"ফটোগ্রাফি পোস্ট" // ছোট মাছের কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি ।।

🥰আসসালামুয়ালাইকুম .🥰

🥰..এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব..💗🙏।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে । আজকে আমি আপনাদের সাথে কয়েকটি ছোট মাছের রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হয়ে ,ফটোগ্রাফি করা দিন দিন অনেক নেশায় পরিনত হয়ে যাচ্ছে।যেটি দেখে ভালো লাগে সেটি এ সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি ।আমি আগে ফটোগ্রাফি একদম পারতাম না তবে এখন আস্তে আস্তে শিখে যাচ্ছি। এখন আমার কাছে ফটোগ্রাফি করতে ভালোই লাগে ।পানি বা জলের ছোট্ট রত্ন হলো ছোট্ট মাছগুলি প্রকৃতির অন্যতম সুন্দর ও মনোরম সৃষ্টি । তাদের দেখতে বিভিন্ন আকার আকৃতি ও নানান রঙে আমাদের মুগ্ধ করে।এই ছোট্ট প্রাণী গুলি জলজ পরিবেশের খাদ্য শৃঙ্খলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং বড় মাছের খাদ্য হিসেবে কাজ করে। আবার মানুষের খাদ্য জন্য এই মাছ গুলো অনেক জনপ্রিয়। ছোট্ট মাছের ভাজি আমার খুবই পছন্দ খাবার।আমরা যারা ছোট্ট মাছের ভাজি খেতে পছন্দ করি তারা এই মাছ গুলো সঙ্গে খুবই পরিচিত।এই ছোট্ট এই মাছ গুলো সকাল বেলায় আমার আব্বু কিনে নিয়ে আছে। ছোট ছোট কয়েক রকমের মাছ ধরতে গেলে সাত মিশালি মাছ।মাছ গুলো দেখতে ভালো লাগলো তাই ফোটোগ্রাফি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম ।।

* ছোট্ট সিলভার কার্প মাছ*

উপরে যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পাচ্ছেন।এটি মূলত সিলভার কার্প মাছের ছোট বাচ্চা।সিলভার কার্প মাছ এর পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও একটি সুস্বাদু মাছ।দেহ শক্তিশালী, লম্বা ও চ্যাপ্টা, মাথার সামনের ভাগ ছোট ও নিচের চোয়াল সামান্য প্রসারিত।দেহ রুপালী বর্ণের ছোট ছোট আঁশে আবৃত। চোখ ছোট ,আঁশ গুলি খুব ছোট, ট্রাউট আঁশের মতো। সিলভার কার্পের মাথা বড় বড়, দাঁত ছাড়া মুখ উল্টানো। চোখ মাথার উপর অনেক সামনে অবস্থিত। সিলভার কার্প বড় মাছ গুলো থেকে এই ছোট বাচ্চা মাছ গুলো দেখতে আমার খুব ভালো লেগেছে।

* চিংড়ি মাছ *

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন এটি মূলত একটি সাদা চিংড়ি মাছ। অঞ্চলিক নামে ভুসি চিংড়ি নামে পরিচিত। ছোট ছোট এই চিংড়ি ভর্তা, চিংড়ি বড়া, পুইশাক দিয়ে আর অনেক রকম তরকারি রান্না করে খেতে দারুন লাগে। আমার সকলেই জানি স্বাদু পানিতে ২৪ প্রজাতির চিংড়ি ও লোনা পানিতে ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি পাওয়া যায়। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আধা লোনা বা স্বল্প লোনা পানিতে চিংড়ি চাষ করা হয়।

* কই মাছ *

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন এটি মূলত কি মাছ ।কই বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের খুব সুস্বাদু মাছগুলোর মধ্যে অন্যতম।কই মাছ কম চর্বিযুক্ত এবং পুষ্টিকর হওয়ার কারণে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।এই মাছটি জীবন্ত অবস্থায় বাজার জাত করা যাওয়ার কারণে মাছের বাজারে এই কই মাছের দাম তুলনামূলক একটু বেশি। অতীতে কই মাছ ডোবা-পুকুর, খালবিল এবং প্লাবন ভূমিতে অধিক পরিমাণে পাওয়া যেত।প্রাচীন কাল থেকেই কই একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু মাছ হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে-যা দেশীয় প্রজাতির মাছের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়।

* ছোট্ট মৃগেল মাছ *

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন এটি মূলত মৃগেল মাছ।এটি একটি সুস্বাদু মাছ। এটি বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া হয়। ভাজা, পোস্ত বাটা, ঝোল, চচ্চড়ি, ইত্যাদি।শরীরের রঙ সাধারণত পিঠে গাঢ় ধূসর এবং পাশে এবং পেটে রূপালি। পাখনা ধূসর; শ্রোণী, মলদ্বার এবং পুচ্ছের নীচের অংশগুলি কমলা রঙের হয়, বিশেষ করে প্রজনন ঋতুতে। সমস্ত কার্প প্রজাতির মতো, মৃগালের মুখের চোয়ালে কোনও দাঁত নেই। মৃগেল মাছ স্বাদু পানির মাছ। এরা সাধারণত নদী, খাল, বিল, পুকুর ইত্যাদিতে বাস করে।

*শিঙি মাছ *

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন এটি মূলত শিঙি মাছ।যেমন সুস্বাদু তেমনই শিঙি মাছের পুষ্টিগুণ অন্যান্য কোনও মাছের তুলনায় অনেক বেশি।দৈনন্দিন প্রোটিনের চাহিদা পূরণে এই মাছ আমাদের খাবার তালিকায় থাকা উচিত। ভিটামিন এ এবং ডি সমৃদ্ধ হওয়ায় হাড় এর গঠন, দৃষ্টি ও ত্বকের ওপর ইতিবাচক প্রভাব রাখে এই শিঙি মাছ।

*চোপড়া বা খলসা মাছ *

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন এটি মূলত চোপড়া বা খলসা মাছ ।সাদা রঙের খলশাকে অনেকে চুনা খলশা বলেন।বাংলাদেশে খলিসা মাছের ৩ টি প্রজাতি পাওয়া যায় ।সেগুলো হচ্ছে চুনা খলশা, বড় খলশা এবং লাল খলশা। এরা একটি নোপটেরিজিল শ্রেণীর মাছ। আর পরিবার হচ্ছে অসফ্রোনেমিডা।

*দারকা মাছ

উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন এটি মূলত বা দারকা মাছ। ছোট মাছের মধ্যে মাছ খেতে পছন্দ করেন তাদের কাছে দারকা মাছ খুবই পরিচিত। ছোট আকারের এই মাছটি খেতে শুধু সুস্বাদুই নয় , পুষ্টিকরও বটে। কিন্তু বর্তমানে জলাশয় সংকোচন, পানি দূষণ এবং অতি আহরণের ফলে মাছটির বিচরণ ও প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস হওয়ায় দেশে বিপন্নের তালিকায় উঠে আসে এই দারকিনা।

এই ছিল আজকের ব্লগ। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টে মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং আমার পক্ষ থেকে সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।

🌺❤️ধন্যবাদ🌺❤️

🎀আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়🎀

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy