কুয়াকাটা ভ্রমণ উপলক্ষে বন্ধু ফেরদৌসের কেনাকাটার গল্প।
আমি কিছুক্ষণ চিন্তা ভাবনা করে ফেরদৌসকে জানালাম ঠিক আছে আমি মার্কেটে কাছাকাছি আসছি। আমার বাসা থেকে নিউমার্কেটে দূরত্ব একেবারেই কম। যার ফলে আমি অল্প সময়ে নিউমার্কেটের ওখানে পৌঁছে যাবো। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক আমি ধীরেস্থে বাসা থেকে বের হলাম। আমি নিউমার্কেটের কাছাকাছি পৌঁছে ফেরদৌসকে ফোন দিতে সে জানালো তার আরো কিছুটা সময় লাগবে সেখানে আসতে। ফেরদৌসের বাসা থেকে নিউমার্কেটে দূরত্ব বেশ খানিকটা। যাইহোক আমিও বাসা থেকে বের হয়েছিলাম দু একটা কাজ হাতে নিয়ে। তাই চিন্তা করলাম ফেরদৌস আসার আগে ই একটা কাজ সেরে ফেলি। আমি মূলত বাসা থেকে বের হয়েছিলাম আমার স্ত্রীর চশমার ডেলিভারি নিতে। সেই সাথে আমার ফোনের জন্য একটা হেডফোন কেনার পরিকল্পনাও ছিলো। আরো কিছু টুকিটাকি কাজ ও ছিলো। যাই হোক আমি চশমার দোকান থেকে চশমা ডেলিভারি নিতেই ফেরদৌস এর ফোন পেলাম।
তারপর ফেরদৌস যেখানে আছে আমি সেখানে গেলে ফেরদৌস বলল তার এটিএম কার্ডটার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। এদিকে আবার তার ব্যাংক থেকে টাকা উঠানোর প্রয়োজন। তখন আমি তাকে বললাম তাহলে তুমি গিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে আনো। আমি একটা কাজ সেরে আসি। যাই হোক কাজ বাজ ছেড়ে যখন ব্যাংকের নিচে এসে দাঁড়ালাম। কিছুক্ষনের ভেতরে ফেরদৌসও নিচে নেমে এলো। তারপর ফেরদৌস পাশে থাকা লোটোর শোরুমে ঢুকে গেলো। আমিও ফেরদৌসের সাথে সাথে সেখানে গেলাম। এই ধরনের শোরুম গুলিতে ঘোরাফেরা করতে আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে। তাছাড়া লোটোর জুতা স্যান্ডেল গেঞ্জি প্যান্ট এগুলো আমার বেশ পছন্দের। লোটোর শোরুমে ঢুকতেই আমি ফেরদৌসকে জিজ্ঞেস করলাম কি কিনতে চাও? ফেরদৌস আমাকে জানালো সে টি-শার্ট কিনবে। তবে টি শার্ট কেনার কথা বললেও ফেরদৌস প্রথমে প্যান্ট দেখতে লাগলো। বেশ কিছুক্ষণ প্যান্ট দেখার পরে ফেরদৌস সেখান থেকে একটা প্যান্ট কিনলো।
প্যান্ট কেনা হলে আমি ফেরদৌসকে পরামর্শ দিলাম সেখান থেকে টি-শার্ট না কিনে বাইরে থেকে কিনলেই ভালো হবে। কারণ বাইরে থেকে কিছুটা কম দামে ভালো মানের টি শার্ট পাওয়া যাবে। লোটোর টি-শার্টগুলোর দাম আমার কাছে কিছুটা বেশি মনে হয়। আইডিয়াটা ফেরদৌসের পছন্দ হলো। তারপর দুই বন্ধু মিলে আমাদের শহরের বাড়ি প্লাজা নামে একটি মার্কেটের দিকে আগাতে লাগলাম। তবে সেখানে যাওয়ার পথে একটা চশমার দোকান দেখে ফেরদৌস বলল সে একটা সানগ্লাস কিনবে। পরবর্তীতে সেই দোকান থেকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে পছন্দ করে একটা সানগ্লাস কেনা হলো। তারপর আমরা ফেরদৌসের গেঞ্জি কেনার জন্য বাড়ি প্লাজা নামক সেই মার্কেটটাতে গেলাম। সেই মার্কেটটা ছেলেদের কাপড়-চোপড়ের জন্য বেশ জনপ্রিয়। সেখানে তুলনামূলক কম দামে কাপড়চোপড় পাওয়া যায়। যাই হোক আমরা দুজন সেই মার্কেটে ঢুকে প্রথমে একটা দোকানে গেলাম। সেখানে গিয়ে টি-শার্ট দেখাতে বললে তারা অনেকগুলো টি শার্ট বের করলো। সেখান থেকে ফেরদৌস পছন্দ করে দুটো টি শার্ট কিনলো। কিছুক্ষন দামাদামি করার পর টি শার্টের দাম পরিশোধ করে আমরা সেই মার্কেট থেকে বেরিয়ে এলাম। এদিকে বেশ কিছু সময় পার হয়ে গিয়েছে। আমার আবার কমিউনিটির কিছু কাজ বাকি ছিলো। তাই আমি তখনকার মত ফেরদৌসের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে এলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | Samsung s24 ultra |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ট্যুরে যাওয়ার আগে শপিং না করলে একেবারেই হয় না। ফেরদৌস ভাই উনার পরিবার নিয়ে কুয়াকাটা ট্যুরে যাবে, জেনে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক লোটো থেকে শুধুমাত্র প্যান্ট কিনে, টি-শার্ট অন্য মার্কেট থেকে কিনেছে বলে,বেশ ভালো হয়েছে। কারণ এতে করে ফেরদৌস ভাইয়ের বেশ কিছু টাকা বেঁচে গিয়েছে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।