কিভাবে অলসতা দূর করা যায় ||
আসসালামু আলাইকুম
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে চিন্তা করি আগামীকাল থেকে আমার কাজগুলো ভালো ভাবে সম্পাদন করবো। কিন্তু এর পরের দিন সেই অলসতার মধ্য দিয়ে দিন কেটে যায়। কাজের কাজ ঠিক ভাবে হয় না। আচ্ছা এই অলসতাকে কিভাবে দূর করা যায়? আমার মতো হয়তো বা আপনিও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করেছেন।
আমাদের মস্তিষ্কে ডোপামিন থাকে যা আমাদের কাজ করতে সহায়তা করে। আপনি যখন অনেক সময় ধরে ফেইসবুক কিংবা ইউটিউব চালান তখন হয়তোবা এতে আপনি কোন রকম বিরক্তি বোধ করেন না। বরং দেখা যায় নতুন কিছু জানার আগ্রহে আপনি আরও মোবাইল চালাতে থাকেন।
তবে আমরা যখন পড়াশোনা করি তখন ১০ মিনিট পড়লেও সেটাকে ১০ ঘন্টা মনে হয়। অলসতা কাটানোর একটি বড় উপায় হচ্ছে প্রতিটি কাজকে গুরুত্ব দেওয়া এবং মজার সাথে সাথে কাজ করা। আমরা যখন পড়াশোনা করি তখন আমরা চিন্তা করি কিভাবে তাড়াতাড়ি নিজের পড়াটা শেষ করা যায় কিন্তু আমরা এর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করি না।
এই কাজটাকে ভালোবাসতে জানি না। যার ফলে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে অলসতা কাজ করে। তাই আজ থেকে প্রতিটি কাজ করবেন আগ্রহের সাথে এবং প্রতিটি কাজ থেকে বিভিন্ন কিছু শিখার চেষ্টা করবেন। আমরা যখন নতুন কিছু শিখবো তখন আমাদের ঐ কাজ করার আগ্রহ কয়েকগুণ বড়ে যাবে। আর অলসতা চলে যাবে।
আমার খুব প্রিয় একজন শিক্ষক আয়মান সাদিক। যার বইগুলো পড়তে আমি বেশ পছন্দ করি। স্টুডেন্ট হ্যাক্স নামের বইটি থেকে একটা তথ্য শেয়ার করি। প্রতিটি কাজের পর আপনি কোন একটা রিওয়ার্ড রাখার চেষ্টা করবেন। স্টিমিটের কথা চিন্তা করে দেখুন।
আমরা যখন পোস্ট করি আর পোস্ট করার পর যখন কোন ভোট পাই তখন কিন্তু আরও নতুন নতুন পোস্ট করতে মন চায়। ঠিক তেমনি আপনি কোন কাজ করার পর মনে মনে স্হির করুন এই কাজটি শেষ করতে পারলে রিওয়ার্ড হিসেবে আমি চকলেট খাবো। তখন সেই রিওয়ার্ড পাওয়ার জন্য আপনি আরও কাজ করতে থাকবেন।
নিজের প্রতি নিজের তাগিদ আপনাকে অলসতা থেকে দূরে রাখবে। অনেক সময় দেখা যায় আমরা যদি কোন কাজ না করি তখন মাঝে মধ্যে আমাদের মন বলে কাজটা করা উচিত। এই বিষয়টা হলো মস্তিষ্কের তাগিদ। এটা মূলত আমাদের সাবকনসিয়াস মাইন্ড থেকে আসে। এই তাগিদটা নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করুন এটা আপনার কাজ সঠিকভাবে করতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয় একদিনে অনেক পরিমাণ কাজ করতে আপনি সক্ষম হবেন।
অনেক সময় আমরা নিজের কাজ ভুলে মোবাইল চালানো শুরু করি, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া শুরু করে দেই। যার ফলে নিজের কাজ করা হয় না আর আমরা পিছিয়ে পরি। এই সমস্যা সমাধান করতে আমি যে পন্থা অবলম্বন করি সেটা হলো। রাতে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া এবং সকালে তাড়াতাড়ি ওঠা।
