শীতের গরম পোশাক কেনাকাটা

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।



কিছুদিন আগে চলে গিয়েছিলাম দাদা দিদিদের সঙ্গে শীতকালীন পোশাক কেনার জন্য। বেশিরভাগ কেনাকাটা করা হয় স্টার মল থেকে কিন্তু সেদিন চলে গিয়েছিলাম বিশাল মলে। কারণ এখানে বেশিরভাগ মাল জিনিসের দাম অন্যান্য দোকানের থেকে অনেকটাই কম। এখানে কিন্তু মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে বড়লোক মানুষও কেনাকাটা করতে পারবে। পোশাকগুলো অনেকটা উন্নত মানের কিন্তু এর দামটা খুবই কম। দাম কম থাকার কারণে যারা মধ্যবিত্ত পরিবার তারাও এখানে ভালোভাবে কেনাকাটা করতে পারবে। আমার কাছে এই মার্কেটটা খুবই ভালো লাগে কারণ এখানে অল্প টাকা নিয়ে গেলে বেশি পোশাক বাড়িতে নিয়ে আসা যায়। যাই হোক, বেশ কিছুদিন আগে দিদি বলেছিল এখানে কিছু পোশাক কিনতে যাবে। কিন্তু সময় না পাওয়ার কারণে সঙ্গে সঙ্গে যাওয়া হয়নি। তাই একদিন সময় করে চলে গিয়েছিলাম কেনাকাটা করার জন্য। আমরা সন্ধ্যার সময় গিয়েছিলাম আর সন্ধ্যের টাইমে বেশিরভাগ সব জায়গায় ভিড় বেশি হয়ে থাকে। আর যেহেতু আগেই বলেছি এখানে গরিব থেকে শুরু করে বড়লোক মানুষও কেনাকাটা অনায়াসে করতে পারবে। তাই এখানে ভিড় হওয়াটা স্বাভাবিক। আমরা ভেতরে ঢুকতেই দেখলাম ভেতরে অনেক মানুষের ভিড়। কেউ এসেছে পোশাক কিনতে,কেউ এসেছে সংসারের মাল জিনিস কিনতে, কেউবা এসেছে ঘুরতে।


নিচ তালায় শুধু মেয়েদের পোশাক গুলো ছিল যার জন্য দিদি প্রথমেই তার কিছু পছন্দের পোশাক নিল। দিদির পোশাক নেওয়া শেষ হলে আমরা চলে গেলাম দ্বিতীয় তালায় কারণ ওখানে ছেলেদের পোশাকগুলো রয়েছে। দাদা ঘুরে ঘুরে তার পছন্দের পোশাক গুলো দেখছিল আর আমি অন্য পাশে আমি যেগুলো পোশাক নিব সেগুলো দেখছিলাম। সত্যি কথা বলতে আমার কোন ইচ্ছা ছিল না পোশাক কেনার। কিন্তু তারপরেও মলে আসলে কোনদিন খালি হাতে যেতে পারেনি। পোশাক নিবো না নিব না ভাবছি আবার যখন পছন্দ হচ্ছে তখন ভাবছি এটা নিয়েই ফেলি। আমার বেশিরভাগ সাদা এবং কালো কালার বেশি পছন্দের। আর এখানে কালো এবং সাদা কালারের হুডি গুলোর কালেকশনটা খুব চমৎকার ছিল। যেহেতু আমার সাদা এবং কালো কালার খুবই পছন্দের তাই আমার খুবই ভালো লাগছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেগুলো আমার নেওয়া হলো না কারণ বাড়িতে আমার অনেক হুডি রয়েছে। পরবর্তীতে আমি দাদার কাছে এলাম দেখলাম দাদা কিছু টি-শার্ট দেখছে দাদা আমাকে টি-শার্ট নেওয়ার জন্য বললো। আমি শার্টের থেকে টি-শার্ট বেশি পড়ে থাকি। তাই সেখান থেকে আমার পছন্দের মত কিছু টি-শার্ট নিলাম। আর এখানে সব থেকে মজার বিষয়টি হচ্ছে একটা কিনলে আর একটা ফ্রি। আমি এখান থেকে দুটো টি শার্ট নিলাম আর দুটো টি শার্ট আমি ফ্রিতে পেয়ে গেলাম মোট চারটি টি শার্ট আমি নিলাম।
IMG20241216165520.jpg

IMG20241216165436.jpg

IMG20241216165420.jpg

IMG20241216164437.jpg
ক্যামেরা পরিচিতি : oppo
ক্যামেরা মডেল : oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য :3.37mm
তারিখ :১৬.১২.২০২৪
সময় :০৯.৩১মিনিট
স্থান: বারাসাত, কলকাতা


সবার পোশাক কেনা শেষ হলে এখন কাজ হল বিল করার। তখন দিদি বলল তার কিছু সংসারের জিনিসপত্র কিনতে হবে। তাই সেখান থেকে দিদি তার সংসারে যাবতীয় দরকারি জিনিসগুলো নিয়ে আমরা নিচ তালাতে চলে এলাম কারণ এখানে বিল কাউন্টার রয়েছে। কাউন্টারে আসতেই চোখ কপালে উঠে গেল কারণ এখানে প্রত্যেকটা কাউন্টারে অনেক বড় বড় লাইন। যাই হোক, কিছুই করার নাই বিল তো পরিশোধ করতেই হবে। তাই সবার মতন আমিও লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লাম এক এক করে সবার বিল পরিষদ হয়ে যাওয়ার পর আমাদেরও বিলটা পরিশোধ করে নিলাম। এরপর রওনা করলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। এখানে একটা কথা বলতে আমি ভুলে গিয়েছি চলে আসার সময় আমি একটা হুডি নিয়েছিলাম। কারণ হুডিটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছিল আর পছন্দ হলে সে জিনিসটা ফেলে আসা একেবারেই ঠিক না। কারণটা হচ্ছে আপনি যদি আপনার পছন্দের জিনিসটি আপনি না নিয়ে আসেন তাহলে বাড়িতে এসে আপনার ঘুম হবে না। তাই আমি বলব পছন্দ হলে অবশ্যই নিয়ে আসার চেষ্টা করুন তা না হলে আপনার ঘুমটা মাটি হয়ে যাবে। যেহেতু শীতের সময় আপনারা সব সময় বাইরে গেলে শীতের পোশাক পড়ে তারপরে যাবেন তা না হলে ঠান্ডা লেগে গেলে ডাক্তারকে টাকা দিতে হবে 😄😄😄।

আজ এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।