অন্যের সম্পদের প্রতি যত্নশীল হই।(নিজে বদলাই,অন্যেরা বদলাবে)


প্রথমেই সবাইকে জানাই সালাম,আদাব। সৃষ্টিকর্তার রহমতে আশা করছি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকলেই ভালো এবং সুস্থ আছি।


❤️ সবার জন্য অবিরাম ভালোবাসা ❤️


আজকে আমি হাজির হয়েছি একটি লিখা নিয়ে।
লিখতে ভালা লাগোটা আমার বহুদিন এর। কেও যদি জিজ্ঞেস করে তোমার লিখার কারণ কি?
তাহলে আমার একটাই উত্তর আসবে তা হলো জানিনা।
তাহলে আজকের লিখাটা শুরু করি।
আজকের লিখার বিষয় হলো "অন্যের সম্পদের প্রতি যত্নশীল হই"।


★★সম্পদ★★


IMG_20220223_220933.jpg


  • মূল্যবান সম্পদ:-

প্রতিটি মানুষের জীবনেই সম্পদের সংজ্ঞা টি আলাদা।
কারণ প্রতিটি মানুষের জীবনে বিভিন্ন বিভিন্ন ধরনের সম্পদ রয়েছে।
আমার কাছে আজকে যেই জিনিসটি কিংবা যে কাজটি সম্পদ হিসেবে হতে পারে, অপরজনের কাছে এই জিনিসটি কিন্তু এই সময় এ কিছুই না।
অথবা আমার কাছে যেটা সম্ভব নয়।
সেটা হয়তো অন্যের কাছে অনেক বড় সম্পদ।
সে কারণে সম্পদের কোন সঙ্গা হয়না।

যদি আভিধানিক অর্থ মতে সম্পদের সংজ্ঞা বলা যায়।
তাহলে হবে,

কোন ব্যক্তির মালিকাধীন বা যেই জিনিস গুলো তার নিজের নামে থাকে, তাই তার সম্পদ।

আমি বিষয়গুলো সম্পূর্ণ নিজের মতামতের ভিত্তিতে
এবং,
নিজের পারিপার্শ্বিক জ্ঞানের ভিত্তিতে বলছি।
আমি কোন বই ঘেঁটে কিংবা কোথাও থেকে বিষয়গুলো কালেক্ট করে নিই নি।
এই কারণে আমার সাথে অন্য কোন মিল না হতেই পারে
তার জন্য আমি নিজ থেকে ক্ষমাপ্রার্থী।

সম্পদ যাই হোক না কেন সব সময় তা মূল্যবান।
একটা ছোট বাচ্চার কাছে তার ছোট ছোট খেলনা গুলি সম্পদ। কারণ তার পৃথিবী জুড়ে রয়েছে সে খেলনা গুলো।
সেগুলো যখন সে পায় কিংবা তার কাছে সে যখন প্রথম পেলো তখন সেই খেলনা গুলোকে নিজের হিসেবে রাখে।
এবং,
সেই ভাবে যত্ন করে।
কিংবা সেই খেলনা গুলো কিভাবে ব্যবহার করে, একটা বাচ্চা যখন এসব পায় তখন তার মধ্যে সম্পদ কেমন হয় তা বিবেচনা করার মস্তিষ্ক তৈরি হয় না,
তখন তার কাছে তাই সম্পদে।
একটু পর যখন একটা মানুষ বড় হয়। তখন তার কাছে তাকে দেওয়ার রুমটাই হয়ে যায় তার সম্পদ।
কারণ ওই সন্তান কিংবা বাচ্চাটা ভাবতে শুরু করে যে এটা তাকে দেওয়া হয়েছে, এটাই তার সম্পদ।
এবং এটা তার নিজের সম্পদ এ স্থানান্তরিত হয়।
কিংবা,
অনেক কিছু এমন রয়েছে যা আমরা সম্পদ ভাবি।
কিন্তু আসলে সম্পদ নয়!
কিন্তু বিষয়গুলো সেইটা না।