আসলে সকালে মানুষের আনাগোনা কম থাকে তাই তখন কেউ আপনাকে বিরক্ত করতে পারবে না ফলে আপনিও আপনার কাজ থেকে দূরে সরে যাবেন না। নিজেকে একটিভ রাখতে ব্যায়াম অনেক কার্যকারী। নিয়মিত ব্যায়ম আপনার অলসতা দূর করবে। এর ফলে আপনি আরও ভালো করে কাজ করতে পারবেন। এই কথাগুলো বলা যত সহজ নিজের মধ্যে বাস্তবায়ন করাও ঠিক ততোটা কঠিন। ধন্যবাদ সবাইকে।
https://twitter.com/FRahmanSamin2/status/1788183092232097916?t=Sx8R6YLXK79NlEpO_6VhLg&s=19
সত্যি বলতে আপনার কথাগুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে, এটি আমার সাথে প্রতিদিনই হয় যে আগামীকাল ভালো করে কাজ করবো কিন্তু আগামীকাল টাও অলসতার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়। হয়তোবা আপনার এই টিপসগুলো ব্যবহার করে অলসতা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাব, আপনাকে মনের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
দেখুন আমরা আসলে যে কাজটাই করি না কেন যদি এই কাজে দৃঢ়তা এবং মনোযোগ সহকারে করি তাহলে কিন্তু সেই কাজটি অনাআসে সম্পূর্ণ করা যায়। আর আমাদের চিন্তাভাবনাটা এমন যে আমরা যে কোন জিনিসকে কালকের অপেক্ষায় রেখে দেই। এটাই হচ্ছে আমাদের ভুল পদক্ষেপ। যে কাজটা করতে চাইবো সেটি আমাদের এখন এই মুহূর্ত থেকেই শুরু করে দেওয়া উচিত। আমাদের ব্রেইন মস্তিষ্ক নিয়ে দারুণ একটি শিক্ষনীয় পোস্ট করেছেন আপনি ভাইয়া। পড়ে কিন্তু বেশ ভালো লাগলো।
কোন কাজ মনোযোগ দিয়ে করলে সে কাজ সুন্দর ভাবে করা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে আপনি কিছু বাস্তব ধর্মী কথা উল্লেখ করেছেন,আসলে এই জীবন থেকে অলসতা দূর করার খুবই কঠিন ব্যাপার আর বিশেষ করে এই অলসতার পিছনে সব থেকে বড় যে জিনিসটা কাজ করে সেটা হচ্ছে আমাদের মোবাইল ফোন যেটা আপনি উল্লেখ করেছেন আমি আপনার সাথে একমত। কোন কাজ করতে গেলে যদি হাতে ফোন চলে আসে তাহলে সেটা কাজের অলসতা চলে আসে আজ না কাল কালনা পরছো এমন মনোভাব সৃষ্টি হয়। তবে এর জন্য সব থেকে যেটা দরকার আমাদের মনোবল দৃঢ় করা যখনকার কাজ তখনই করে ফেলা। কালকের জন্য ফেলে না রাখা। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আমিও আপনার কথার সাথে একমত। ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা একদমই ঠিক কথা ভাই, অলসতা কাটানোর সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় হল প্রতিটি কাজকে গুরুত্ব দেওয়া এবং আনন্দের সাথে সেই কাজটি করা। তাছাড়া কাজ কমপ্লিট করার পরে রিওয়ার্ড পাওয়ার যে ব্যাপারটা, এটাও কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং। তবে আমার আবার রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো হয় না, এজন্য সকালেও ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায়। যাইহোক, আপনার কথাগুলো খুব ভালো লাগলো ভাই।