অনুভূতিমূলক পোস্ট ||| ছেলের স্কুল পরীক্ষার খাতা দেখা ||| original writing by @saymaakter.

in আমার বাংলা ব্লগ10 days ago

আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই পরিবারকে নিয়ে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।

Messenger_creation_884588E9-08A8-4470-9DEB-807A11BD020E.jpeg


প্রতিদিন এর মত আজও চলে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে।চারদিকটা কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ প্রচন্ড ঠান্ডা বাসার সবাই যখন ঘুম তখন আমি মুঠোফোনটি হাতে নিয়ে বসে পড়লাম ব্লগ লেখার জন্য। আসলে যা কিছুই লিখি না কেন যদি একটি নিরিবিলি পরিবেশ না হয় তাহলে কোন লেখা বা এখনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ কমপ্লিট হতে চায় না।

Messenger_creation_9531B508-E8B9-4808-9C03-C91B65EA6A48.jpeg

আমি আজ আপনাদের মাঝে অনুভূতিমূলক পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।ডিসেম্বর মাস চলে এলে শুরু হয়ে যায় প্রত্যেকটি স্কুলে পরীক্ষা।আরে পরীক্ষাগুলো শেষ হওয়ার পর বাচ্চারা অপেক্ষায় থাকে কখন তাদের রেজাল্ট দেওয়া হবে এবং খাতা দেখানো হবে।বাচ্চাদের মনের ভিতর ও এক প্রকার আতঙ্ক কাজ করে কেমন পরীক্ষা দিলাম এবং কোন বিষয়ে কত মার পেলাম। তাইতো সেদিন হঠাৎ করে বাসায় ফোনে মেসেজ এল বাচ্চাদের খাতা দেখানো হবে অভিভাবকদের।

Messenger_creation_F3D2098C-209C-4D89-8910-F7C60569E2AC.jpeg

তাই দেরি না করে দ্রুত রেডি হয়ে ছেলেকে নিয়ে চলে গেলাম খাতা দেখার জন্য।ছেলেকে বললাম তোমার অনুভূতি কেমন খাতা যে আজ দেখাবে। ছেলে কোন কথা বলল না বলল তুমি গিয়েই দেখতে পারবে। কিন্তু একটা সময় আমাদের অনেক ভয় লাগতো যে আজ খাতা দেখাবে কেমন হয় বাসায় এসে বকা খাব নানান রকমের প্রশ্ন মানে কাজ করতো। কিন্তু এখনকার বাচ্চারা এতটা অ্যাডভান্স এবং পড়ালেখার ব্যাপারেও তারা যা বলে অনেক কনফিডেন্স নিয়েই বলে।

Messenger_creation_BF250051-C836-4365-8855-BC0A49AB9BD5.jpeg

ছেলের সঙ্গে গল্প করতে করতে যখন স্কুল গেটে পৌঁছলাম তখন দেখি অভিভাবক এসে ভরে গেছে। ভিতরে প্রচন্ড ভিড়। তারপরও চলে গেলাম সোজা পাঁচতলায় ছেলের ক্লাসরুমে। দেখি ক্লাসের ম্যাডাম সবাইকে খাতা দিচ্ছে এবং অভিভাবকরা খাতা দেখা শুরু করে দিয়েছে আমিও আমার ছেলের খাতাটা নিয়ে দেখা শুরু করে দিলাম।মা ছেলে মিলে দুজনে খাতার মার কোন যোগ করলাম এবং প্রশ্ন মিলিয়ে দেখলাম কোনটা কত মার্কস। ম্যাডাম এসে বলল কারো কোন সমস্যা হলে অন্য সিটে সেটা লিখে দিবেন। আমার ছেলের পাঁচমার কম ছিল তো সেটা লিখে দিয়ে খাতাগুলো দেখে জমা দিয়ে দিলাম।ছেলের ক্লাস রুম থেকে বের হয়ে যখন আসছিলাম তখন মনে হল আসলে ছেলে তো আমার সত্যই বলেছে পরীক্ষা দিয়ে এসে আমিও এটাতে এত নাম মার্কস পাব এটাতে তোমার পাব।

Messenger_creation_A8498A72-BED7-4EAB-8890-A9487357DA95.jpeg

তোর কথার সঙ্গে সব ঠিক ছিল। খাতাগুলো দেখে বেশ ভালই লাগছিল। কিছু কিছু অভিভাবক একটু লেটে এসেছে যেন শিক্ষক বলল আমাদের পরের ব্যাচ শুরু করতে হবে। প্রথম ব্যাস ছিল ৯ টা থেকে সাড়ে দশটা। আপনারা লেট করে এলেন কেন আপনাদেরই তো ফোনে মেসেজ দেওয়া হয়েছে। তারপরে অভিভাবকরা কোনরকম খাতা গুলো দেখে তাড়াতাড়ি কমপ্লিট করে দিয়ে দিল। আসলে খাতা দেখার অনুভূতিটা বেশ ভালই ছিল কারণ বাচ্চারা কি লিখল না লিখল এটা তাদের কথার সঙ্গে মিল আছে কিনা সেটা প্রমাণ পাওয়া যায়। খাতা দেখার পর স্যারদের কাছে কোন কমপ্লেন থাকেনা কোন সাবজেক্টের জন্য। এতে করে স্যার ও ছাত্র এবং গার্জিয়ানের ভিতরে কোন সমস্যা হয় না।

Messenger_creation_B91E9210-4289-4E96-B1E0-ED4548F741FB.jpeg

এই ছিল আজকের ব্লগ অন্য কোনদিন আবারো হাজির হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

আমার পরিচয়।

আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।

🇧🇩আল্লাহ হাফেজ🇧🇩

FNeY1coMNULBNtdFSSbYFhqVxtoP7wW8e8DoPPjamNfz7mF9PAmYD9moyfupay7Qd1uEWGbkcrJZ7nV2Uh6rAdMLa3sxB8cYaU6uCFByTY...yHPt7zcsvJDQFfM1oyeMjUTgSrMVedmoJRQzL8NBVfwQGviTLj5ySQ4azZP6zE8tw9GVzwGSTv1Sys8gqPgycd1WLMhV8HJ4xpPiiQJE2JSR8DLdy4Fs62Zm3.webp

Messenger_creation_FF6D906D-749B-4E07-8320-B599EE0CFF0F.png

Messenger_creation_2F56E3F2-027F-4EEF-9A13-7105084B0F77.png

Messenger_creation_5ECC1BDD-EC8B-4D17-9935-6B81DE8F1765.png

Sort:  
 10 days ago 

Screenshot_2024-12-24-19-33-26-990_com.peak.jpg

Screenshot_2024-12-24-19-32-28-539_com.android.chrome.jpgScreenshot_2024-12-24-19-31-12-342_com.coinmarketcap.android.jpg
 10 days ago 

আজকালকার বাচ্চারা আপু সত্যি ই বেশ অ্যাডভান্স।আপনি আপনার ছেলের স্কুল পরীক্ষার খাতা দেখতে গিয়ে চমৎকার কিছু অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা অনুভূতি গুলো ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 9 days ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 10 days ago 

দারুণ ব্যাপার আপু বাচ্চারা পরীক্ষা দেবে আর বাবা মায়েরা খাতা দেখতে যাওয়া এটা বেশ ভালো লাগে। কিছুদিন আগে গত ২২ তারিখে আমিও দেখতে গিয়েছিলাম ছোট মেয়ের খাতা। মাশাল্লাহ খাতা দেখে তো খুবই ভালো লাগলো। পুরো পাঁচটি সাবজেক্ট এর মধ্যে একটি নাম্বার কম পেয়েছে মাত্র সবগুলোতে ভালো করেছে। আপনার বাবুর খাতা দেখে আপনার ভালো লাগলো শুনে আমারও বেশ ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল মা এবং বাচ্চাদের জন্য।

 9 days ago 

বর্তমানে বাচ্চাদের মনে সেই ভীতি কাজ করে না,কারণ ছোট থেকেই তারা টিউশন পড়ে।সে জন্য আলাদা একটা উৎসাহ কাজ করে মনে, কিন্তু আগে তেমন মানুষ টিউশন পড়তো না।যাইহোক আপনার ছেলে ভালো রেজাল্ট করেছে এটা খুবই খুশির খবর, শুভকামনা রইলো।

 9 days ago 

সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।

 9 days ago 

এখনকার বাচ্চারা আসলেই খুব এডভান্স। মনে হয় যে ছোটবেলা থেকেই তারা ম্যাচিউরড হয়ে যায় হা হা হা। যাইহোক ছেলের খাতা দেখতে স্কুলে গিয়েছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 9 days ago 

সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

 9 days ago 

পাঁচ নম্বর বাড়ল মানে খাতা দেখে তার মধ্যে লাভ হয়েছে। এইজন্যই খাতা চেক করা খুব প্রয়োজন। আর বাচ্চাদের খাতা বেরোলে এই নিয়ে একটা টেনশন তো কাজ করেই। তবে আপনার ছেলে খুব ভালো। সবমিলিয়ে ভালো ফলই করেছে বলে মনে হয়।।

 9 days ago 

দোয়া করবেন দাদা আমার ছেলেযেন মানুষের মত মানুষ হয়।