ঈদ সামগ্রী বিতরণ
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
৮ই এপ্রিল,সোমবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
আমরা ছোট মানুষ ছোট পরিসরেই সকলের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার চেষ্টা করেছি। কিছুদিন আগে আমরা যে ইফতার বিতরণ করেছিলাম, সেখানে প্রায় আড়াইশো মানুষের উপর মানুষের জন্য আমরা আয়োজন করতে পেরেছিলাম। পরবর্তীতে আরো কিছু মাদ্রাসায় আমরা নরমাল ইফতার আইটেম গুলো পাঠিয়েছিলাম। এরপরেও আমাদের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ ছিল।
আমাদের বন্ধুদের মধ্যেই অনেকে শেষ পর্যায়ে এসে টাকা দিয়ে থাকে, এবং আমরাও চেষ্টা করি ঈদের ঠিক কিছুদিন আগে আমরা আরেকটি প্রোগ্রাম করতে। অর্থাৎ রমজানে যেন আমরা দুটি প্রোগ্রাম করতে পারি। যাইহোক মোটামুটি ভালো একটা এমাউন্ট ছিল প্রতিবছরের ন্যায় এবারও তাহলে আমরা ঈদ সামগ্রী বিতরণ করতে পারব এ জন্য আমরা সবাই বেশ আগ্রহী ছিলাম।
আজকে সকাল থেকে এই কাজগুলো হচ্ছিল, যদিও ব্যক্তিগতভাবে আমি উপস্থিত থাকতে পারিনি তবে সন্ধ্যার পর যখন এগুলো বিতরণ করছিলাম তখন আমি উপস্থিত ছিলাম। মূলত এগুলো আমরা গণহারে বিতরণ করবো না। আমরা নিজেদের মধ্যে পরিচিত মানুষের লিস্ট করবো যারা অসহায় এবং আমাদের আশেপাশে রয়েছে।
এভাবে আমরা প্রত্যেকে দুইজন তিনজন চারজন করে বের করতে পেরেছি যারা আমাদের এলাকার মধ্যে এবং অসহায়, সেই লিস্ট অনুযায়ী আমরা সন্ধ্যার পর আমাদের টিম মেম্বারদের কাছে পৌঁছে দিলাম তার লিস্টের সংখ্যা অনুযায়ী ঈদ সামগ্রীর উপকরণ, এবার আমাদের টিম মেম্বারদের দায়িত্ব হচ্ছে তারা লিস্টে যে সংখ্যা দিয়েছিল তার পরিচিত ওই অসহায় মানুষটির এখন টিম মেম্বার নিজ দায়িত্বে ওই মানুষের কাছে পৌঁছে দিবে আমাদের এই গিফট।
আমরা প্রায় ৩৫ টার মত প্যাকেট করতে পেরেছি, আমি ৬ জনের দায়িত্ব নিয়েছিলাম, এভাবে কেউ দুইজন চারজন মানুষকে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল তাদেরকে তাদের প্যাকেট বুঝিয়ে দিয়ে আমাদের দায়িত্ব শেষ হল।
যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করেছি, চেষ্টা করেছি ঈদের দিন সকালে যে জিনিসগুলো প্রয়োজন হয় যেমন সেমাই, চিনি, নুডলস, তেল, পোলার চাল, পাউডার দুধ ইত্যাদি জিনিস দিয়ে আমাদের এই গিফট তৈরি করা।
প্রায় প্রত্যেকটা প্যাকেট বাবদ ৩৮৮ টাকা হিসাব করে তৈরি করা হয়েছে। ইনশাল্লাহ চেষ্টা করব পরের বছর যেন এই অ্যামাউন্ট আরো বৃদ্ধি করতে পারি এবং উপহারের সংখ্যাও যেন বৃদ্ধি করতে পারি সবাই দোয়া করবেন আমাদের জন্য।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
খুবই ভালো কাজ করছেন ভাইয়া ঈদের আনন্দটা সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন এটা জেনে সত্যি খুব ভালো লাগলো। আসলে এরকম কয়জনে আর করতে পারে অনেকের টাকা থাকলেও এরকম সবার কথা ভাবেনা আপনারা যে সবার কথা ভেবে এরকম ভাবে ঈদের আনন্দটা সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন এটা সত্যি আনন্দের বিষয়। ধন্যবাদ ভাইয়া সবার সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করার মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দারুন উদ্যোগ ভাই আপনাদের মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। সবাই মিলে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন । ঈদ উপলক্ষে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেছেন। আসলে ভাই এমন মহৎ কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারলে মনের কাছে প্রশান্তি মিলে।
