ছোট গল্প পোস্ট ||| তোমার অপেক্ষায় আজও আমি পর্ব-০৩ ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি এই শীতের মধ্যে সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভাল আছি।
আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম।আমি সব সময় যে গল্পগুলো লিখি তার প্রতিটি গল্পে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত পেয়ে গল্প লেখার আগ্রহ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।গল্পের ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আবারো "তোমার অপেক্ষায় আজও আমি পর্ব-০৩" নিয়ে উপস্থিত হলাম। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
আস্তে আস্তে টাকা জমিয়ে ফ্ল্যাট কেনার পর হাবিবের মনে শান্তি ফিরে এলো কারন সে নিজের চোখে দেখেছে তার বাবা-মা কিভাবে তাদেরকে মানুষ করেছে। এখন একটু হলেও বাবা-মাকে এসে সুখ দিতে চায়। এরপর ফ্ল্যাটটি কিনে সে তার বাবাকে সারপ্রাইজ দিল।হাবিবের বাবা ছেলের কেনা ফ্লাটের খবর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠল এবং বলল আজ আমার বড় সুখের দিন। এরপর হাবিব তারপরও পরিবারকে সেই গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে চলে এলো।শহরে তারা পুরো পরিবার অনেক সুখে দিন পার করছিল।সুখ-দুঃখ নিয়েই জীবন।
কারো সারা জীবন সুখ থাকে না আবার দুঃখও থাকে না। তাইতো হাবিবের বাবার সুখের বসবাস।একটি সময় হাবিবের চারদিক থেকে শুধু সফলতা আসতে থাকে। অফিসে বিশ্বস্ততা ও পরিশ্রমের জন্য তাকে আবারও আরেকটি প্রমোশন দেওয়া হল। সেই সাথে বাড়িয়ে দেওয়া হলো মোটা অংকের টাকা। হাবিবের খুশির যেন সীমা নেই। কারণ তার পুরো বিশ্বাস আছে আজ তার জীবনে এতটা সফলতা শুধুমাত্র তার বাবার জন্য। তার বাবা তাকে অনেক আদর্শে গড়ে তুলেছে যার পুরস্কার আজ সে পাচ্ছে। একটি সময় হাবিবের বাবা হাবিবকে বলে বাবা তোমার জন্য আমি একটি মেয়ে ঠিক করে রেখেছি।
তোমার কোন পছন্দ আছে নাকি। হাবিব বলল না বাবা তোমার যাকে পছন্দ তুমি যাকে নিয়ে আসবে আমি হাসি মনে তাকেই গ্রহণ করব। কারণ তোমার দোয়া আছে এবং তোমার প্রতি বিশ্বাস আছে বলেই তো আমি আজ এত উন্নতি করতে পারছি।আর আমার বিশ্বাস তুমি যাকে পছন্দ করবে সে অনেক ভালো হবে। আমার সিদ্ধান্ত কোন ভুল হতে পারে না। তারপর তারা একটি সময় দেখে হাবিবের বিয়ের আয়োজন করে। হাবিবের বিয়ে অনেক ধুমধাম করে বিয়ের কাজ শেষ করে। নতুন বউ বাসায় নিয়ে এলো।তাদের সংসারে একটি নতুন মানুষ যুক্ত হলো।
নতুন বউটিও সবাইকে অনেক সুন্দর ভাবে গ্রহণ করেছে।বৌয়ের যেমন ব্যবহার তেমনি সবার প্রতি অনেক ভালোবাসা।এভাবেই তাদের আনন্দের দিনগুলো যেতে থাকে। এদিকে নাতাশা লেখাপড়া শেষ করে একটি চাকরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারভিউ দিচ্ছিল। বেশ কয়েক জায়গায় ইন্টারভিউ দেওয়ার পর যখন কোথাও থেকে কোন চাকরির খবর পেল না তখন মনটি তার ভেঙ্গে গেল। কারণ এমনিতেই সব সময় আনমনা হয়ে থাকে এবং জীবনের সাথে যুদ্ধ করে লেখাপড়া করে তাকে চাকরি করতেই হবে এমন একটি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে ছিল। কিছুদিন যাওয়ার পর একটি কোম্পানি থেকে ফোন এলো নাতাশার কাছে। বলল সামনের মাসে তাকে জয়েন করতে। নাতাশা বিশ্বাস করতেই পারছিল না। তার জীবনেও যে সুখের কোন সংবাদ আসবে।তার মা-বাবাকে সেই সংবাদটি জানায়।নাতাশার ছোট ভাই হাবিব বোনের খবর শুনে অনেক খুশি হয়েছে। কারণ বোনের জীবনটাই যে এমন ঝড় উঠবে সে কল্পনা করতে পারেনি। আর সে তার বোনকে সবসময় মন খারাপ থাকতে দেখেছে। আজ বোনের ঠোঁটে এক কোনায় হাসি দেখে হাবিব বোনকে বলল আমি অনেক খুশি হয়েছি।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
https://x.com/mst_akter31610/status/1867585976538697937?t=KmrzBItMWo-o1Wq-XyuZ9w&s=19
আসলে মানুষ পরিশ্রম করলে ঠিকই সফলতা অর্জন করতে পারে। তাছাড়া হাবিবের মন-মানসিকতা খুবই ভালো। হাবিব তার পুরো পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করুক, সেই কামনা করছি। এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার গল্পটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো।