম্মার সাথে কথা ছিলো ফেরার সময় আমি গিয়ে আম্মাকে নিয়ে আসবো। সে কারণেই গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা আসার পরিকল্পনা করছিলাম। এদিকে আম্মারও ঢাকার কাজ শেষ হচ্ছিল না। সেই কারণে আর আসা হচ্ছিলো না। শেষ পর্যন্ত আম্মার কাজ শেষ হওয়ায়। আমি গতকাল সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে সকালে ঢাকা আসার। প্রথমে চিন্তা করেছিলাম একেবারে সকালের দিকে রওনা দিয়ে ঢাকায় পৌঁছে যেতে হবে। কারণ ইদানিং ঢাকার রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম থাকে। যার ফলে ফরিদপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত ভালোভাবে পৌঁছাতে পারলেও। ঢাকার ভেতরের রাস্তাটা পার হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এ কারণে একটু সকালের দিকে ঢাকা যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো।

1000002088.jpg

যদিও আর শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। আমার বাসা থেকে বের হতে কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছিলো। যখন বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলাম ততক্ষণে প্রায় সাড়ে আটটা বেজে গিয়েছে। এবার অবশ্য আমি ঢাকা যাওয়ার জন্য অন্য একটা পরিবহন নির্ধারণ করেছিলাম। আমি সাধারণত ফরিদপুর থেকে ঢাকা যাওয়া অথবা ঢাকা থেকে ফরিদপুর আসার জন্য আমাদের এলাকার পরিবহন গোল্ডেন লাইন পরিবহনকে ব্যবহার করি সবসময়। তবে ইদানিং গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কিছু সমস্যা হওয়ায় আমি চিন্তা করলাম এবার অন্য কোন পরিবহনে গিয়ে দেখি। সেই চিন্তা মতো এবার আমি বিআরটিসি বাসের টিকিট কেটেছিলাম। বিআরটিসি পরিবহন এর টিকেট কাটার কারণ হচ্ছে তারা সরাসরি মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার ব্যবহার করে একেবারে গুলিস্তান পর্যন্ত চলে আসে। আর গোল্ডেন লাইন পরিবহন যাত্রাবাড়ীর পরের পথটা নিচের রাস্তাটা ব্যবহার করে।


1000002090.jpg

যার ফলে সেখানে দীর্ঘ সময় যানজটে কাটাতে হয়। যাই হোক সকাল নটার বাসের টিকিট কেটে আমি বাসের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। তবে বাস এলো নটা বাজার পাঁচ মিনিট পরে। কিন্তু বাসের চেহারা দেখে আমার কাছে একেবারেই ভালো লাগলো না। বাংলাদেশের বিআরটিসি এখন অশোক লেল্যান্ড বাস ব্যবহার করে। এই বাসগুলোর একটা সমস্যা হচ্ছে কিছুদিন পরেই এই বাসগুলো আর ব্যবহারের উপযোগী থাকে না। অবশ্য এখানে মেইনটেনেন্সেরও একটা ব্যাপার রয়েছে। যাই হোক বাসের চেহারা যতো খারাপই হোক টিকেট যেহেতু কেটে ফেলেছি। শেষ পর্যন্ত তাই বাস এলে তাতে উঠে বসলাম। উঠে বসার কিছুক্ষণ পরেই বাস ছেড়ে দিলো। কিন্তু কিছুক্ষণ পর থেকে শুরু হলো নতুন সমস্যা। বাসটা একটু পর পর এক এক জায়গায় থামতে লাগলো। তাছাড়া বাসটা চলছিলো একেবারে ধীরগতিতে। যার ফলে বাসের যাত্রীরা সবাই বেশ অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছিলো।


1000002094.jpg

বারবার থামার কারণে সবারই সময় নষ্ট হচ্ছিল। এজন্য সবাই একটু রাগ প্রকাশ করছিলো। যাইহোক ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রাস্তাটা কিছুটা ভাঙাচোরা হওয়ায় বাসটা সেখানে বেশ আস্তে চলেছে। তবে ভাঙ্গা থেকে এক্সপ্রেস ওয়েতে ওঠার পরে বাসের স্পিড কিছুটা বেড়েছিলো। যদিও খেয়াল করে দেখেছি বাসের স্পিড ছিলো বেশির ভাগ সময় ৬০ থেকে ৭৫ এর ভেতরে। অথচ এই রাস্তা তে অন্যান্য গাড়িগুলো ১০০ কিলোমিটার উপরে চলে। শুধু বাংলাদেশে না পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশের এক্সপ্রেসওয়েতেই গাড়ির গতি থাকে ১০০ কিলোমিটারের উপরে। গাড়ির গতি দেখে এক পর্যায়ে আমার মনে হচ্ছিলো আজকে ঢাকা পৌঁছাতে অনেকটা বাড়তি সময় লাগবে। তবে শেষ পর্যন্ত খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। মাত্র ২ ঘন্টা ২০ মিনিটেই ঢাকা পৌঁছে গিয়েছিলাম। তবে ঢাকা পৌঁছে গুলিস্তানের কাছাকাছি পৌঁছে ফ্লাইওভারের উপরে জ্যামে পড়েছিলাম। জ্যামে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হবে এই চিন্তা করে আমি বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেছিলাম। কারণ আমি আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম ঢাকা পৌঁছে আমার কিছু কাজ শেষ করে তারপর আপুর বাসায় যাবো। সেই কারণে আমি বাস থেকে নেমে দ্রুত হাঁটতে শুরু করেছিলাম। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসSamsung s24 ultra
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানঢাকা

logo.png



PUSS_Banner2.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 days ago 

ইদানীং ঢাকার রাস্তায় যানজট প্রচুর বেড়েছে। আগে আমাদের মদনপুর থেকে গুলিস্তান যেতে ২৫ মিনিট লাগতো। আর এখন শনি আখড়া কিংবা যাত্রাবাড়ী থেকেই যানজট শুরু হয়ে যায়। যাইহোক ফরিদপুর থেকে ঠিকমতো ঢাকায় পৌঁছাতে পেরেছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। বিআরটিসি বাসের সার্ভিস খুবই বাজে লাগে আমার কাছে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।