দীর্ঘদিন পর পরিবার নিয়ে বাইরে খাওয়া দাওয়ার অভিজ্ঞতা।

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


দীর্ঘদিন পর বাড়িতে ফিরে বেশ ভালো লাগছিলো। বাইরে থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বাইরে খেতে যাওয়ার ইচ্ছা হয়েছিলো। কিন্তু কাছে না থাকার কারণে আর সেই ইচ্ছাটা পূরণ করা হয়ে ওঠেনি। যার ফলে ফরিদপুর আসার আগেই আমি ঠিক করে রেখেছিলাম গিয়ে সেদিনই বা তারপর দিন আমরা রেস্টুরেন্টে খেতে যাবো। কিন্তু যেদিন গিয়ে পৌঁছলাম সেদিন আমার স্ত্রী রান্নাবান্না করেছিলো। যার ফলে আর সেদিন রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয়নি। তবে সেদিনই স্ত্রীর সাথে বসে পরিকল্পনা করেছিলাম পরদিন দুপুরে আমরা বাইরে খেতে যাবো। সেই হিসেবে পরদিন যোহর নামাজের পরে তাদেরকে রেডি থাকতে বলেছিলাম। আমি নামাজ পড়ে এসে তাড়াতাড়ি করে তৈরি হয়ে রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে আমরা রওনা দিলাম।

1000009365.jpg

তবে আমার অভ্যাস হচ্ছে দুপুরের নামাজ পড়ে এসেই খেতে বসা। কিন্তু রেস্টুরেন্টে গেলে খেতে বেশ খানিকটা দেরি হয়। কারণ আমরা রেস্টুরেন্টে গেলে সাধারণত থাই বা চাইনিজ আইটেম গুলো খেয়ে থাকি। এগুলো রেস্টুরেন্টে যাওয়ার পর অর্ডার করতে হয়। তারপর তারা রান্না করে। যার ফলে খাবার টেবিল পর্যন্ত আসতে বেশ দেরি হয়। কিন্তু সেদিন আমার প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছিলো। তাই আমি প্রথমে চিকেন কেশোনাট সালাদ অর্ডার করে তাদেরকে বললাম এই আইটেমটা দ্রুত পরিবেশন করবেন। বাদবাকি আইটেমগুলো কিছুক্ষণ পরে পরিবেশন করলেও চলবে। রেস্টুরেন্টটা আমাদের পরিচিত হওয়ায় তারা হাসিমুখে আমার আবদার মেনে নিলো। তারপর বেশ তাড়াতাড়ি তারা প্রথম আইটেমটা আমাদেরকে পরিবেশন করলো।


1000009368.jpg

তবে এদিন খেয়াল করে দেখলাম প্রথম আইটেম পরিবেশন করার পরে বাদবাকি আইটেমগুলো পরিবেশন করতেও খুব একটা বেশি সময় নিলো না। অল্প সময়ের ভেতরেই তারা সমস্ত আইটেম টেবিলে দিয়ে গেলো। যেহেতু প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছিলো তাই চিকেন কেশোনাট সালাদ টেবিলে আসার সাথেই আমরা খেতে শুরু করলাম। যদিও তাদের এই আইটেমটা আমার কাছে খুব একটা বেশি ভালো লাগেনি। আমার কাছে মনে হয়েছে তাদের শেফ এই আইটেম টা ভালো বানাতে পারেন না। কারণ আমি এর আগেও চিকেন কেশোনাট সালাত খেয়েছি সেটা খেতে ছিলো দারুন। আমরা রেস্টুরেন্টে গেলে বেশিরভাগ সময় আমাদের চেনাজানা খাবারগুলি অর্ডার করি। কারণ যখনই নতুন কোনো খাবার অর্ডার করেছি সেটা খাওয়ার অভিজ্ঞতা বেশিরভাগ সময় খারাপ হয়েছে। যাই হোক আমরা সেদিন অর্ডার করেছিলাম চিকেন ফ্রাইড রাইস, চিকেন সিজলিং, আর সাথে ছিলো চিকেন চিলি।


1000009362.jpg

1000009358.jpg

খাবারগুলি বরাবরের মতো বেশ ফ্রেশ এবং খুবই সুস্বাদু ছিলো। তবে এবারও খাবারের পরিমাণ কিছুটা বেশি হয়ে গিয়েছিলো। আমরা তিনজন মিলে ভরপেট খেয়েও শেষ করতে পারিনি। বেশ অনেকটা খাবার বেঁচে গিয়েছিলো। পরবর্তীতে রেস্টুরেন্টের লোকজন অবশ্য সেটা পার্সেল করে আমাদেরকে দিয়ে দিয়েছিলো। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা সেখানে কিছুক্ষণ বসে তারপর বাসায় ফিরে এলাম। দীর্ঘদিন পর পরিবার নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছিলো। একে তো ভালো খাওয়ার অনুভূতি সেই সাথে ভালো কিছুটা সময় কাটানোর অনুভূতি। সবকিছু মিলিয়ে সময়টা ছিলো দারুন।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসHONOR 90
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  
 3 months ago 

অনেকদিন পর পরিবার নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে গিয়েছেন,যা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। আমিও রেস্টুরেন্টে গিয়ে চেনাজানা খাবার গুলোই অর্ডার করে থাকি। কারণ নতুন নতুন খাবার অর্ডার করে বেশ কয়েকবার বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। যাইহোক সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনারা। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

আমার ক্ষেত্রেও অনেকবার এই ব্যাপারটা হয়েছে দাদা। যতবার রেস্টুরেন্টে গিয়ে নতুন খাবারের আইটেম অর্ডার করেছি, সেগুলো মোটেই ভালো হয়নি এবং অভিজ্ঞতা অনেকটাই খারাপ ছিল। তাছাড়া এমন এমন রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেখানে খাবার অর্ডার করলে এক ঘন্টারও বেশি সময় লাগে খাবার টেবিলে আসতে। এটা যথেষ্ট বিরক্তিকর একটা বিষয়। যাইহোক, অনেকদিন পর পরিবারকে নিয়ে যে এত সুন্দর একটা রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করেছেন, সেটা জেনে খুবই ভালো লাগছে । তাছাড়া আপনারা যে পরিমাণ খাবার অর্ডার করেছেন, তাতে পুরো খাবার শেষ করতে না পারাটাই তো স্বাভাবিক ছিল। অনেক ভালো লাগলো দাদা, আপনার এই পোস্ট টি পড়ে।