রেসিপি পোস্ট |||| পটলের খোসা ও বাদামের মিশ্রণে মজাদার ভর্তা।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আরেকটি নতুন পোস্ট নিয়ে। আমি আজ আপনাদের মাঝে "পটলের খোসা ও বাদামের মিশ্রণে মজাদার ভর্তা" নিয়ে হাজির হয়েছি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। ভর্তা মূলত একটি মুখরোচক খাবার। গরম ভাতের সঙ্গে ভর্তার কোন তুলনা নেই। যে কোন ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে যদি সেই ভর্তায় একটু ঝালের পরিমাণটা বেশি হয়।পটলের খোসা ভর্তা আমরা কম বেশি সবাই খেয়েছি। আমি এই ভর্তাটি নতুন ভাবে প্রেজেন্ট করার জন্য চেষ্টা করেছি। কারণ আমার বাংলা ব্লগ সব সময় ইউনিক জিনিসকে প্রাধান্য দেয়। তাইতো ইউনিক একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। পটলের খোসার সঙ্গে নতুন করে বাদাম এড করেছি এবং ভর্তাটি যখন করেছি খেতে এতটা সুস্বাদু হয়েছিল।আসলে মুখে কোন কিছু বললে বিশ্বাসযোগ্য হবে না যদি না আপনারা বাসায় এই ভর্তাটি ট্রাই করে না খান। আসলে এই পটলের খোসা ও বাদামের সংমিশ্রণে ভর্তাটি অনেক মজাদার ছিল। এই ভর্তাটি করার পর আমি পরের দিন আবারও করেছি ভালো লাগার জন্য। যখন নতুন কোন ইউনিক রেসিপি তৈরি করি তখনই আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে হাজির হই।শুধু মনে হয় এই ইউনিক রেসিপিটি আমার যেমন ভাল লাগছে তেমনি রেসিপিটি অন্য কেউ তৈরি করুক এটা দেখলে এবং আমার রেসিপির প্রশংসা করলে আরও ভালো লাগে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে রেসিপিটি আমি কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।পটলের খোসা।
২।বাদাম।
৩।কাঁচামরিচ।
৪।শুকনা মরিচ।
৫।পেঁয়াজ।
৬।রসুন।
৭।সরিষার তৈল।
৮।লবন।
প্রথমে পটলের খোশাগুলো ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার সেই পটলের খোসা গুলো একটি সসপ্যানে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
এবার সেই পটলের খোশাগুলো পানি ঝরিয়ে নিয়ে ফ্রাই প্যানে তৈল দিয়ে ভেঁজে নিয়েছি।
এবার বাদাম গুলো হালকা আচে ভেঁজে নিয়েছি।
ভেঁজে নেওয়া পটলের খোসার সঙ্গে পেঁয়াজ,মরিচ, রসুন সব উপকরণ একত্রে দিয়ে ভালো করে ভেঁজে নিয়েছি।
শিলপাটায় সকল উপকরণ একত্রে দিয়ে পটলের খোসা গুলো মিহি করে বেটে নিয়েছি এবং তার সঙ্গে বাদামও মিহি করে বেটে নিয়েছি। আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "পটলের খোসা ও বাদামের মিশ্রণে মজাদার ভর্তা" রেসিপি। এবার এই "পটলের খোসা ও বাদামের মিশ্রণে মজাদার ভর্তা" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
সম্পুর্ন ইউনিক এবং নতুন একটি রেসিপি তুলে ধরেছেন। বাঙ্গালীদের ভর্তা সব চেয়ে বেশি পছন্দের। ভর্তা খেতে আমিও ভীষণ পছন্দ করি। ঠিক বলেছেন আপু বাসায় ট্রাই করে খেয়ে দেখবো। আপনার তৈরি রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাদার হয়েছিলো। রেসিপি পরিবেশন দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার রেসিপিটি আপনার কাছে সুন্দর লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
পটলের খোসার সঙ্গে বাদাম এড করার জন্য আমার মনে হয় এই রেসিপিটা আরো বেশি ইউনিক এবং ইন্টারেস্টিং হয়েছে এ ধরনের রেসিপি আমি এর আগে কখনোই ট্রাই করেনি তবে আপনি যেমন ভাবে রেসিপিটা তৈরি করার প্রসেসটি আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