আমাদের সকলের একটু উদার মন-মানসিকতা থাকা প্রয়োজন। শুধু নিজেকে নিয়ে নয় পাশের মানুষদের নিয়েও চিন্তা করা উচিত। রমজান মাস চলছে আমরা যদি মানুষকে ইফতারি খাওয়াতে পারি অনেক সওয়াব রয়েছে। অসহায় মানুষদের ঈদের জন্য কিছু কেনাকাটা করে দিতে পারি এতেও রয়েছে অনেক নেকি। তবে আমি সবচেয়ে বড় বিষয় মনে করি কারো মুখে হাসি ফোটানোটা বড় ব্যাপার। ঠিক তেমনি সুন্দর একটি কার্যক্রম আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
ঈদ সামগ্রী বিতরণের এত সুন্দর এবং ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছেন দেখেই ভালো লেগেছে। ঈদের দিন সকালে যে খাবার গুলোর প্রয়োজন এই সবগুলোই দিয়েছেন। এইরকম উদ্যোগ দেখলেই অনেক ভালো লাগে আমার কাছে। আপনারা সকল বন্ধুরা এই উদ্যোগ নিয়ে ভালোই করেছেন। অসহায় মানুষদের সাহায্য করতে পারলে দিনশেষে নিজের কাছেই খুব ভালো লাগে। তাদের মুখে যদি একটু হাসি ফোটে তাহলে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। দোয়া করি যেন আগামী বছরে এই উপহারগুলোর সাথে আরো কিছু যেন যোগ করতে পারেন। আর আর আরো অনেক মানুষকে যেন সাহায্য করতে পারেন।
ঈদ সামগ্রী বিতরণের চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যাদের মধ্যে ঈদের সামগ্রী বিতরণ করছেন তারা নিশ্চয়ই ঈদের সামগ্রীগুলো হাতে পেয়ে অনেক বেশি আনন্দিত হয়েছে। খুবই ভালো মানের একটি কাজ আপনারা করেছেন। আমার অত্যন্ত ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টটি পড়ে।
ঈদের আনন্দটা সবার সাথেই ভাগ করে নেওয়া ভালো। আর রোজার সময় যদি এরকম উদ্যোগ ঘরে ঘরে সবাই নিতো, তাহলে হয়তো গরিব মানুষগুলো ও আমাদের মত হাসিখুশি এবং আনন্দে ঈদটা উদযাপন করতে পারত। এরকম অনেকেই রয়েছে যারা চাইলেও পারেনা হাসিখুশি ভাবে দিনটা কাটাতে। তাদের সামর্থ্য থাকে না এত কিছু করার জন্য। যাদের সামর্থ্য রয়েছে তাদের উচিত নিজেদের সমর্থ্য অনুযায়ী অন্যকে সাহায্য করা। আপনারা সব বন্ধুরা এত সুন্দর একটা উদ্যোগ নিয়েছেন দেখেই তো ভালো লাগলো।
ভাইয়া আমিও দুদিন আগে এভাবে গরিবদের সাথে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছিলাম। এমনকি ইফতারিও বিতরণ করা হয়েছিল। আপনারা আড়াইশো মানুষকে ইফতারি দিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। তাছাড়া ঈদ সামগ্রী দেওয়ার জন্য ৩৮ টার মতো প্যাকেট করেছেন জেনে খুব খুশি হলাম। প্রতি বছর আপনারা এই সুন্দর একটি উদ্যোগ নিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। গরিব মানুষগুলো এই প্যাকেট পেলে খুবই খুশি হয় আর তাদের খুশিতে আমাদের খুশি। আপনার এই সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর একটা কাজ
বাঃ! খুব ভালো উদ্যোগ। আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে দিয়েই তো আনন্দ আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়। উৎসবে আপনাদের এই উদ্যোগ আমার ভীষণ ভালো লাগলো।