বিষয়টা হচ্ছে সম্পদ যেমনই হোক না কেন
এবং
সম্পদ যে ধরনেরই হোক না কেন সব সময় মূল্যবান।

কোন সম্পদ ই কম মূল্যবান হতে পারে না।
কারন একটা সম্পদ মানুষ নিজের করে আগলে রাখে।
কিংবা যথেষ্ট যত্ন সহকারে দেখভাল করে।
এবং সেটা হাসিল করে খুব কষ্ট করে।
সে কারণে প্রতিটি সম্পদই আমি মনে করি মূল্যবান এবং প্রয়োজনীয়।


★★নিজের সম্পদ এর প্রতি সকলে যত্নশীল★★


  • নিজের সম্পদ:-

আমরা মূলত সকলেই অন্য কারো সম্পদের প্রতি যত্নশীল হই এবং
না হই।
নিজের সম্পদের প্রতি আমরা সকলেই খুবই যত্নশীল।

এই দিকটা আমাদের মধ্যে খুব বেশি কাজ করে।
আমাদের সকলের ই নিজস্ব কিছু সম্পদ রয়েছে।
ব্যাক্তিভেদে সম্পদের মূল্যায়ন এবং ব্যাক্তিভেদে সম্পদের সংজ্ঞা আলাদা।
আমরা এই মূহুর্তে যেই অবস্থানে রয়েছি বেশিরভাগ মানুষ ই বলতে পারব না যে আমাদের অঢেল সম্পদ রয়েছে।
তবে সবার ই কিছু না কিছু রয়েছে।
বয়স ভেদেও সম্পদ আলাদা,
যেমন আমাদের এই বয়সের ছেলেদের মধ্যে সম্পদের বৈশিষ্ট্য আলাদা।
আবার,
আমাদের বাবা মা এর মধ্যে সম্পদের বৈশিষ্ট্য আলাদা।


★★অন্যের সম্পদের প্রতি সকলের যত্নশীল হওয়া উচিত★★


  • অন্যের সম্পদ:-
আমরা নিজের সম্পদের প্রতি যতটা যত্নশীল।ততটা যত্নশীল অন্যদের সম্পদের প্রতি নই।

এইটা শুনতে একটু খারাপ লাগলেও কথাটি একেবারে সঠিক একটি কথা।
আপনি নিজেই ভেবে দেখুন আমরা যখন নিজের কোনো কিছু ব্যবহার করি। তা খুব সামলিয়ে ব্যবহার করি কিংবা খেয়াল করে চলি।যে জিনিষগুলোর কোনো দিকে কোনো অনিষ্ট হচ্ছে কিনা।

কিন্তু আমরা যখন অন্যের কিছু ব্যবহার করি, তখন যত্ন নেওয়া বিষয়টি একেবারেই ভুলে যাই।
আমাদের তখন ব্যবহার করার স্বাভাবিক নিয়মটিও মনে থাকেনা,দায়সাড়া ভাবে ব্যবহার করি এবং এরপর ফেলে রাখি যেমন ইচ্ছা তেমন ভাবে।


★★মনোভাব বদলাই★★


আমাদের এই মনোভাব অবশ্যই বদলানো উচিত।কারণ আমাদের সবকিছু আমাদের কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়।ঠিক তেমনটি ই অন্যের সবকিছু ও তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যের গুরুত্ব কে নিজের গুরুত্বসম ভেবে চিন্তা করি।তাহলে দেখা যাবে আমাদের মনোভাব দিন দিন বদলাবে।

তা না হলে আমাদের এই চিন্তাভাবনা কখনোই বদলাবে না।
এবং অন্যের সম্পদের অনিষ্ট আমরা চোখ বুজে করতেই থাকবো।

এতে আমাদের ই ক্ষতি কারণ,
আমি যেভাবে ভাববো,
আমার চারপাশের মানুষ সেভাবেই ভাববে!!