পটলেন খোসা দিয়ে বাদাম ভর্তা অসাধারণ সুন্দর সুস্বাদু মুখরোচক একটি রেসিপি। আপনার রেসিপিটি সত্যি অনেক সুস্বাদু হয়েছে তা তৈরি পদ্ধতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অনেক মজা করে খেয়েছেন নিশ্চই। সুন্দর ও সুস্বাদু ভর্তা গুলো তৈরি পদ্ধতি ধাপে ধাপে চমৎকার ভাবে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু। তবে মনে হয় প্রথমে পটলের না লিখে পটলেন লিখেছেন যা ঠিক করে নিবেন প্লিজ।
আজ আপু আপনি দারুন একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আমি পটলের খোসা ভর্তা প্রায় সময় খেলেও কখনো পটলের খোসা দিয়ে বাদামের মিশ্রণ ভর্তা খাওয়া হয়নি। আপনার তৈরি করা আজকে রেসিপি টি আমার কাছে ভীষণ ইউনিক লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপু।
আসলেই আপু যে ভর্তায় যতো বেশি ঝাল হবে সেই ভর্তা খেতে তত বেশি টেস্ট লাগবে। পটলের খোসা ও বাদাম দিয়ে বেশ চমৎকার একটি ভর্তা তৈরি করেছেন দেখতে অনেক লোভণীয় লাগছে। গরম গরম ভাতের সাথে এরকম ভর্তা খেতে দারুন লাগে। ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার রেসিপিটা আপনার পছন্দ হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো।
আইডিয়া এবং রেসিপি দুটোই আমার কাছে ভালো লেগেছে, বিশেষ করে ভর্তার কালারটা আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ।
আপনাদের মত এডমিনদের মন্তব্য পেলে আসলে কাজ করার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে যায় ভাই।আর আমার রেসিপিটা আপনার পছন্দের শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু গরম ভাতের সাথে ভর্তার কোন তুলনা নেই। গরম ভাতের সাথে ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। আপু আপনার তৈরি করা রেসিপি দারুণ হয়েছে।পটলের খোসা ও বাদামের মিশ্রণে চমৎকার একটি ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। মনে হচ্ছে খেতেও মজার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু রেসিপিটি খেতে অনেক মজাদার ও টেস্টি ছিল।
খুবই আনকমন একটা রেসিপি আজকে আপনি শেয়ার করেছেন। ভিন্ন ধর্মীয় রেসিপিগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। পটলের খোসা ও বাদামের মিশ্রণে মজাদার ভর্তা দেখে খুব ভালো লাগতেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পটলের খোসার সাথে বাদামের মিশ্রণে দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমি প্রায় সময় পটলের খোসা দিয়ে ভর্তা তৈরি করে খেয়ে থাকি। তবে আমি কোন সময় পটলের সাথে বাদাম বা অন্য কিছু মিক্স করি নাই। ভর্তা করে তেলের মধ্যে ভাজি করলে খেতে খুবই স্বাদ লাগে। ধন্যবাদ আপু
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভর্তাটি দেখতে ভীষণ সুন্দর হয়েছে। পটলের খোসা আর বাদামের এই ভর্তা খেতে ও নিশ্চয়ই খুব ভালো হয়েছিল। এই রেসিপিটি খুব সহজে এবং খুব মজাদার একটি খাবার তৈরি করা যায়। খুব সুন্দর ভাবে উপকরণ এবং ধাপগুলো উপস্থাপনা করেছেন। এটা অনেক ইউনিক একটা রেসিপি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।